LIC on covid19 : কোভিডকালে নয়া নিয়ম এলআইসির , ক্লেইম পেতে কী করবেন ?
করোনাকালে গ্রাহকদের সুবিধার্থে বেশ কিছু নিয়ম শিথিল করল লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া(LIC)। ক্লেইম সেটলমেন্ট পলিসি সহজ করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে জীবন বিমা সংস্থা।
নয়া দিল্লি : করোনাকালে গ্রাহকদের সুবিধার্থে বেশ কিছু নিয়ম শিথিল করল লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া(LIC)। ক্লেইম সেটলমেন্ট পলিসি সহজ করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে জীবন বিমা সংস্থা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত গোটা দেশ। বেগতিক দেখে গ্রাহকদের সুবিধায় অনেক কোম্পানি নিজেদের কর্মপদ্ধতিতে পরিবর্তন আনছে। এবার সেই পথেই হাঁটল লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন। অতীতে ক্লেইম সেটলমেন্ট করতে মৃতের পুরসভার ডেথ সার্টিফিকেট চাইত সংস্থা। যদিও এবার থেকে পুরসভার শংসাপত্রের পরিবর্তে অন্য প্রমাণপত্র দেখালেও পাওয়া যাবে ক্লেইম। যাতে স্বাভাবিকভাবেই উপকৃত হবেন গ্রাহকরা।
এবার থেকে পুরসভার ডেথ সার্টিফিকেটের পরিবর্তে ডিসচার্জ সামারিকে ক্লেইম সেটলমেন্টের নথি হিসাবে মানবে এলআইসি। তবে সেখানে অবশ্যই ডেথ সামারি মানে কখন নির্দিষ্ট ব্যক্তি মারা গিয়েছেন, তা লেখা থাকতে হবে। কোনও সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও ইএসআই, সেনা হাসপাতাল অথবা কর্পোরেট হসপিটালের ডিসচার্জ সামারি জমা দেওয়া যেতে পারে এলআইসি অফিসে। তবে তা LIC-র ক্লাস ওয়ান অফিসার বা ডেভেলপমেন্ট অফিসারদের দিয়ে কাউন্টার সাইন করাতে হবে। ক্লেইম পেতে গেলে হাসপাতালের ডিসচার্জ সামারির পাশাপাশি শ্মশানঘাটে শেষকৃত্যের রসিদ জমা দিতে হবে অফিসে।
এখন থেকে সার্ভিস ব্রাঞ্চের পরিবর্তে কাছের শাখাতেই সারভাইভাল বেনিফিটস বা ডিউ ম্যাচুরিটির জন্য যেতে পারেন গ্রাহকরা। এর ফলে তাঁদের ক্লেইম সেটলমেন্ট টাইম আরও কমে যাবে। সংক্রমণের সময় চাইলেই অনলাইনে কেনা যাবে ইনস্যুরেন্স পলিসি, প্রিমিয়ামের টাকা ছাড়াও ঋণের ইনটারেস্ট ও ঠিকানা বদলানো যাবে www.licindia.in সাইটে ঢুকে।
সম্প্রতি কোম্পানির কর্মীদের বহুদিনের দাবিতে সিলমোহর পড়েছে। এবার থেকে সপ্তাহে পাঁচ দিন ওয়ার্কিং আওয়ার এলআইসির। সোমবার থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত পাওয়া যাবে জীবন বিমার স্টাফদের। এবার থেকে শনিবার বন্ধ থাকবে অফিস। ১০ মে থেকে কার্যকরী হয়েছে নতুন এই নিয়ম।
দেশের বিমা সেক্টরের বর্তমান হালহকিকত বলছে, জেনারেল ইনস্যুরেন্স ছাড়াও ক্ষতির মুখে হেলথ ইনস্যুরেন্স কোম্পানিগুলি। সেখানে দাঁড়িয়ে লাভের মুখ দেখেছে জীবন বিমা কোম্পানিগুলি। তবে করোনাকালে কমেছে তাদের লাভের পরিমাণ।