Cricket Unknown Facts: ইংল্যান্ডের হয়েও ক্রিকেট খেলেছিলেন সেফ-সোহার দাদু! ক্রিকেটের অজানা গল্প
Cricket News: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৬টি সেঞ্চুরি রয়েছে মাহির। টেস্টে ৬টি ও ওয়ান ডে ক্রিকেটে ১০টি। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, এশিয়ার বাইরে কোনও ওয়ান ডে সেঞ্চুরি নেই ধোনির।
কলকাতা: ক্রিকেট মানেই মহান অনিশ্চয়তার খেলা। আর বাইশ গজে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। এই যেমন শোয়েব আখতার। ক্রিকেটে সবচেয়ে জোরে বলটি করেছিলেন রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস। ২০০৩ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি বল তিনি করেছিলেন ঘণ্টায় ১৬১.৩ কিলোমিটার গতিতে। সেটি বিশ্বরেকর্ড।
বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (MS Dhoni)। ক্যাপ্টেন কুলের সাফল্যের ঝুলিতে রয়েছে জোড়া বিশ্বকাপ, একটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, পাঁচ-পাঁচটি আইপিএল খেতাব। তাঁর আমলেই বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট দল হয়েছিল ভারত।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৬টি সেঞ্চুরি রয়েছে মাহির। টেস্টে ৬টি ও ওয়ান ডে ক্রিকেটে ১০টি। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, এশিয়ার বাইরে কোনও ওয়ান ডে সেঞ্চুরি নেই ধোনির।
ক্রিস গেল একমাত্র ক্রিকেটার, যাঁর টেস্টে প্রথম বলে ছক্কা মারার নজির রয়েছে। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের জন্য বিখ্যাত ক্যারিবিয়ান তারকা। গেল স্টর্ম কতটা তাণ্ডব চালাতে পারে, জানে গোটা বিশ্ব। ২০১২ সালে ঢাকায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্টের প্রথম বলেই ছক্কা মেরেছিলেন গেল।
ইফতিকার আলি খান পটৌডি, অর্থাৎ, মনসুর আলি খান পটৌডির বাবা ও সেফ আলি খানের ঠাকুর্দা। তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার যাঁর ভারত ও ইংল্যান্ড - দুই দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার নজির রয়েছে।
রবি শাস্ত্রীই প্রথম ক্রিকেটার, যাঁর এক ওভারের ছয় বলে ছয় ছক্কা মারার নজির রয়েছে। ১৯৮৪-৮৫ মরশুমে রঞ্জি ট্রফিতে বঢোদরার বিরুদ্ধে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ৬ বলে ৬টি ছক্কা মেরেছিলেন শাস্ত্রী।
সচিন তেন্ডুলকরের এক বিরল কীর্তির কথা অনেকেই জানেন না। ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তানের হয়েও খেলেছেন মাস্টার ব্লাস্টার! ক্রিকেটপ্রেমীরা শুনলে অবিশ্বাস করবেন। বলবেন, কীভাবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের হয়ে খেলতে পারেন সচিন, যেখানে বরাবর মাঠে পাকিস্তানের ত্রাস ছিলেন তিনি। ঘটনা হচ্ছে, ১৯৮৭ সালে মুম্বইয়ে একটি প্রদর্শনী ম্যাচে জাভেদ মিয়াঁদাদের পরিবর্ত হিসাবে পাকিস্তানের হয়ে ফিল্ডিং করেন সচিন। তখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক হয়নি। তার ২ বছর পর, ১৯৮৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ দিয়েই তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়।
ষোড়শ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডে মূলত শিশুদের খেলা হিসাবে ক্রিকেট শুরু হয়। তখনও কেউ জানতেন না যে, এই খেলাই পরে বিশ্বে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে নেবে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।