ISL 2024: মহমেডান সমর্থকদের আচরণে অসন্তোষ প্রকাশ, সোশ্য়াল মিডিয়ায় বিবৃতি কেরল ব্লাস্টার্সের
Mohammedan vs Kerala: মহমেডান সমর্থকদের আচরণের তীব্র নিন্দা করে নিজেদের সোশ্য়াল মিডিয়ায় নিজেদের সমর্থকদের নিরাপত্তার ইস্য়ুতে বিবৃতি দিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা: আইএসএলের (ISL 2024) মত বড় টু্র্নামেন্ট। কিন্তু সেখানেও এইভাবে সমর্থকদের রোষ, মাঠে বোতল ছোড়াছুড়ি, প্রতিপক্ষের সমর্থকদের আক্রমণ, এমন হাজারো অভিযোগ উঠল মহমেডান সমর্থকদের নিয়ে। কেরল ব্লাস্টার্সের (Kerala Blasters) বিরুদ্ধে ম্য়াচে মহমেডান (Mohammedan Sporting SC) সমর্থকদের আচরণের তীব্র নিন্দা করে নিজেদের সোশ্য়াল মিডিয়ায় নিজেদের সমর্থকদের নিরাপত্তার ইস্য়ুতে বিবৃতি দিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় কেরল ব্লাস্টার্সের তরফে লেখা হয়েছে, ''কেরল ব্লাস্টার্স কর্তৃপক্ষ ভীষণভাবে অবগত মহমেডান ম্য়াচের ঘটনা সম্পর্কে। আমাদের সমর্থকদের নিরাপত্তা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ওঁরা আমাদের ক্লাবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই পরিস্থিতিতে আমরা নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে কলকাতায় আইএসএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তাঁরা জানিয়েছেন এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন তাঁরা। এটা ক্লাবের দায়িত্ব তাঁদের সমর্থকদের একটি সুরক্ষিতভাবে ম্য়াচ দেখার আয়োজন করে দেওয়া। রবিবার যে ঘটনা ঘটেছে, তার ফুটবলে কোনও স্থান নেই।''
View this post on Instagram
মোহনবাগান এসজি-র কাছে তিন গোলে হারের ধাক্কা সামলে রবিবার ছন্দে ফেরা মহমেডান ম্যাচের ২৮ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে উজবেক মিডফিল্ডার মির্জালল কাসিমভের গোলে এগিয়ে যায়। তার পরে ৬৬ মিনিট পর্যন্ত দুর্দান্ত রক্ষণ দক্ষতায় নোয়া সাদাউই, আদ্রিয়ান লুনা, জেসুস জিমিনেজদের মতো তুখোড় অ্যাটাকারদের প্রায় অসহায় করে তোলে সাদা-কালো ব্রিগেডের সৈনিকরা।
কিন্তু ৬৭ মিনিটের মাথায় তাদের এক মুহূর্তের অসাবধানতাকে কাজে লাগিয়ে সমতা এনে ফেলেন পরিবর্ত ফরোয়ার্ড কোয়ামে পেপরা। তার ঠিক আট মিনিট পরেই অসাধারণ এক ক্রসে হেড করে দুর্দান্ত গোল করে দলকে এগিয়ে দেন জিমিনেজ। ম্যাচের শেষ পর্বে মহমেডান ফুটবলারদের ক্লান্তি এ দিনও তাদের ভোগায়। ফলে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি গতবারের আইলিগ চ্যাম্পিয়নরা।
এ দিন দলে দুটি পরিবর্তন করে নামা মহমেডান স্পোর্টিং শুরু থেকে আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলার চেষ্টা করলেও তাদের আক্রমণের নির্দিষ্ট দিশা দেখা যায়নি। কেরালা ব্লাস্টার্স সম্পর্কেও একই কথা বলা যায়। শুরু থেকেই এতটা শরীরসর্বস্ব ফুটবল খেলা শুরু করে দুই দল যে, প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যে দু’পক্ষেরই খেলোয়াড়রা গুরুতর চোট পান।