Patanjali Ayurved : কীভাবে আধ্যাত্মিক ব্র্যান্ডিং দিয়েছে বিশ্বব্যাপী নাম ? এই এফএমসিজি জায়ান্ট এখন 'গ্লোবাল ফোর্স'
Baba Ramdev: পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ দাবি করে- তারা আধ্যাত্মিকতাকে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত করে একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে।

Baba Ramdev: ব্যবসার জগতে একেবারে ভিন্ন পথে চলে এসেছে সাফল্য। বিপণনের সঙ্গে জুড়েছে 'স্পিরিচুয়াল ব্র্যান্ডিং'। যাতে বিশ্বব্যাপী শক্তিশালী নাম হিসেবে উঠে এসেছে এই FMCG কোম্পানি। পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ দাবি করে- তারা আধ্যাত্মিকতাকে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত করে একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে।
সমাজের কল্যাণ সঙ্গে স্বাস্থ্য পরিষেবা
পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের মতে, কোম্পানি নিজেদের কেবল লাভ-কেন্দ্রিক ব্যবসার জন্য নিয়োজিত করেনি। বরং সমাজের কল্যাণ ও স্বাস্থ্যের প্রতিও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এই সংস্থা। যোগব্যায়াম, আয়ুর্বেদ ও স্বদেশি আদর্শ গ্রহণ করেই এসেছে এই সাফাল্য। যেখানে আধ্যাত্মিকতা ও ব্যবসা একযোগে কাজ করেছে।
কীভাবে হয়েছে এই অসাধ্য সাধন
পতঞ্জলির মতে, “স্বামী রামদেবের দর্শন হল স্বাস্থ্য, সম্পদ ও মানসিক শান্তি একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। এই বিশ্বাস পতঞ্জলির পণ্য ও পরিষেবার সঙ্গেও জুড়ে আছে। কোম্পানির সাবান, তেল, খাদ্যদ্রব্য - কেবল প্রাকৃতিক ও রাসায়নিক-মুক্ত নয় বরং যোগ ও আয়ুর্বেদের সুবিধাগুলিও প্রচার করে। পতঞ্জলির প্যাকেজিং প্রায়শই যোগব্যায়ামের সুবিধাগুলি উল্লেখ করে, গ্রাহকদের একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার দিকে অনুপ্রাণিত করে।”
ব্যবসায়িক কাঠামো শক্তিশালী করেছেন আচার্য বালকৃষ্ণ
কোম্পানির মতে, “সিইও আচার্য বালকৃষ্ণ কোম্পানির ব্যবসায়িক কাঠামো শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ও ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা পতঞ্জলিকে ভারতের বৃহত্তম স্বাস্থ্য়কর ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে একটিতে পরিণত করতে সাহায্য করেছে। সাপ্লাই চেনকে আধুনিক খুচরো ফর্ম্যাটের সঙ্গে জুড়ে, কোম্পানি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদান রেখেছে এবং স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সাপোর্ট করেছে। উদাহরণস্বরূপ, YEIDA অঞ্চলে স্থাপিত মেগা ফুড অ্যান্ড হারবাল পার্ক — যার মধ্যে বিস্কুট উৎপাদন, দুধ প্রক্রিয়াকরণ এবং ভেষজ খামার অন্তর্ভুক্ত — স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করছে।”
পতঞ্জলি দাবি করে, “কোম্পানির সাফল্যের পিছনে একটি প্রধান কারণ হল এর স্বদেশ প্রচার। কোম্পানি ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করেছে ও তাদের বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি এনেছে। কোম্পানির পণ্যগুলি ‘স্বদেশি’ এবং ‘প্রাকৃতিক’ হিসাবে বাজারজাত করা হয়েছে, যা ভারতীয় গ্রাহকদের সঙ্গে গভীরভাবে জুড়তে সাহায্য করেছে। উপরন্তু, যোগব্যায়াম এবং আয়ুর্বেদের উপর স্বামী রামদেবের শিক্ষা লক্ষ লক্ষ মানুষকে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণ করতে অনুপ্রাণিত করেছে।”
শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগব্যায়ামের অবদান
সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, “কোম্পানির নেতৃত্ব কীভাবে আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ ও ব্যবসায়িক কৌশল একত্রিত হয়ে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে তার একটি উদাহরণ তাদের ব্র্যান্ড। কোম্পানি কেবল FMCG খাতে নিজের জন্য একটি জায়গা তৈরি করেনি, বরং শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং যোগব্যায়ামেও অবদান রেখেছে। পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে, এটি প্রাচীন ভারতীয় জ্ঞানকে আধুনিক শিক্ষার সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে।”
পতঞ্জলির মতে, “কোম্পানির যাত্রা দেখায় যে আধ্যাত্মিকতা ও ব্যবসার মিশ্রণ কেবল বাণিজ্যিক সাফল্যের দিকেই নিয়ে যেতে পারে না, বরং সমাজ ও জাতির জন্যও উপকারী হতে পারে। স্বামী রামদেব ও আচার্য বালকৃষ্ণের নেতৃত্ব প্রমাণ করে যে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধের মাধ্যমে, যেকোনও সংস্থা সমাজে অর্থপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে।”























