Hardik Pandya's Journey: পাড়ার স্থানীয় টুর্নামেন্ট খেলেই নিজেকে আন্তর্জাতিক মঞ্চের জন্য তৈরি করেছিলেন হার্দিক
Hardik Pandya's Journey: দেশের অন্যতম সেরা তারকা অলরাউন্ডার। ফিটনেস সমস্যায় ভুগলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বরোদার এই তরুণকে দলে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী টিম ম্যানেজমেন্ট।
দুবাই: অভিষেকের পর থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের জাত চিনিয়েছেন হার্দিক পাণ্ড্য। দেশের অন্যতম সেরা তারকা অলরাউন্ডার। ফিটনেস সমস্যায় ভুগলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বঢোদরার এই তরুণকে দলে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে হার্দিকের আজকের এই যায়গায় পৌঁছনোর পথটা কখনওই সুগম ছিল না। বিশ্বকাপের জন্য এই মুহূর্তে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে রয়েছেন হার্দিক। সেখানেই এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, 'আমার বাবার আমার প্রতিভার উপর সবসময় বিশ্বাস ছিল। তার জন্য কখনওই উনি আমার ক্রিকেটটা বন্ধ হতে দেননি। সুরাটে সব কিছু বন্ধ করে দিয়ে গুজরাতে চলে এসেছিলাম আমরা। বঢোদরায় তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য সুযোগ ছিল। তাই বাবা চলে এসেছিলেন।'
দেশের জার্সিতে ১০০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন হার্দিক। আইপিএলে ৯২ ম্যাচ খেলেছেন। হার্দিক বলেন, 'আমার জন্য বাবা অনেক কষ্ট করেছেন। আমার সেই কষ্টের প্রতিদান দেওয়া উচিত। তাই আমি ওই সময় পাড়ার স্থানীয় টুর্নামেন্টগুলোয় খেলতাম। সেখানে নিয়ম ছিল যে যে শেষ পর্যন্ত নট আউট থাকবে তাঁকে আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হত। আমি চেষ্টা করতাম যাতে সেই প্রাইজটা প্রতিবার আমি জিততে পারি। এভাবেই আমি আমার দেশের জার্সিতে খেলার স্বপ্নপুরণ করতে চেয়েছিলাম।'
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে হার্দিক জানিয়েছেন কীভাবে জীবনের বিভিন্ন সমস্যায় মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে পেয়েছেন বড় দাদার মতো। তিনি বলেন, 'মহেন্দ্র সিংহ ধোনির অনুপস্থিতিতে ফিনিশারের রোল প্লে করাটা আমার কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। এই টুর্নামেন্ট নিয়ে আমি ভীষণভাবে উত্তেজিত। ধোনি আমাকে কাছে থেকে দেখেছে। আমাকে বোঝে খুব।'
একটা সময় বিতর্ক তাড়া করেছিল হার্দিককে। টিভি শোয়ে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য নির্বাসিত হতে হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ভারতীয় দলের অলরাউন্ডার আরও বলেন যে, ''২০১৯ সালে আমি নিউজিল্যান্ড সফর থেকে ফিরে এসেছিলাম মাঝ পথে। সেই সময় শুরুতে আমার কোনও হোটেল পাচ্ছিলাম না। সেই সময় ধোনি আমাকে নিজের হোটেল রুমে ডেকেছিল। আমার জন্য নিজের বেড ছেড়ে দিয়েছিল। বলেছিল যে ও মেঝেতেই শুয়ে পড়বে। একমাত্র এই মানুষটাই আমাকে সব সময় শান্ত রাখতে পেরেছে।''