Nathan Lyon: ওয়ার্ন-ম্যাকগ্রার পর লায়ন, অনবদ্য রেকর্ড গড়ে ফেললেন অজি স্পিনার
Aus vs England: গাব্বায় বিরল এক তালিকায় ঢুকে পড়লেন নাথান লায়ন (Nathan Lyon)। টেস্ট ক্রিকেটে চারশো উইকেট হয়ে গেল তাঁর। বিশ্ব ক্রিকেটের ১৭তম বোলার হিসাবে।
ব্রিসবেন: গাব্বায় বিরল এক তালিকায় ঢুকে পড়লেন নাথান লায়ন (Nathan Lyon)। টেস্ট ক্রিকেটে চারশো উইকেট হয়ে গেল তাঁর। বিশ্ব ক্রিকেটের ১৭তম বোলার হিসাবে। তবে খুব বেশি অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারের এই কৃতিত্ব নেই। তৃতীয় অজি ক্রিকেটার হিসাবে এই তালিকায় নাম লেখালেন লায়ন।
১০১টি টেস্ট খেলে লায়নের উইকেটসংখ্যা দাঁড়াল ৪০৩। কিংবদন্তি শেন ওয়ার্নের (Shane Warne) ১৪৫ টেস্টে ৭০৮ উইকেট রয়েছে। অস্ট্রেলীয়দের মধ্যে তিনিই সেরা। সর্বকালের সর্বোচ্চ উইকেশিকারিদের তালিকায় দুই নম্বরে রয়েছেন ওয়ার্ন। মুথাইয়া মুরলীধরনের ঠিক পিছনেই। তালিকায় দ্বিতীয় অস্ট্রেলীয় আর এক কিংবদন্তি। তিনি, গ্লেন ম্যাকগ্রা (Glenn McGrath) অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্টে ৫৬৩টি উইকেট নিয়েছেন। তালিকায় তৃতীয় অস্ট্রেলীয় হিসাবে ঢুকে পড়লেন লায়ন।
অ্যাশেজ সিরিজ (The Ashes 2021-22) শুরু হওয়ার আগে থেকেই বিতর্কে জর্জরিত ছিল অস্ট্রেলিয়া (Eng vs Aus। মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে সমস্ত বিতর্কের জবাব দিল অস্ট্রেলিয়া। গাব্বায় (Gabba) অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে ৯ উইকেটে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিলেন কামিন্স-স্টিভ স্মিথরা। অজিরা এগিয়ে গেলে ১-০ ব্যবধানে। আর দলের জয়ে উজ্জ্বল অবদান রাখলেন নাথান লায়ন। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে উইকেটহীন ছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তুলে নিলেন ৪ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে চারশো উইকেট হয়ে গেল তাঁর।
দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের হয়ে ব্যাট হাতে পাল্টা লড়াই শুরু করেছিলেন ডাভিড মালান ও জো রুট। ব্যক্তিগত ৮২ রানে থাকা মালানকে ফিরিয়ে দিয়ে ইংল্যান্ড শিবিরে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা দেন লায়নই। জো রুট ৮৯ রান করে ফেরেন। তৃতীয় উইকেটে ১৬২ রান যোগ করেছিলেন রুট ও মালান। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ২৯৭ রানে।
জয়ের জন্য ২০ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। এক উইকেট হারিয়ে সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা। ৯ উইকেটে টেস্ট জিতে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেলেন কামিন্সরা। প্রথম ইনিংসে ১৫২ রান করে ম্যাচে সেরা হয়েছেন ট্র্যাভিস হেড।
অস্ট্রেলিয়ার ৪৭তম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দুরন্ত ভঙ্গিমায় শুরুটা করলেন প্যাট কামিন্স। গাব্বায় প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডকে নয় উইকেটে ধরাশায়ী করে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ লিড নিয়ে নিলেন অজিরা। কামিন্স নিজেও বল হাতে সফল। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট সহ দুই ইনিংস মিলিয়ে তাঁর বোলিং পরিসংখ্যান ৮৯ রানে সাত উইকেট। অজি অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম ম্যাচে এটাই সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। ১৯৫৮ সালে রিচি বেনোও একই মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম ম্যাচে সাত উইকেট পেয়েছিলেন (১১২ রানে সাত উইকেট)। সেই নজির স্পর্শ করলেন কামিন্স।