Sir Clive Lloyd: সোনার ব্রেসলেট দিয়ে ক্লাইভ-বরণ সিএবির, টেস্ট ক্রিকেটের হয়ে ব্যাট ধরলেন কিংবদন্তি
Eden Gardens: সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ় এখন নেই। বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জনের পথেও হোঁচট খেতে হচ্ছে। তবু কদর কমেনি স্যর ক্লাইভ লয়েডের (Sir Clive Lloyd)।
কলকাতা: তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের স্বর্ণযুগের কাণ্ডারি। তাঁর আমলে ক্যারিবিয়ান দলকে সমীহ করত না, এমন কোনও দল ছিল না ক্রিকেট বিশ্বে। সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ় এখন নেই। বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জনের পথেও হোঁচট খেতে হচ্ছে। তবু কদর কমেনি স্যর ক্লাইভ লয়েডের (Sir Clive Lloyd)।
শনিবার তাঁকে সংবর্ধনা জানাল সিএবি (CAB)। সোনার ব্রেসলেট উপহার দেওয়া হল ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তিকে। হাজির ছিলেন সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট অমলেন্দু বিশ্বাস, সচিব নরেশ ওঝা, যুগ্মসচিব দেবব্রত দাস, কোষাধ্যক্ষ প্রবীর চক্রবর্তীরা।
আর ঐতিহ্যবাহী ইডেন গার্ডেন্সে দাঁড়িয়ে টেস্ট ক্রিকেটের হয়ে ব্যাট ধরলেন স্যর ক্লাইভ। বললেন, 'টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে আমার কোনও বিরোধিতা নেই। ক্রিকেটাররা দুহাতে রোজগার করবে, এটা তো খুবই ভাল ব্যাপার। তবে আমি এটা দেখার অপেক্ষায় থাকি যে তিন কিংবা পাঁচটি টেস্ট ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আরও বেশি আয়োজন করা হচ্ছে। সেটা হলে আমি আরও খুশি হব।” এখানেই অবশ্য থেমে থাকেননি তিনি। লয়েড টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটকে বিদ্রুপও করেন। বলেন, “আমার মতে টেস্ট ক্রিকেটই হল আসল পরীক্ষা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট তো অনেকটা প্রদর্শনী ম্যাচের মতো।”
শনিবার সন্ধ্যায় লয়েডকে সম্মান জানানোর আগে তাঁকে ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়া হয়েছিল। প্রাক্তন ক্যারিবিয়ান অধিনায়কের কেরিয়ার নিয়ে একটি ১০ মিনিটের ভিডিও দেখানো হয়। এর পর সিএবি-র তরফ থেকে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় সোনার ব্রেসলেট ও ব্লেজার। এর পর ইডেনের প্রসঙ্গ আবেগঘন হয়ে লয়েড বলেন, “আরও একবার ইডেনে পা রাখলাম। দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক হিসেবে ভারত সফরে এসে এই মাঠে টেস্ট খেলেছিলাম। শুধু আমি নই, আমাদের দেশের একাধিক ক্রিকেটার ইডেনে খেলতে পচ্ছন্দ করে। এই মাঠ, এই গ্যালারির মধ্যে আলাদা একটা ব্যাপার রয়েছে। সেই টানেই বারবার ইডেনে ফিরে আসা।”
কেরিয়ারে তিনটি টেস্ট ইডেনে খেলেছেন লয়েড। তার মধ্যে জয় একটি ম্যাচে। ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের পর ভারত সফরে এসেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই সফরে কপিল দেবের বিশ্বজয়ী দলকে দুরমুশ করে চলে যান স্যর ভিভিয়ান রিচার্ডস-জোয়েল গার্নার-ম্যালকম মার্শালরা। ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জেতার পর, পাঁচ ম্যাচের একদিনের সিরিজে ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল ক্যারবিয়ানরা। সেবার ইডেনেই ২৯০ বলে ১৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন লয়েড। তাঁর দল ইনিংস ও ৪৬ রানে জয় পেয়েছিল। সেই পয়া মাঠেই আবার ফিরলেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি।
আরও পড়ুন: Avishek Das: ফাইনালে ভারতের স্বপ্নভঙ্গ ঘটানো বাঙালি ক্রিকেটার ৪ বছর মাঠের বাইরে! ২২ গজে ফিরবেন কবে?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে