Yuvabharati Chaos : 'তারপরে মেসির পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ, আর একটা হোমগার্ডের চাকরি দিতেন মমতা...', খোঁচা শতরূপের
Lionel Messi in Kolkata: বিরক্তি ক্রমেই বিশৃঙ্খলার রূপ নেয়। এরপর মেসি মাঠ ছাড়তেই গ্য়ালারি থেকে মাঠে নেমে আসে ভক্তরা।

মেসির অনুষ্ঠানে বেনজির বিশৃঙ্খলা। যা ঘিরে তোলপাড় রাজ্য। হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেও, শুধুমাত্র মন্ত্রী ও VVIP-দের ভিড়ের দেওয়ালে চাপা পড়ে যাওয়ায়, গ্যালারি থেকে মেসিকে দেখতে না পাওয়ার অভিযোগ ঘিরে গত পরশু যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নেয় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। বোতল-বৃষ্টি থেকে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বাদ যায়নি কিছুই। প্রিয় ফুটবল তারকাকে সামনে থেকে দেখতে না পাওয়ার যন্ত্রণা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় মেসি-ভক্তদের। টিকিটের টাকা ফেরতের দাবিও জানান অনেকে। রাজ্য পুলিশের DG রাজীব কুমারও বলেছেন, টিকিটের টাকা রিফান্ড করা উচিত। টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হলে তা কবে দেওয়া হবে এবং কীভাবে তা দেওয়া হবে, জানতে চান ক্ষুব্ধ মেসি-ভক্তরা। এই পরিস্থিতিতে ঘটনা নিয়ে বিরোধীরা একযোগে নিশানা করছে পুলিশ এবং রাজ্যের শাসক দলকে।
আক্রমণ শানিয়ে সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ বলেন, "ক্রেটের পর ক্রেট জল ঢুকিয়ে নেওয়া যায়। জলের বোতল ঢুকিয়ে নেওয়া যায় । তার মানে, রাতে কেউ চাইলে যুবভারতীতে বোমাও ঢুকিয়ে নিতে পারে। বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মেসিকে মেরেও দিতে পারত। তারপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেসির পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ, আর একটা হোমগার্ডের চাকরি দিতেন। ঘটনাটা কী ঘটেছে ? ওখানে জল বিক্রির নাম করে অরূপ বিশ্বাসে ইলেকশন ফান্ডের টাকা তোলা হচ্ছিল। প্রথমে যুবভারতীর ভিতরে জলের বোতল নিষিদ্ধ করা হল। বলা হল, ভিতরে জলের ব্যবস্থা থাকবে। কোনও ব্যবস্থা রাখা হল না। একদিনে যুবভারতী থেকে তোলা হয়েছে...অরূপ বিশ্বাসের লোক তুলেছে। ক'দিন পরে ভোট আসছে, ইলেকশন করবে বলে। সুতরাং তৃণমূল কংগ্রেসের জোচ্চুরি, কালোবাজারির আর একটা উদাহরণ এই ঘটনা।"
শনিবার ঠিক সাড়ে ১১টায় যুবভারতীর মাঠে ঢোকে ফুটবলের রাজপুত্র লিওনেল মেসির গাড়ি। মেসি-ভক্তদের ভিড়ে সে এক অন্য়রকম যুবভারতী। অনেক দিন পর কানায় কানায় ভিড় দেখল এই স্টেডিয়াম। মাঠে মুহূর্মুহু স্লোগান। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে সেই আবেগ রূপ নেয় বিরক্তিতে। মেসিভক্তদের দাবি, নিরাপত্তারক্ষী, পুলিশ, মন্ত্রী ও VVIP-দের ভিড়ের মাঝে, গ্যালারি থেকে মেসিকে সেভাবে দেখাই যায়নি। হাজার হাজার টাকার টিকিট কেটেও, স্বপ্নের ফুটবলারকে ভালভাবে দেখতে না পেয়ে ক্ষোভ ফেটে পড়েন কেউ কেউ।
বিরক্তি ক্রমেই বিশৃঙ্খলার রূপ নেয়। এরপর মেসি মাঠ ছাড়তেই গ্য়ালারি থেকে মাঠে নেমে আসে ভক্তরা। তাণ্ডব শুরু হয়, গ্য়ালারির চেয়ার ভাঙচুর, জলের বোতল ছোড়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্যত হিমসিম খায় পুলিশ।






















