(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
ODI World Cup Anniversary: বিশ্বজয়ের দিনে কী করছেন 'ক্যাপ্টেন'? এখন পাখির চোখ অন্য
দশ বছরের পরে ফের ২ এপ্রিল। ফের সেই মুম্বই। ফের সন্ধ্যায় ফ্লাডলাইটের আলোয় ব্যাট করতে নামছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। পিঠে জ্বলজ্বল করছে সেই সাত নম্বর জার্সি। তফাত বলতে, মাঠটা ওয়াংখেড়ে নয়। ব্রেবোর্ন স্টেডিয়াম। আর জার্সির রং নীল নয়। হলুদ।
কলকাতা: ঐতিহাসিক ২ এপ্রিল। ভারতীয় ক্রিকেটের রূপকথায় জায়গা করে নেওয়া দিন। তিলকরত্নে দিলশানের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফিরলেন বিরাট কোহলি। গোটা ওয়াংখেড়ে থমথমে। শুরু হয়ে গিয়েছে যুবরাজ সিংহের ক্রিজে আসার প্রতীক্ষা। অথচ কোথায় যুবি। ড্রেসিংরুম থেকে ব্যাট হাতে বেরিয়ে এলেন সাত নম্বর জার্সি। জুনিয়র ক্রিকেটে যুবরাজের সঙ্গে যাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা লোকের মুখে মুখে ফেরে। তাহলে কি পুরনো দ্বৈরথের হিসেব মেটাতেই সতীর্থকে পিছনে ঠেলে তিনি নেমে পড়লেন আগে ব্যাট করতে?
ম্যাচ জিতিয়ে যাবতীয় প্রশ্নের জবাব দিয়ে দিয়েছিলেন সেদিনের সেই সাত নম্বর জার্সি পরা মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। কোনও বৈরিতা নয়, কিংবদন্তি মুথাইয়া মুরলীধরনের অফস্পিনকে নির্বিষ করে দেওয়ার লক্ষ্যে বাঁহাতি যুবিকে না পাঠিয়ে নিজেই ব্যাট করতে নেমে পড়েছিলেন। শ্রীলঙ্কার ২৭৪/৬ তাড়া করতে নেমে ভারত যখন তিন উইকেট হারিয়ে ১১৪, তখন ক্রিজে রক্ষাকর্তা হয়ে হাজির হন রাঁচির তরুণ। ততদিনে চাপের মুখে বরফশীতল মস্তিষ্কে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার পারদর্শিতার জন্য বিশ্ব যাঁকে 'ক্যাপ্টেন কুল' নামকরণ করে ফেলেছে। সেদিন মুরলীধরন-লাসিথ মালিঙ্গাদের যাবতীয় চ্যালেঞ্জ আরব সাগরে ভাসিয়ে ৭৯ বলে অপরাজিত ৯১ রান করেছিলেন মাহি। ২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ফের ওয়ান ডে-তে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত।
দশ বছরের পরে ফের ২ এপ্রিল। ফের সেই মুম্বই। ফের সন্ধ্যায় ফ্লাডলাইটের আলোয় ব্যাট করতে নামছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। পিঠে জ্বলজ্বল করছে সেই সাত নম্বর জার্সি। তফাত বলতে, মাঠটা ওয়াংখেড়ে নয়। ব্রেবোর্ন স্টেডিয়াম। আর জার্সির রং নীল নয়। হলুদ। জাতীয় দলের হয়ে নয়, ধোনি ব্যাট করছেন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে।
শুক্রবার, ২ এপ্রিল ধোনিদের বিশ্বকাপ জয়ের এক দশক পূর্ণ হল। দশম বর্ষপূর্তিতে নিজেকে প্র্যাক্টিসেই নিমগ্ন রেখেছেন মাহি। তাঁর কাছে পাখির চোখ চতুর্থ আইপিএল ট্রফি। তাই বিশ্বকাপ জয়ের দশ বছর সম্পূর্ণ হচ্ছে বলে আলাদা কোনও সেলিব্রেশন করছেন না ধোনি।
আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের প্রথম ম্যাচ ১০ এপ্রিল। প্রতিপক্ষ ঋষভ পন্থের দিল্লি ক্য়াপিটালস। তার আগে চেন্নাইয়ের প্রস্তুতি শিবির সেরেছিল সিএসকে। তারপর তল্পি গুটিয়ে আগেভাগেই পৌঁছে গিয়েছে মুম্বইয়ে। সেখানেই চলছে ধোনিদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। শুক্রবার দুপুরে মুম্বই থেকে মোবাইল ফোনে সিএসকে দলের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) কাশী বিশ্বনাথন মোবাইল ফোনে এবিপি লাইভকে বললেন, 'ধোনির অধিনায়কত্বে বিশ্বকাপ জয়ের দশ বছর পূর্তিতে সিএসকে দলের তরফ থেকে ওকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। ট্যুইট করা হয়েছে। তবে ধোনি কোনও সেলিব্রেশন চায় না। তাই কেক কাটা বা সেরকম কিছুই হচ্ছে না। আমাদের রেগুলার রুটিনই আজ অনুসরণ করা হচ্ছে। সকালে জিম, দুপুরে টিমহোটেলে সুইমিং সেশন। সন্ধেবেলা মাঠে নেট প্র্যাক্টিস করবে ধোনি। ব্যাটিংয়ে বাড়তি সময় দিচ্ছে ও।' কাশী যোগ করলেন, 'গতবারের আইপিএলে আমাদের পারফরম্যান্স ভাল হয়নি। এবার ছবিটা পাল্টাতে বদ্ধপরিকর মাহি। তাই প্রস্তুতি নিয়ে ভীষণ সিরিয়াস। বিশ্বকাপ জয়ের দশ বছর পূর্তির মতো বিশেষ একটা দিনেও নিজেকে প্রস্তুতিতে ডুবিয়ে রেখেছে।'
হাসপাতালে ভর্তি করা হল করোনা আক্রান্ত সচিনকে
চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক হিসাবে তিনটি আইপিএল জিতেছেন। বরাবরই সাফল্য-ব্যর্থতায় নির্লিপ্ত থাকা স্বভাব ধোনির। বিশ্বকাপ জয়ের দশম বার্ষিকীতে তাই ক্যাপ্টেন কুলের ক্রিকেট ডায়েরিতে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে চতুর্থ আইপিএল ট্রফি জেতার হাতছানি।