এক্সপ্লোর
Advertisement
দুর্ঘটনায় পা বাদ মুখ্যমন্ত্রীর সভা ফেরত মহিলার, অর্থাভাবে বন্ধ চিকিৎসা, দিদিকে বলো-তে ফোন, সাহায্যের আশ্বাস
২০১৮ সালে দোসরা মে। এখনও এই দিনটির কথা মনে পড়লেই, শিউড়ে ওঠেন মালদার গাজোলের রসিকপুরের বাসিন্দা ও তৃণমূল কর্মী নন্দরানি বিশ্বাস। সেদিন গাজোলের একলাখির শান্তিমোড়ে সভা করতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়েছিলেন তৃণমূলকর্মী নন্দরানিও। কিন্তু বাড়ি ফেরার সময় এক দুর্ঘটনা কেড়ে নেয় তাঁর ডান পা। তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় ১ বছর আট মাস!!! কিন্তু এখনও সুস্থ হয়ে ওঠেননি তিনি। পরিবারের দাবি, নুন আনতে পান্তা ফুরনোর সংসারে। ইতিমধ্যেই চিকিত্সার জন্য আড়াই লক্ষ টাকা ঋণ হয়ে গিয়েছে। অর্থাভাবে এখন ৩ মাস ধরে চিকিত্সা বন্ধ। পরিবারের অভিযোগ, ছোট থেকে বড়, বিভিন্ন স্তরের তৃণমূল নেতার দ্বারস্থ হলেও কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। উচ্চ মাধ্যমিক পাসের পর কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন ছেলে গোপাল বিশ্বাস। কিন্তু মায়ের চিকিত্সার খরচ যোগাতে গিয়ে আর কলেজে পড়া হয়নি। সম্প্রতি মায়ের চিকিৎসার জন্য প্রশাসনের কাছে নিজের একটি কিডনি বিক্রির অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন। তবে উত্তর আসেনি সেই চিঠিরও। এ নিয়ে মালদার জেলাশাসক জানিয়েছেন, এরকম কোনও আবেদন এখনও তাঁর কাছে পৌঁছয়নি। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখে পরিবারকে সাহায্য করবেন। এরপরেই একদিন ‘দিদিকে বলো’য় ফোন করেন এই যুবক। আর সেখান থেকেই মেলে সাহায্যের আশ্বাস। তবে মালদার এই ঘটনা নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি জেলা সহ সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, তৃণমূল নিজের কাজের জন্য কর্মী নেতাদের ব্যবহার করে। ব্যক্তিগত প্রয়োজন হলে মুখ ফিরিয়ে নেয়। পাল্টা তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার বলেছেন, দিদিকে বলোয় ফোন করেছিলেন। যারাই ফোন করে তাদের কাছে সাহায্য পৌঁছয়।
বাংলা
চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনা চেপে যেতে চেয়েছিলেন সন্দীপ-অভিজিৎ?
আরও দেখুন
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
শিক্ষা
Advertisement
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement