Rishabh Pant: হাঁটু, আঙুল, গোড়ালি এখনও ফুলে, করা গেল না পন্থের এমআরআই স্ক্যান
Rishabh Pant Health Update: গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর চোট পেয়েছেন ঋষভ পন্থ। ডান হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়েছে। ডান হাতের কব্জি, গোড়ালি, পায়ের পাতায় চোট রয়েছে।
নয়াদিল্লি: কেমন আছেন ঋষভ পন্থ? গোটা দেশের ক্রীড়াপ্রেমী মানুষের মনে একটাই প্রশ্ন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বারবার পন্থের আরোগ্য কামনায় ট্যুইট করছেন অনুরাগীরা। চিকিৎসকরা বলছেন ভারতীয় দলের তরুণ উইকেট কিপার ব্যাটার এখন আগের তুলনায় অনেক ভাল আছেন। তবে হাঁটু, আঙুল, গোড়ালি এখনও ফুলে রয়েছে তাঁর। ফলে করা সম্ভব হচ্ছে না এমআরআই স্ক্যান।
গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর চোট পেয়েছেন ঋষভ পন্থ। ডান হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়েছে। ডান হাতের কব্জি, গোড়ালি, পায়ের পাতায় চোট রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় দলের তারকা উইকেট কিপার ব্যাটারকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আইসিইউ থেকে এবার প্রাইভেট কেবিনে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে পন্থকে।
এই মুহূর্তে কিছুটা সুস্থ আছেন পন্থ। কিন্তু ক্রমাগত তাঁকে দেখার জন্য যেভাবে রাজনৈতিক ব্যক্তি থেকে হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিরা আসছেন, তাতে বিশ্রামে ব্যাঘাত ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য পন্থকে দেরাদূন থেকে উড়িয়ে নিয়ে আসা হতে পারে দিল্লিতে। তাঁকে দিল্লির এএইএমস-এ ভর্তি করানো হতে পারে। শ্যাম শর্মা বলেন, ''একে তো প্রতি মুহূর্তে লোকজনের ভিড় বাড়ছে। নেতা-মন্ত্রী থেকে অভিনেতা, সাধারণ মানুষ সবাই ওর সঙ্গে দেখা করতে চিয়াছে। সেইজন্য পন্থের পরিবারের লোকজন খুবই চিন্তিত। এরমধ্যে আবার অন্য রোগীদের সঙ্গে থাকার জন্য সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই পন্থকে প্রাইভেট ওয়ার্ডে সরিয়ে নেওয়া হল।''
মদ্যপ ছিলেন পন্থ?
দুর্ঘটনার সময় কি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন ঋষভ পন্থ? প্রকৃতিস্থ অবস্থায় ছিলেন না বলেই কি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে তাঁর গাড়ি? দিল্লি থেকে উত্তরাখণ্ড যাওয়ার পথে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন পন্থ। তারপর থেকেই উঠছে এই প্রশ্ন। তবে শনিবার উত্তরাখণ্ড পুলিশ জানিয়েছে যে, হরিদ্বারের কাছে যখন পন্থের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন না। এমনকী, তাঁর গাড়ির গতিবেগও অতিরিক্ত ছিল না বলে জানিয়েছে পুলিশ। যদিও সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, প্রবল গতিতেই ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে এগিয়ে যাচ্ছে পন্থের গাড়ি।
পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, মদ্যপ অবস্থায় থাকলে কেউ দিল্লি থেকে ২০০ কিলোমিটার রাস্তা কোনও সমস্যা ছাড়া চালিয়ে আসতে পারত না। বলা হচ্ছে, রুরকির হাসপাতালে যে চিকিৎসক পন্থের প্রাথমিক চিকিৎসা করেছিলেন, তিনিও জানিয়েছিলেন যে, পন্থ মদ্যপ ছিলেন না।