Akasa Air Pilots Crisis: বিমানচালকদের পদত্যাগ নিয়ে আইনি লড়াইয়ে Akasa! সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল DGCA
DGCA: Akasa Air-এর সঙ্গে তাদের কিছু পাইলটের টানাপড়েন চলছে, সেই বিষয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিজিসিএ।
নয়াদিল্লি: চাকরি ছাড়া নিয়ে পাইলটদের (Pilot) সঙ্গে প্রবল বিরোধ বিমানসংস্থার। সেই বিরোধ গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। বিমানসংস্থার তরফে Directorate General of Civil Aviation (DGCA)-এর হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছিল। সেই বিষয়েই DGCA জানিয়ে দিল বিমানসংস্থার সঙ্গে পাইলটদের এই বিরোধ সংস্থার অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। ফলে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না DGCA.
Akasa Air-এর সঙ্গে তাদের কিছু পাইলটের টানাপড়েন নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিজিসিএ। সম্প্রতি Akasa Air-এর অন্তত জনা চল্লিশেক পাইলট সংস্থার চাকরি ছেড়েছেন, তাঁরা নোটিশ পিরিয়ডও (Notice Period) মানেননি। এরপরেই আকাশ এয়ারের তরফে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকেও চ্যালেঞ্জ করা হয় আদালতে, অভিযোগ ছিল আবেদন করা হলেও ওই পাইলটদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বিমান সংস্থার তরফে হুমকিও দেওয়া হয়েছে যে এই পরিস্থিতিতে সংস্থা বন্ধ করে দিতে হতে পারে।
পাইলটদের অন্তত ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত নোটিশ পিরিয়ড মেনে চলতে হয়। এই বিষয়টি নিয়েই পাইলটদের কিছু সংগঠন আদালতে মামলা করেছে। পাল্টা Akasa Air- দাবি করেছে, বিমানচালকদের সঙ্গে তাঁদের আইনি চুক্তি (Contractual obligation)-একইরকম ভাবে জারি থাকবে। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়েছে যেহেতু এই বিষয়টিতে তারা হস্তক্ষেপ করেনি।
২২ সেপ্টেম্বর দিল্লি হাইকোর্টে DGCA এবং বিমান পরিবহন মন্ত্রক জানায় যে Akasa Air-এর আবেদন গ্রাহ্য করা উচিত নয় কারণ তারা এই বিষয়টির মধ্যেই ঢুকতেই পারবেন না। DGCA-এর তরফে বলা হচ্ছে, 'আমাদের এমন ক্ষমতা নেই,আমরা কোনও চাকরি সংক্রান্ত চুক্তির মধ্য়ে ঢুকতেই পারি না।'
রয়টার্সের সূত্র অনুযায়ী এই বিষয়টির পরে Akasa Air-এর তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। DGCA-এর তরফেও কিছু বলা হয়নি।
এর আগে আকাশা এয়ারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল যে DGCA-এই বিশয়টি নিয়ে কোনওরকম পদক্ষেপ করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে। যার ফলে বিমানসংস্থা কাজ চালাতে এবং আর্থিক ক্ষেত্রে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
বিমানচালকদের পদত্যাগের কারণে অগাস্টে ৬৩২টি বিমান বাতিল করতে হয়েছে বলে দাবি করেছে Akasa Air. মাসে অন্তত ৩৫০০ বিমান চালায় Akasa, তার মধ্যে অন্তত ১৮ শতাংশ বিমান বাতিল করতে হয়েছে। যদিও DGCA-এর দেওয়া তথ্য অনুসারে অগাস্টে মাত্র ১.১৭ শতাংশ বিমান বাতিল করেছে Akasa Air.
৬০০০ সদস্যের Federation of Indian Pilots-এর তরফেও Akasa Air-এর অভিযোগের জবাব দেওয়া হয়েছে। বিমান বাতিলের সংখ্যা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের দাবি, এতজনের একসঙ্গে চাকরি ছাড়া আদতে কর্মীদের সংস্থার প্রতি ক্ষোভের দিকটিকেই ইঙ্গিত করে।
আরও পড়ুন: মাসে পাবেন ২ লক্ষ টাকা পেনশন, এই স্কিমের বিষয়ে জানেন?