(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Rupert Murdoch Engaged: ৯২ -তে ফের বিয়ের পথে, বাগদান সারলেন মিডিয়া টাইকুন রুপার্ট মারডক
Media Tycoon Rupert Murdoch: ৯২ বছরে বয়সে ৬৭-র বান্ধবীর সঙ্গে বাগদান সারলেন তিনি। ইতিমধ্যেই এই খবরের বিষয়ে নিশ্চিত করেছে রুপার্টের টিম।
Media Tycoon Rupert Murdoch: ফের বিয়ের পথে মিডিয়া টাইকুন রুপার্ট মারডক। ৯২ বছরে বয়সে ৬৭-র বান্ধবীর সঙ্গে বাগদান সেরেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই এই খবরের বিষয়ে নিশ্চিত করেছে রুপার্টের টিম।
কার সঙ্গে বাগদান
ঘনিষ্ঠ মহলে জল্পনা চলছিল কয়েকদিন ধরেই। অবশেষে সিলমোহর পড়ল সম্পর্কে। ৯২-এ দাঁড়িয়ে অবসরপ্রাপ্ত রাশিয়ার মলিকিউলার বায়োলজিস্ট এলেনা জুকোভার সঙ্গে সংসার পাততে চলেছেন রুপার্ট। শোনা যাছিল, ৬৭-র এলেনার সঙ্গে কয়েক মাস ধরে ডেটিং করছিলেন এই মিডিয়া টাইকুন।
কবে-কোথায় বিয়ে
চলতি বছরই ক্যালিফোর্নিয়ায় তার মোরাগা এস্টেটে এই বিয়ে হওয়ার কথা। তবে এই প্রথম নয়, এই নিয়ে পঞ্চমবার বিয়ের পথে মিঃ মারডক। ৬ বার বাগদান পর্ব সেরেছেন তিনি। গত বছর ফক্স অ্যান্ড নিউজ কর্পের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ান মার্ডক। নিউইয়র্ক টাইমসের মতে, জুনেই বিয়ের দিন ঠিক হয়েছে। ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে আমন্ত্রণপত্র।
কার সঙ্গে ভেঙে যায় বাগদান
এর আগে মারডক ২০২৩-এর এপ্রিলে প্রাক্তন পুলিশ চ্যাপ্লেন অ্যান লেসলি স্মিথের সঙ্গে বাগদানের বিষয় মনস্থ করেচিলেন। কিছু সেই বাগদান পর্ব ভেঙে যায়। এরপরই তিনি মিসেস জুকোভাকে ডেট করছেন বলে খবর রটে। প্রাক্তন উদ্যোগপতি স্ত্রী ওয়েন্ডি ডেংয়ের আয়োজিত একটি পার্টিতে এলেনা জুকোভার সঙ্গে দেখা হয়েছিল রুপার্টের।
রুপার্টের সংসারে প্রাক্তন স্ত্রী
এর আগে অনেকবার সংসার পেতেছেন এই মিডিয়া টাইকুন। মারডকের অন্যান্য প্রাক্তন স্ত্রীদের তালিকায় অস্ট্রেলিয়ান ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট প্যাট্রিসিয়া বুকার, স্কটিশ বংশোদ্ভূত সাংবাদিক আনা মান, মিসেস ডেং এবং মার্কিন মডেল ও অভিনেত্রী জেরি হলের নাম রয়েছে।
জুকোভার জীবনে ছিলেন কে
মিসেস জুকোভা এর আগে রাশিয়ান অয়েল বিলিয়নেয়ার আলেকজান্ডার ঝুকভকে বিয়ে করেছিলেন। তাদের মেয়ে দাশা-একজন সমাজকর্মী ও ব্যবসায়ী। ২০১৭ সাল পর্যন্ত রাশিয়ান অলিগার্চ রোমান আব্রামোভিচের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন তিনি।
কোন পথে রুপার্টের উত্থান
রুপার্ট মারডক ১৯৫০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ায় তার কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৬৯ সালে ব্রিটেনে নিউজ অফ দ্য ওয়ার্ল্ড এবং দ্য সান সংবাদপত্র কেনেন তিনি। পরে তিনি নিউ ইয়র্ক পোস্ট এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সহ বেশ কয়েকটি মার্কিন প্রকাশনা কিনে মিডিয়া টাইকুনের তকমা পান রপার্ট।
১৯৯৬ সালে তিনি ফক্স নিউজ চালু করেন। যা তাঁর জীবনে মিডিয়া টাইকুন হওয়ার অত্যন্ত যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি দেখা টিভি নিউজ চ্যানেল ফক্স । ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত নিউজ কর্প-এর মাধ্যমে মারডক শত শত স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়া আউটলেটের মালিক হয়ে যান।
বিতর্ক পিছু ছাড়েনি
তার ক্যারিয়ার বিতর্কমুক্ত হয়নি। তার সবচেয়ে ক্ষতিকর মুহূর্তগুলির মধ্যে একটি ছিল ব্রিটেনের ফোন হ্যাকিং কেলেঙ্কারি। সেপ্টেম্বরে, মারডক ঘোষণা করেন, তিনি তার মিডিয়া সাম্রাজ্য থেকে সরে যাচ্ছেন। তাঁর ছেলে লাচলান এই দায়িত্ব সামলাবেন। পরে ফক্স নিউজ কর্পোরেশন উভয়ের চেয়ারম্যান এমেরিটাসের ভূমিকা গ্রহণ করেছেন মারডক।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট বলছে, মিসেস জুকোভার সঙ্গে মারডকের বিয়ে তাঁর ব্যবসার ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করবে না। তাঁর চার বড় সন্তানের ট্রাস্টের কাছে থাকবে সেই মালিকানা।।