Manisha Kalyan: ইউরোপে নজর কেড়েছেন, এশিয়ান গেমসেও ভারতীয় ফুটবলকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন মণীষা
Asian Games: মণীষা কল্যাণ (Manisha Kalyan)। ভারতের মহিলা ফুটবল দলের অন্যতম সেরা অস্ত্র। ইউরোপেও যিনি নিজের পরিচিতি গড়ে তুলেছেন।
নয়াদিল্লি: তখন তাঁর বয়স মাত্র ২০। মানাউসে ব্রাজ়িলের রক্ষণ ছিন্নভিন্ন করে গোল করে তাক লাগিয়েছিলেন তিনি।
মণীষা কল্যাণ (Manisha Kalyan)। ভারতের মহিলা ফুটবল দলের অন্যতম সেরা অস্ত্র। ইউরোপেও যিনি নিজের পরিচিতি গড়ে তুলেছেন। নামের পাশে একাধিক রেকর্ড। ব্রাজ়িলের বিরুদ্ধে প্রথম ভারতীয় হিসাবে গোল করার নজির। উয়েফা মহিলাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম ভারতীয় হিসাবে গোল করেছিলেন। অ্যাপোলোন লেডিজ় এফসি-র হয়ে জর্জিয়ার ডব্লিউএফসি সেমগ্রেলোর বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন মণীষা।
সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থাকে (AIFF) দেওয়া সাক্ষাৎকারে মণীষা বলেছেন, 'হোশিয়ারপুরের ছোট্ট গ্রাম থেকে সাইপ্রাসের অ্যাপোলোন লেডিজ় এফসি-তে যোগ দেওয়াটা ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ। প্র্যাক্টিসে প্রায়ই আমি সকলের আগে যাই আর সবার শেষে মাঠ ছাড়ি। পরিশ্রমের ফল পাচ্ছি। খেলার প্রতি নিষ্ঠা আর অধ্যাবসায়ই আমার মূলধন। তবে আমি আত্মতুষ্ট হরতে নারাজ। এখনও অনেকটা পথ পেরতে হবে।'
ভারতীয় ফুটবলার হিসাবে অ্যাপোলোন লেডিজ় এফসি-র মতো দলে জায়গা করে নেওয়া কম কৃতিত্বের নয়, মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সাইপ্রাসের অন্যতম সেরা ক্লাব অ্যাপোলোন লেডিজ় এফসি। টানা ৯টি ডাবলস জিতেছে। মহিলাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুবারের চ্যাম্পিয়ন উমিয়া আইকে-কে হারিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল।
হরিয়ানায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা মণীষার। স্কুলে পড়তে পড়তে ফুটবলের প্রেমে পড়া। মণীষা বলছেন, 'আমি অনেক আত্মত্যাগ করেছি। চাই না সেগুলো ব্যর্থ হোক। অর্থনৈতিক সমস্যা ছিল। পারিবারিক সমস্যা ছিল। বিশেষ করে বাবার দুর্ঘটনার পরে। তবে এই প্রতিবন্ধকতা থেকেই আমি শিক্ষা নিয়েছি। আমার মনোবল বেড়েছে। সব ধরনের বাধা সামলে এগিয়ে চলার মনস্থির করি।'
মণীষা আরও বলেছেন, 'সাইপ্রাসে থেকে মাঝে মধ্যে বাড়ির জন্য মন খারাপ হয়। বাড়ি থেকে এত দূরে থাকাটাই একটা পরীক্ষা। শারীরিক ও মানসিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়াটাই বিরাট ব্যাপার ছিল আমার কাছে। কখনও মনে সংশয় তৈরি হলে মনে করি এখানে পৌঁছতে কী কী সহ্য করতে হয়েছে, সেই কথা। তাতেই আরও ভাল কিছু করার প্রেরণা পাই।
ফেব্রুয়ারি মাসে চেন্নাইয়ে নেপালের বিরুদ্ধে দুটি প্রীতি ম্যাচে ভারতীয় দলে খেলেছেন মণীষা। এশিয়ান গেমসে ও অলিম্পিক্সে মহিলাদের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বে ভারতীয় দলের অন্যতম ভরসা। মণীষা বলছেন, 'ভীষণ রোমাঞ্চিত লাগছে। জাতীয় দলের সতীর্থ ও কোচদের সঙ্গে ফের থাকব ভেবেই ভাল লাগছে। দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়াটা গর্বের।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন