(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
CAB Cricket: লক্ষ্য বাংলার পরবর্তী প্রজন্মকে তুলে আনা, ভিশনের পরিবর্তে নতুন প্রকল্পের ঘোষণা সিএবি-র
Eden Gardens: ইউনিফর্ম ডিস্ট্রিক্ট কোচিং প্রকল্পে ১৮ জেলার ১৮ কোচ মোট ৭২০ উঠতি ক্রিকেটারকে প্রশিক্ষণ দেবেন। লক্ষ্য, বাংলা ক্রিকেটের পরবর্তী প্রজন্মকে তৈরি করা।
কলকাতা: সময়ের অভাবে ভিশন ২০২০ প্রকল্প আপাতত মুলতুবি রাখছে বঙ্গ ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা সিএবি (CAB)। পরিবর্তে সব জেলা থেকে ক্রিকেটার তুলে আনতে নতুন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করলেন সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় (Snehasish Ganguly)। ইউনিফর্ম ডিস্ট্রিক্ট কোচিং প্রকল্পে ১৮ জেলার ১৮ কোচ মোট ৭২০ উঠতি ক্রিকেটারকে প্রশিক্ষণ দেবেন। লক্ষ্য, বাংলা ক্রিকেটের পরবর্তী প্রজন্মকে তৈরি করা।
বুধবার সন্ধ্যায় পাশে যুগ্মসচিব দেবব্রত দাসকে বসিয়ে সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস বলছিলেন, 'আমরা জেলার ৩৬ জন কোচকে নিয়ে বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার দেবাঙ্গ গাঁধী ও অরিন্দম দাসের তত্ত্বাবধানে দুদিনের শিবির করেছিলাম। সেখান থেকে ১৮ জন কোচকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। অনূর্ধ্ব ১৮ বিভাগের ৩৬০ ও অনূর্ধ্ব ১৫ বিভাগের ৩৬০ ক্রিকেটারকে নিয়ে মোট ৭২০ জন ক্রিকেটারের প্রশিক্ষণ শিবির হবে। সবাই যাতে একই কোচিং পদ্ধতি অনুসরণ করে, তা নিশ্চিত করতে চাইছি। পুরো কর্মকাণ্ডের তত্ত্বাবধান করবেন প্রাক্তন ক্রিকেটার অশোক মলহোত্র, ইন্দুভূষণ রায় ও শরদিন্দু মুখোপাধ্যায়।'
উঠতি প্রজন্মকে তুলে আনতে স্থানীয় ক্রিকেটেও বড় সড় পরিবর্তন করছে সিএবি। স্নেহাশিস বলছিলেন, 'আসন্ন মরশুম থেকে প্রথম ডিভিশনের গ্রুপ বি ও সি-তে প্রত্যেক দলের প্রথম একাদশে একজন অনূর্ধ্ব ১৯ ও একজন অনূর্ধ্ব ১৬ ক্রিকেটার বা দুজন অনূর্ধ্ব ১৬ ক্রিকেটার খেলানো বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। দ্বিতীয় ডিভিশনে দুজন অনূর্ধ্ব ১৬ ক্রিকেটার খেলানো বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। তাতে অন্তত ৪জন করে জুনিয়র ক্রিকেটারকে দলে রাখতে হবে ক্লাবগুলোকে। উঠতি ক্রিকেটারদের সামনে সুযোগও বাড়বে। বাংলার ক্রিকেট এতে উপকৃত হবে।'
তবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভিশন ২০২০ প্রকল্প আপাতত মুলতুবি রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্নেহাশিস। বলেছেন, 'সময়ের অভাবে ভিশন প্রকল্প এ বছর হচ্ছে না। তবে আমরা ওই প্রকল্প শুরু করব। হয়তো ভিশন ২০২৫ নামে। সিনিয়র বাংলা দল নয়, খুদে ক্রিকেটারদের দিকেই থাকবে নজর।'
বিশ্বকাপের টিকিট নিয়ে কৌতূহলের অন্ত নেই। সিএবি থেকে প্রথম ডিভিশনের ক্লাবগুলিকে ২৫০টি করে, দ্বিতীয় ডিভিশনের ক্লাবগুলিকে ১৫০টি করে ও জেলা সংস্থাগুলিকে ৬০টি করে ম্য়াচ টিকিট দেওয়ার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু বোর্ড থেকে আরও বেশি ম্যাচ টিকিট বিক্রি করার জন্য চাপ দেওয়ায় সেই নোটিশ আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। বোর্ড সচিব জয় শাহর সঙ্গে আলোচনা করে এসেছেন স্নেহাশিসরা। সিএবি-র আশা, তাদের যে অনুমোদিত সংস্থাকে টিকিট দেওয়ার দায়বদ্ধতা অনেক বেশি, বোর্ডকে তা বোঝাতে সক্ষম হবেন।
১৮ জেলা থেকে ইউনিফর্ম ডিস্ট্রিক্ট কোচিং করাবেন যাঁরা - সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায় (কোচবিহার), কুণাল বসু (বর্ধমান), শিবনাথ রায় (মানভূম), অরিজিৎ মজুমদার (হাওড়া), তীর্থ রায় (মেদিনীপুর), সুশান্ত দাস (মুর্শিদাবাদ), মিঠুন মজুমদার (জলপাইগুড়ি), অদ্রিশ বন্দ্যোপাধ্যায় (নদিয়া), নাভেদ আমেদ (দক্ষিণ ২৪ পরগনা), শুভ্র সেন রায় (মালদা), অরূপ ত্রিপাঠি (হুগলি), দিলীপ বিশ্বাস (বীরভূম), সৌনক দাস (শিলিগুড়ি), সুরজিৎ দাস (চন্দননগর), সুদীপ মিত্র (উত্তর ২৪ পরগনা), শঙ্খ শুভ্র কর্মকার (দক্ষিণ দিনাজপুর), বিশ্বজিৎ মণ্ডল (উত্তর দিনাজপুর) ও সত্যেন্দ্র সিংহ (বাঁকুড়া)।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নেওয়ার দিন আরও উদ্বেগের খবর দিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন