Ranji Trophy: রঞ্জি সেমিফাইনালে সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ময়ঙ্ক একাই দুশো, কর্নাটক তুলল ৪০৭ রান
BCCI Domestic: ময়ঙ্কের পর কর্নাটকের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার এস শরথ। ৬৬ রান করেছেন তিনি। বাকিদের রান যথাক্রমে ৩, ৯, ১৮, ৭, ১৫, ২, ৬, ১৫ ও ১।
বেঙ্গালুরু: রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে (Ranji Trophy) কর্নাটকের হয়ে একাই লড়লেন ময়ঙ্ক অগ্রবাল (Mayank Agarwal)। সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোটা সেমিফাইনালের ছবিটাই পাল্টে গেল ময়ঙ্কের অনবদ্য ইনিংসের জন্য (Sourashtra vs Karnataka)। প্রথম ইনিংসে ৪০৭ রান তুলেছে কর্নাটক। তার মধ্যে ময়ঙ্ক একাই দুশো! ৪২৯ বলে ২৪৯ রান করেন ময়ঙ্ক। তিনি রান আউট না হয়ে গেলে কর্নাটকের স্কোর আরও বাড়তে পারত।
ময়ঙ্কের পর কর্নাটকের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার এস শরথ। ৬৬ রান করেছেন তিনি। বাকিদের রান যথাক্রমে ৩, ৯, ১৮, ৭, ১৫, ২, ৬, ১৫ ও ১। দেবদত্ত পড়িক্কল, মণীশ পাণ্ডেদের মতো নামী ব্যাটার থাকা সত্ত্বেও। ময়ঙ্কের ইনিংস সাজানো ২৮টি চার ও ৬টি ছক্কা দিয়ে। সৌরাষ্ট্রের প্রথম ইনিংস শেষ হওয়ার পর ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে সৌরাষ্ট্র। দ্বিতীয় দিনের খেলার শেষে সৌরাষ্ট্রের স্কোর ৭৬/২। দুটি উইকেটই নিয়েছেন কাভেরাপ্পা। কর্নাটক এখনও ৩৩১ রানে এগিয়ে।
ভাল জায়গায় বাংলা
মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৪৩৮ রান তোলার পর দিনের শেষে প্রতিপক্ষকে ৫৬/২ করে দিয়েছে বাংলা। একটি করে উইকেট পেয়েছেন আকাশ দীপ ও ঈশান পোড়েল। এখনও ৪০২ রানের লিড বাংলার হাতে। এবং মধ্যপ্রদেশ শিবিরের শরীরী ভাষা বলছে, চাপে পড়ে গিয়েছেন গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচ বাঁচানো অগ্নিপরীক্ষা হতে চলেছে হিমাংশু মন্ত্রী, বেঙ্কটেশ আইয়ারদের।
প্রথম ইনিংসে বড় রান তুলল বাংলা (Ben vs MP)। মনোজ তিওয়ারিদের (Manoj Tiwary) প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৪৩৮ রানে। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন আরও ১৩১ রান যোগ করে বাংলা। ব্যাট হাতে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিলেন অভিষেক পোড়েল ও মনোজ নিজে।
ইনদওরের হোলকার স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ম্যাচের প্রথম দিন বাংলা শেষ করেছিল ৩০৭/৪ স্কোরে। সেখান থেকে আরও ১৩১ রান যোগ করল বাংলা। প্রথম দিন ব্যাট হাতে দলকে ভাল জায়গায় রেখেছিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার ও সুদীপ ঘরামি। দুজনই সেঞ্চুরি করেছিলেন। দ্বিতীয় দিন বাংলার ইনিংসকে টানলেন মনোজ ও অভিষেক।
মনোজ ৪২ রানে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। তবে আউট হওয়ার বল দেখেও উৎসাহিত হতে পারেন বঙ্গ অধিনায়ক। কারণ, কুমার কার্তিকেয়র বল পিচে পড়ে এতটা ঘুরেছে ও লাফিয়েছে যে, এই পিচে বাংলার স্পিনাররাও এরকম ডেলিভারি করলে মধ্য প্রদেশের ব্যাটাররা চাপে পড়বেন।
হাফসেঞ্চুরি করেন অভিষেক পোড়েল। তবে প্রদীপ্ত প্রামাণিকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান। ব্যক্তিগত ৫১ রানে। প্রদীপ্ত ২১ রান করেন। তবে টেল এন্ডাররা আর কেউ রান পাননি।
মধ্যপ্রদেশের বোলারদের মধ্যে কুমার কার্তিকেয় ৩ উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট গৌরব যাদব ও অনুভব অগ্রবালের। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৮ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৫৬ রান তুলেছে মধ্যপ্রদেশ। ক্রিজে দুই নাইট ওয়াচম্যান সারাংশ জৈন ও অনুভব অগ্রবাল।
আরও পড়ুন: ABP Exclusive: ১০৬৭-র জবাবে প্রতিপক্ষ অল আউট মাত্র ৪ রানে! মেয়র্স কাপে বিরল রেকর্ড