Mohun Bagan: বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে হতশ্রী পারফরম্যান্স, ম্যাচ শেষে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে কী বললেন মোলিনা?
Bengaluru FC vs Mohun Bagan Super Giant: মোহনবাগানকে হারিয়েই লিগ শীর্ষে পৌঁছে গেল বেঙ্গালুরু এফসি।
বেঙ্গালুরু: ম্যাচের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করলেও তাঁর দলের ফুটবলাররা যে শনিবার কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে সব দিক থেকেই বেঙ্গালুরু এফসির (Bengaluru FC vs Mohun Bagan Super Giant) চেয়ে পিছিয়ে ছিলেন, তা স্বীকার করেই নিলেন মোহনবাগান এসজি-র স্প্যানিশ কোচ হোসে মোলিনা (Jose Molina)। তাঁর আশা, পরের ম্যাচে দল এর চেয়ে ভাল খেলবে ও পুরো তিন পয়েন্ট অর্জন করবে।
এ দিন রীতিমতো দাপুটে ফুটবল খেলে মোলিনার দলকে ৩-০-য় হারায় বেঙ্গালুরু এফসি। ন’মিনিটের মাথায় স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড এডগার মেনডেজের গোলের পর ২০ মিনিটের মাথায় ব্যবধান বাড়ান সুরেশ ওয়াংজাম। বিরতির পর পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে টানা তৃতীয় জয় এনে দেন সুনীল ছেত্রী।
শনিবারের এই জয়ের ফলে বেঙ্গালুরু এফসি লিগ টেবলের শীর্যস্থান দখল করে নিল। আর মরশুমের প্রথম হারের ফলে তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে ছ’নম্বরে নেমে এল গতবারের লিগশিল্ড চ্যাম্পিয়নরা। আইএসএলে এটিই সবচেয়ে খারাপ সূচনা তাদের। এর আগে কখনও আইএসএলের প্রথম তিন ম্যাচে এত কম পয়েন্ট পায়নি তারা।
বেঙ্গালুরু এফসি-র আধিপত্য বিস্তার করা নিয়ে কোনও রাখঢাক না করেই সবুজ-মেরুন শিবিরের কোচ বলেন, “ঘরের মাঠের যাবতীয় সুবিধা ওরা কাজে লাগিয়ে নিতে পেরেছে। আমরা সমস্যার সমাধান করার জন্য সহালকে মাঠে নামাই। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে সহালও চোট পেয়ে বেরিয়ে যায়। আমাদের সমস্যা থেকে বের করে আসতে আক্রমণে শক্তি বাড়াতে হত ও বলের নিয়ন্ত্রণও বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল। দু’দিক দিয়েই বেঙ্গালুরু আমাদের চেয়ে আজ এগিয়ে ছিল”।
এ ছাড়াও নিজের দলের আরও সমস্যার কথা তুলে ধরেন মোলিনা। বলেন, “প্রতিপক্ষের গোলের সামনে একেবারেই নিখুঁত খেলতে পারিনি আমরা। এই ব্যাপারেও ওরা আমাদের পিছনে ফেলে দিয়েছে। প্রতিপক্ষের গোলের সামনে আমাদের ফিনিশ, আমাদের শুটিং খুব খারাপ হয়েছে। তাই আমরা সুযোগ পেয়েও সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। গোল করতে না পারলে তো আর ম্যাচ জেতা যায় না। বেঙ্গালুরু আজ বারবার রক্ষণে লোক বাড়িয়ে আমাদের আটকে দেয়। বলের ওপর দখলও বেশি ছিল ওদের। সব মিলিয়ে আমরা খারাপ খেলেছি আজ। তবে এই পারফরম্যান্স মনে রাখলে চলবে না। সামনের দিকে তাকাতে হবে আমাদের”।
প্রতি ম্যাচে একাধিক গোল খাওয়ার সমস্যা নিয়ে তিনি আগেও বলেছেন। রক্ষণে যে সমস্যা রয়েছে, তাও স্বীকার করেছেন অনেকবার। কিন্তু রক্ষণের দুর্বলতার নতুন কারণ ব্যাখ্যা করে আইএসএল জয়ী কোচ বলেন, “স্পষ্টতই, প্রতি ম্যাচে গোল খাচ্ছি আমরা। কিছু গোল খেয়েছি আমাদের রক্ষণের ভুলে। তবে বেশিরভাগ গোলই হয়েছে আক্রমণের ভুল থেকে। আমার মনে হয়, আমাদের রক্ষণকে শক্তিশালী করে তুলতে হলে আমাদের আক্রমণেও উন্নতি আনতে হবে। আক্রমণ যত ধারালো হবে, রক্ষণও তত ভাল খেলবে। আমার কাছে দুটো ব্যাপার আলাদা নয়, একই। দু’টোর মধ্যে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে। তা ছাড়া আমরা আজ বেশিরভাগ সময়ই পা থেকে বল খুইয়েছি। গত ম্যাচের মতো ওঠা-নামাও ভাল হয়নি আমাদের। জেতার জন্য এগুলো খুবই দরকার ছিল”।
তবু এই ম্যাচ থেকে ইতিবাচক দিক খুঁজে পেতে মরিয়া দিমিত্রিয়স পেট্রাটসদের স্প্যানিশ কোচ। কী সেই ইতিবাচক দিক? বলেন, “প্রতি ম্যাচেই কিছু না কিছু ইতিবাচক দিক পাওয়া যায়। এই ম্যাচে যদিও তা খুঁজে পাওয়া কঠিন ছিল। তবে আমাদের ফুটবলাররা আজ শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত গোলের চেষ্টা করে গিয়েছে। আমাদের এর পরের ম্যাচে অনেক ভাল খেলতে হবে। সমর্থকদের জন্য জয়ে ফিরতে হবে। আজ যাঁরা এখানে এসেছিলেন, তাদের ধন্যবাদ। তবে তাদের জন্য দুঃখিতও। আজ আমরা শেষ পর্যন্ত লড়েছি। আশা করি, পরের ম্যাচে এর চেয়ে অনেক ভাল খেলব এবং জিতে তিন পয়েন্ট অর্জন করব”।
আইএসএলে মোহনবাগানের পরবর্তী দুই ম্যাচই কলকাতা ডার্বি। যার প্রথমটি তারা খেলবে ফর্মে থাকা মহমেডান এসসি-র বিরুদ্ধে, ৫ অক্টোবর ও তার পরের ম্যাচটি ইস্টবেঙ্গল এফসি-র বিরুদ্ধে, ১৯ অক্টোবর, আন্তর্জাতিক ফুটবলের অবকাশের পর। ততদিনে নিজেদের কতটা শোধরাতে পারেন মোলিনা, সেটাই দেখার।
(ছবি: আইএসএল মিডিয়া)
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: এবার দি ব্রুইনদের মতো খেলার প্রশিক্ষণ পাবে কলকাতার খুদেরাও! শহরে অ্যাকাডেমি ম্যাঞ্চেস্টার সিটির