Vastu Tips : আর্থিক অনটন ? বাড়িতে রাখুন এই জিনিসগুলি
Financial Crisis : আপনি যদি কোনও আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি হন, তবে এই জিনিসগুলি ঘরে ইতিবাচক শক্তি আনবে এবং আপনাকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী করবে।
কলকাতা : হিন্দু ধর্মে বাস্তুশাস্ত্রকে (Vastu) বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। বাস্তুশাস্ত্র ইতিবাচক (Positive) এবং নেতিবাচক (Negative) শক্তির উপর নির্ভর করে। ইতিবাচক শক্তি ঘরে সুখ এবং সমৃদ্ধি আনে। নেতিবাচক শক্তি জীবনে অনেক সমস্যা নিয়ে আসে।
বাস্তুশাস্ত্রে দিকনির্দেশকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বাস্তুতে, শোওয়ার ঘর, রান্নাঘর, বাথরুম, সিঁড়ি এবং বাড়ির জানালার জন্য নির্দিষ্ট দিক নির্দেশ করা হয়েছে। ভুল দিকে কিছু তৈরি হলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ঘরের দিক ঠিক করতে কিছু বিশেষ জিনিসও উপকারী বলে মনে করা হয়। আপনি যদি কোনও আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি হন, তবে এই জিনিসগুলি ঘরে ইতিবাচক শক্তি আনবে এবং আপনাকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী করবে।
বাড়িতে পিরামিড রাখুন-
বাস্তুশাস্ত্রে পিরামিডের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, বাড়ির যে দিকে বাস্তু দোষ আছে সেই দিকে পিরামিড রাখলে উন্নতি হয়। রুপো, পিতল বা তামার পিরামিড আর্থিক সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। এমন জায়গায় রাখুন যেখানে বাড়ির সব সদস্য একসঙ্গে বসেন।
আরও পড়ুন ; ৩ রাশিতে শনির সাড়ে সাতি, আপনি নেই তো ?
হনুমানের মূর্তি-
বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি বজায় রাখতে এবং আর্থিক অবস্থা মজবুত করতে পঞ্চমুখী হনুমানের মূর্তি বা ছবি রাখুন। বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে এটি স্থাপন করুন এবং প্রতিদিন এর পুজো করুন।
লক্ষ্মী-কুবেরের ছবি-
আপনার উপাসনাস্থলে মা লক্ষ্মীর পদ্ম মূর্তি এবং ভগবান কুবেরের ছবি রাখুন। মা লক্ষ্মী সম্পদের দেবী এবং ভগবান কুবেরও সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবতা। বাস্তুশাস্ত্রে ঘরের প্রবেশপথে লক্ষ্মী-কুবেরের ছবি থাকতে হবে। এছাড়া বাড়িতে বাস্তু দেবতার মূর্তি রাখলে অর্থের অভাবও দূর হয়।
জলপূর্ণ জগ রাখুন-
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে ঘরে জল ভর্তি জগ রাখতে হবে। এই ঘরটি উত্তর দিকে থাকতে হবে। জগের পরিবর্তে একটি ছোট কলসও রাখতে পারেন। কলসটি জলে ভরে রাখুন। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ঘরে কচ্ছপ রাখলে আপনার ভাগ্যও উজ্জ্বল হতে পারে।
ডিসক্লেমার : (কোনও রাশির জাতক বা জাতিকার ভাগ্যে কী রয়েছে সেই সংক্রান্ত কোনো মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ জ্যোতিষ সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় নিয়ন্ত্রিত তথ্য প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)