Tech Tips: ক্রমশ 'স্লো' হয়ে যাচ্ছে আপনার ডেস্কটপ? সহজ কয়েকটি কৌশলে হবে সমস্যার সমাধান
Slow PC: যত হাই কোয়ালিটির কম্পিউটারই হোক না কেন, কয়েক বছর পর তা ধীর গতিতে কাজ করা শুরু করবে। এক্ষেত্রে কী কী করণীয়?
Tech Tips: যেকোনও জিনিসই পুরনো হলে বয়স বাড়লে কর্মক্ষমতা কমে। মানুষের ক্ষেত্রেও একথা প্রযোজ্য। আর যদি এই জিনিস হয় ইলেকট্রনিক ডিভাইস (Electronic Device) তাহলে যত পুরনো হবে ততই স্লো হয়ে যাবে ডিভাইস, অর্থাৎ ধীর গতিতে কাজ করবে। ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের (Electronic Gadgets) মধ্যে এই তালিকায় রয়েছে ফোন, ল্যাপটপ এমনকি ডেস্কটপ বা PC। আর তাই দেখা যায় হয়তো আপনি খুব ভাল কনফিগারেশনের PC কিনেছেন, কিন্তু তাও কয়েক বছরের মধ্যেই সাধারণ কিছু কাজ যেমন ওয়েব ব্রাউজিং, ভিডিও স্ট্রিমিং, কনটেন্ট ক্রিয়েটিং- এইসব ক্ষেত্রে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে ইউজারদের। কারণ মেশিন অসম্ভব স্লো হয়ে গিয়েছে। হাই-এন্ড কম্পিউটারের ক্ষেত্রে এমনটা হওয়ার কথা নয়, এটাই ভাবেন ইউজাররা। তবে বাস্তবে বিষয়টা একটু আলাদা। যত হাই কোয়ালিটির কম্পিউটারই হোক না কেন, কয়েক বছর পর তা ধীর গতিতে কাজ করা শুরু করবে।
এক্ষেত্রে কয়েকটি কৌশল বা ট্রিকস ব্যবহার করে আপনি আপনার ডিভাইসের কাজ করার গতি এবং শক্তি বাড়াতে পারেন। কী কী করবেন, চটজলদি দেখে নেওয়া যাক।
- আপনার PC স্লো হয়ে গেলে সবার আগে স্টার্টআপ অ্যাপের সার্ভিস বন্ধ করুন। উইন্ডোজ পরিচালিত PC- র ক্ষেত্রে কোনও নতুন অ্যাপ ইনস্টল করলে প্রায় সব ক্ষেত্রে ওই অ্যাপ স্টার্টআপে রান করানোর জন্য অনুমতি থাকে ডিফল্ট ফিচার হিসেবে। ফলে অ্যাপ নিজে থেকেই খুলে যায় এবং PC অন বা চালু করা মাত্রই ব্যাকগ্রাউন্ডে ওই অ্যাপ রান করতে শুরু করে। এর ফলে আপনার PC স্লো হয়ে যায় এবং অনেক বেশি শক্তি ক্ষয় হয়। ইউজার যদি নির্দিষ্ট অ্যাপের ক্ষেত্রে বিষয়টি সীমিত রাখেন তাহলে PC একটু দ্রুত গতিতে কাজ করতে সক্ষম হবে। আপনার PC যদি উইন্ডোজ ১১ পরিচালিত হয় তাহলে startup apps- এর জয় সার্চ করে নিন। এবার যেসমস্ত অ্যাপ আপনি নিয়মিত ব্যবহার করেন না সেগুলি ডিসেবল করে দিন। তাহলে আপনার ডেস্কটপের সিপিইউ- এর উপর আর চাপ বাড়বে না।
- সাধারণত Windows PC- র ক্ষেত্রে ডিফল্ট হিসেবে আগে থেকেই অনেক থার্ড পার্টি অ্যাপ ইনস্টল করা থাকে। এর মধ্যে কিছু অ্যাপ অবশ্য অনেকসময়েই ইউজারদের কাজে লাগে। তবে বেশিরভাগই ডেস্কটপ জুড়ে শুধুই সাজানো থাকে এবং অনেকটা জায়গা নিয়ে নেয়। এর ফলে কম্পিউটার স্লো হয়ে যায়। এই সমস্ত অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ আন-ইনস্টল করে দিলে আপনার ডেস্কটপ কিছুটা দ্রুত গতিতে কাজ করতে পারবে।
- যেকোনও কম্পিউটারের ক্ষেত্রেই তার র্যাম এবং স্টোরেজের উপর নির্ভর করে যে মেশিন কতটা দ্রুত কাজ করতে পারবে। তাই যদি আপনার কাজে প্রবলভাবে ডেস্কটপ ব্যবহৃত হয় এবং সেখানে অনেক ডেটা সেভ থাকলে তাহলে PC- র র্যাম এবং স্টোরেজের পরিমাণ অবিলম্বে বাড়ানো প্রয়োজন। বিশেষত যদি PC চার, পাঁচ বছর পুরনো হয় তাহলে অবশ্যই র্যাম এবং স্টোরেজ আপগ্রেড করা দরকার। উইন্ডোজ ১১ পরিচালিত PC- র ক্ষেত্রে অন্তত ৮ জিবি র্যাম থাকা প্রয়োজন। এরপর দরকার হলে তা আপগ্রেড করে ১৬ জিবি র্যাম করা যেতে পারে। খুব বেশি ডেটা সঞ্চিত রাখতে হলে এক্সটারনাল হার্ডডিস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
- উইন্ডোজ ১১ পরিচালিত ডেস্কটপ থাকলে অবশ্যই best performance মোডে পাওয়ার মোড সেট করে রাখা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন- মানবদেহে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে বজায় রাখতে অবশ্যই পাতে পড়ুক এই পাঁচ 'সুপারফুড'