RR vs KKR: 'সেকেন্ড হোম' গুয়াহাটিতে জয়ের খোঁজে KKR, ঘরের মাঠে দলকে জেতাতে পারবেন RR অধিনায়ক রিয়ান পরাগ?
IPL 2025: চার ম্যাচের মধ্যে গুয়াহাটিতে দুইটিতে হেরেছে রাজস্থান রয়্যালসরা। একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়। অর্থাৎ জয় বলতে কেবল এক।

গুয়াহাটি: নিজেদের মরশুমের প্রথম আইপিএল (IPL 2025) ম্যাচে পরাজিত দুই দল রাজস্থান রয়্যালস ও কলকাতা নাইট রাইডার্স (Rajasthan Royals vs Kolkata Knight Riders) বুধবার, ২৬ মার্চ প্রথম জয়ের খোঁজে মাঠে নামছে। আপাত অর্থে এটি রাজস্থানের হোম ম্যাচ হলেও, গুয়াহাটিতে রাজস্থানের যা রেকর্ড, তাতে রিয়ান পরাগরা খুব একটা আনন্দিত হবেন এমনটা নয়। চার ম্যাচের মধ্যে গুয়াহাটিতে দুইটিতে হেরেছে রয়্যালসরা। একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়। অর্থাৎ জয় বলতে কেবল এক। আবার অপরদিকে, কেকেআরের কোচ তো এটাকে অ্যাওয়ে ম্যাচ বলে মনেই করছেন না।
ম্যাচের আগেরদিন সাংবাদিক সম্মেলনে কেকেআরের বোলিং কোচ ভরত অরুণ বলেন, 'অসম তো আমাদের দ্বিতীয় ঘর, কলকাতার থেকে গুয়াহাটির দূরত্বটাই বা কত! দুই জায়গায়র মধ্যে ভাষাগত মিলও রয়েছে। এখানে আমরা জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব।' তবে কেকেআরের উদ্বেগ বাড়াবে দলের মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা। প্রথম ম্যাচে শুরুটা ভাল করেও রাসেল, রিঙ্কু, বেঙ্কটেশ আইয়ারদের ব্যর্থতার জেরে দু'শোর গণ্ডি পার করতে ব্যর্থ হয় নাইট শিবির। যদিও সেই পরাজয় নিয়ে উদ্বিগ্ন নন ভরত। তাঁর মতে প্রথম ম্যাচে জয় দিয়ে সকলেই শুরু করতে চাইলে, এক ম্যাচ হার উদ্বেগের কারণ নয়।
গত ম্যাচে সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তীর জুটি তেমন ভেল্কি দেখাতে পারেননি। রাজস্থানের নীতীশ রানা, হেটমায়ার, ধ্রুব জুরেলদের বিরুদ্ধে তাঁরা কেমন পারফর্ম করেন, তা কিন্তু ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিতে পারে। তবে এই ম্যাচে যার দিকে অবশ্যই বাড়তি নজর থাকবে, তিনি প্রাক্তন নাইট নীতীশ রানা। কেকেআরের হয়ে ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত খেলে নাইট জার্সিতে ২১৯৯ রান করেন তিনি। তবে কেকেআর সঙ্গে বিচ্ছেদটা তাঁর জন্য মিষ্টিমধুর হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়া তা নিয়ে বেশ সরগরম হয়েছিল। নিজের প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই পারফর্ম করতে বাড়তি উদ্যম নিয়ে মাঠে নামবেন রানা।
এই ম্যাচেও সঞ্জু স্যামসনের বদলে রিয়ান পরাগকেই রাজস্থানকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে। নিজের ঘরের মাঠে নিঃসন্দেহে দর্শকদের সমর্থন পাবেন রানা। তবে যে বোলিং ইউনিট গত ম্যাচেই সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে ২৮৬ রান খরচ করেছিল, সেই বোলিং ইউনিটকে কেকেআরের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে পরাগ কীভাবে সামলান, সেইদিকে সকলের নজর থাকবে। নিঃসন্দেহে এটি বড় চ্যালেঞ্জও হতে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে বলা চলে এক টানটান ম্যাচের পটভূমি তৈরি। ৪০ ওভারের লড়াই শেষে জয়ের হাসি কারা হাসেন এখন সেটাই দেখার বিষয়।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
