Sovabazar: শোভাবাজারে ৭ মাসের শিশুকন্যাকে শারীরিক নির্যাতন, ভর্তি আর জি করে, গ্রেফতার অভিযুক্ত
Sovabazar News: গত ২৯ নভেম্বর স্থানীয় পুলিশকে সেই শিশুকন্য়ার মা অভিযোগ জানান যে তাঁর মেয়েকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। এরপরই পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে।
আবির দত্ত, শোভাবাজার: ফের যৌন নির্যাতন। এবার এক শিশুকন্যা। শোভাবাজারে ৭ মাসের শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। অভিযোগ দায়ের করেছেন শিশুকন্যার মায়ের। একরত্তি শিশুকন্যাকে এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
সূত্রের খবর, গত ২৯ নভেম্বর স্থানীয় পুলিশকে সেই শিশুকন্য়ার মা অভিযোগ জানান যে তাঁর মেয়েকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। এরপরই পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে। তড়িঘড়ি সিসিটিভি দেখে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। শিশুকন্যার অবস্থা এই মুহূর্তে সঙ্কটজনক বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তার শরীরে গুরুতর আঘাত রয়েছে। আইসিইউতে রেখে চলছে চিকিৎসা, শিশুকন্যাকে রাখা হয়েছে মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে।
আর জি করের অ্যাডিশনাল মেডিক্যাল সুপার মেজর দ্বৈপায়ণ বিশ্বাস জানিয়েছেন, ''এই মুহূর্তে বাচ্চাটি স্থিতিশীল রয়েছে। কিন্তু মেডিক্যাল বোর্ডের তরফে কোনও রিপোর্ট অফিশিয়ালি পাইনি আমি। যাতে চােটের জন্য বাচ্চাটির ভবিষ্যতে কোনও জটিলতা না তৈরি হয়, তা দেখা হচ্ছে।''
এদিকে সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ সূত্রে খবর, সাত মাসের সেই শিশুকন্যাকে নিয়ে তার মা শোভাবাজার সংলগ্ন এক ফুটপাতেই থাকতেন। কিন্তু ২৯ নভেম্বর হঠাৎ কিছুক্ষণের জন্য মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না মা। এরপর কয়েক ঘণ্টা পর মেয়েকে দেখতে পান যখন তখন ছোট্ট একরত্তির সারা শরীরে চোটের চিহ্ন ছিল। এরপরই স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে মেয়েকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করেন মা।
স্থানীয় এক পুলিশ অফিসার যদিও জানিয়েছেন, ''ছোট্ট শিশুটিকে ফুটপাথে কাঁদতে দেখা গিয়েছিল ৩০ ডিসেম্বর রাতে। তখন তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই এক দম্পতি এসে জানায় বাচ্চাটি তাঁদের।''
চন্দননগরে ডাকাতি করতে এসে শ্বাসরোধ করে খুন শিশুকে
রাজ্যের অন্য প্রান্তে হুগলিতে চন্দননগরের কুণ্ডুঘাটে ফাঁকা বাড়িতে ৬ বছরের শিশুর রহস্যমৃত্যু। ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে ডাকাতরা, দাবি মৃত শিশুর পরিবারের। আলমারি খোলা, টাকা-গয়না লুঠ হয়েছে বলে দাবি। মৃত শিশুর নাম নিখিল বিশ্বাস। বুধবার শিশুর বাবা কাজে গেছিলেন। শিশুর দিদিকে স্কুল থেকে আনতে যান মা। পরিবারের দাবি, সেই সময় টেলিভিশনে কার্টুন দেখছিল শিশু। মা ফিরে এসে শিশুকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরিবারের দাবি, আলমারি ভাঙা ছিল। টাকা-গয়না লুঠ হয়েছে। ডাকাতি করতে এসে শিশুকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কীভাবে মৃত্যু, জানতে বৃহস্পতিবারই চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে শিশুর দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে।