নির্বাচনের সময় জওয়ানদের নিয়ে রাজনীতি, নির্বাচন চলে গেলে ভুলে যায়, বিজেপিকে তোপ অভিষেকের
‘দক্ষিণ দিনাজপুরে আজকের সভা সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। যে কটা পদ্ম ২০১৯ সালে ফুটিয়েছিলেন, সব বানের জলে ভেসে যাবে। মে মাসের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচন সম্পূর্ণ হয়ে ফলাফল ঘোষণা। ৫ মাস লড়াই করে মমতার হাত শক্ত করুন। আগামী ৫ বছর উন্নয়নের জোয়ার থেকে কোনও পরিবার বঞ্চিত হবে না। বিজেপিকে বিদায় করতে হবে। মমতাকে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করুন। বহিরাগতদের নিয়ে বাংলার কৃষ্টি নষ্টের চেষ্টা করা হচ্ছে। ২০১৯ সালের পর বিজেপির কোনও নেতাকে দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী, বিজেপির বড় নেতাদের দেখা যায়নি। মানুষের পাশে থেকেছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। ভোটের সময় বিজেপি, পরিষেবা দেওয়ার সময় তৃণমূল। বেইমান হোক বা ডাকাত কেউ ছাড়া পাবে না। সব বেইমান, ডাকাত বিজেপিতে ঢুকে গেছে। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, চিন যে ভারতের ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা করবে। তাঁদের ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব দেওয়া হবে। গালওয়ানের ভ্যালির কী অবস্থা, অথচ চুপ নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ। চিনকে জবাব দেওয়া হবে না? আমরা চাই পাকিস্তানের লাল চোখ গুঁড়িয়ে দেওয়া হোক। ভারতের জমি কোনও দেশ দখল করতে চাইলে রুখে দাঁড়াতে হবে। নির্বাচনের সময় জওয়ানদের নিয়ে রাজনীতি। নির্বাচন চলে গেলে জওয়ানদের ভুলে যায়। সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে জিতিয়েছেন। আমাকে বলছে বহিরাগত, আমি ব্রাহ্মণ সন্তান, আমি বহিরাগত। অথচ কৈলাস বিজয়বর্গীয় বাংলা বলতে জানেন না। তাহলে কে বহিরাগত? শুধুই চাটুকারিতা। চলবে না অন্যায়, ফিরবে না ফন্দি, জনগণের আদালতে হতে হবে বন্দি। উন্নয়নের নিরিখে মমতা বনাম মোদি রিপোর্ট কার্ড পেশ করুন। গো হারা হারবে বিজেপি। বাংলা গুজরাতের তল্পিবাহকতা করবে না। বাংলা দিল্লির কাছে মাথা নত করবে না। আগামীদিনে বহিরাগতদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করুন। রবীন্দ্রনাথকে সম্মান করে না, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙে, তাদের চাই না। বিজেপি এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন কালকেই ক্ষমতা আসবে। দিল্লি পরিচালনা করবে গঙ্গারামপুর, মেদিনীপুর, কোচবিহারকে? বলছে তোলাবাজ ভাইপো হঠাও। আমার তোলাবাজি প্রমাণ করতে পারলে ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করে দিন, মৃত্যুবরণ করব। ইডি-সিবিআই লাগাতে হবে না। কৈলাস বহিরাগত, আকাশ বিজয়বর্গীয় গুন্ডা, দিলীপ ঘোষ গুন্ডা। অমিত শাহ বহিরাগত, দিল্লির নেতারা বহিরাগত। বুকের পাটা নেই বলে নাম করছে না। ১০ বছরে মমতা এখনও টালির ছাদওয়ালা বাড়িতে থাকে। নরেন্দ্র মোদি এখন ৬ কোটি টাকার গাড়িতে চড়েন। মমতা আগের গাড়িতেই চড়েন, মমতার জীবনযাপন একই আছে। নোটবন্দির পর ৪ বছর পেরিয়েছে জিডিপির পতন। নোটবন্দি, জিএসটিতে ব্যাঙ্কের বাইরে লাইন। নোটবন্দি-জিএসটির লাইন ছিল ভয়ের জন্য। আর দুয়ারে সরকারে লাইন বিনম্রতার। এখন অনেকে সততার মূর্তি হতে চাইছেন। বাংলা কি নরেন্দ্র মোদির হাতের মোয়া? মধ্যপ্রদেশ, বিহারে কোনও চোর ধরা পড়ে না। কারণ এই রাজ্যগুলিতে বিজেপি সরকার। কাকে টাকা নিতে দেখেছিলেন, তোলাবাজ কে? আপনি উপসর্গহীন বেইমান, দলের খেয়ে দলের সঙ্গে গদ্দারি। বলেছিলাম বাড়িতে পদ্মফুল ফোটাতে পারোনি। সঙ্গে সঙ্গে একটা ভাইকে বিজেপিতে যোগদান করিয়েছ। তার মানে বাড়িতে আরও উপসর্গহীন রয়েছে। পদ্মফুল শুকিয়ে যাবে, ঘাসফুল কাটলে আরও বাড়বে। বেইমানি, পাল্টিবাজি করে বিজেপিতে বাঁচার চেষ্টা। দিল্লি-গুজরাতের কাছে বাংলাকে বিক্রি করার চেষ্টা, লাভ হবে না। নবান্নে ফের হাওয়াই চটি। বলছে স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালিদের অবদান নেই। নেতাজি না থাকলে আজাদ হিন্দ ফৌজ তৈরি হত না। বাংলাকে কলুষিত করলে আগামীতে কড়ায় গন্ডায় জবাব। পদ নয় পতাকা, নেত্রীর নাম মমতা।’ বিজেপিকে আক্রমণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।