1000 Rupees Notes: দেশে কি ফিরছে ১০০০ টাকার নোট ? আরবিআই গভর্নর বললেন এই কথা
RBI governor Shaktikanta Das: দেশে আবার চালু হবে ১০০০ টাকার নোট? সোমবারই যার খোলসা করলেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।
RBI governor Shaktikanta Das: দেশে আবার চালু হবে ১০০০ টাকার নোট? সোমবারই যার খোলসা করলেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। এদিন মুম্বইতে ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পরে প্রথম বিবৃতি দিয়েছেন তিনি। এদিন দেশের সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে নেওয়ার পিছনে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ব্যাখ্যা দেন দাস।
1000 Rupees Notes: ২০০০ টাকার নোট বাতিলের পরই উঠেছিল প্রশ্ন
এই প্রসঙ্গে মোদি সরকারের সমালোচনা করেন, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। তিনি বলেন, ''কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত কিছুটা প্রত্যাশিতই। ২০০০ হাজারের নোট তেমন জনপ্রিয় হয়নি। ২০১৬ সালের নভেম্বরেই আমরা এই কথা বলেছিলাম। ২০০০ হাজার টাকার নোট আনতে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করাটা বোকামির পরিচয়। কারণ ওই দুটি নোট ছিল দেশের জনপ্রিয় মুদ্রা। ৫০০ হাজারের নোট চালু করলেও ১০০০ টাকা আর বাজারে আনা হয়নি। এরপর সরকার বা আরবিআই যদি আগামী দিনে নতুন করে ১০০০ টাকার নোট নিয়েও আসে আমি অবাক হব না।''
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর এই জল্পনার পরই বিভিন্ন মহল থেকে উঠছিল প্রশ্ন। তবে কি ফের ১০০০ টাকার নোটি ফরিয়ে আনবে সরকার। এদিন যা নিয়ে মুখ খোলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর। তিনি বলেন ''বর্তমানে এমন কোনও পরিকল্পনা নেই।''
2000 Rupees Note: দেশে ১০০০ ও ৫০০ টাকার পুরনো নোট কবে বন্ধ হয়েছিল ?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৮ নভেম্বর ২০১৬ সালে টেলিভিশন ঘোষণার মাধ্যমে ১০০০ ও তৎকালীন ৫০০ টাকার নোট বাতিল করেছিলেন। ওই দিন রাত ১২টার পর থেকে ১০০০ ও ৫০০ টাকার নোট আইনি টেন্ডার হয়নি। কালো টাকা ঠেকানোর লক্ষ্যেই দেশে নোটবন্দির এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিল সরকার । এরপর ব্যাঙ্কে ১০০০ ও ৫০০ টাকার নোট আদান-প্রদান ও জমা করার বিপুল ভিড়ের দৃশ্য এখনও তাজা সবার মনে।
RBI governor Shaktikanta Das: ২০০০-এর নোট বন্ধ হওয়ার পরই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে 'নোটবন্দির আতঙ্ক'। জনগণের এই আশঙ্কা বিলক্ষণ উপলব্ধি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। যে কারণে আগ বাড়িয়ে এখনই ব্যাঙ্কে ভিড় না করার পরামর্স দিলেন খেদা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর। দেশবাসীর উদ্দেশ্যে কী বললেন শক্তিকান্ত দাস ?
2000 Rupees Note: কী বললেন শক্তিকান্ত দাস ?
এদিন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর বলেন, ''এখনই ব্যাঙ্কে গিয়ে ভিড় করার প্রযোজন নেই। ৩০ সেপ্টেম্বরের পরও ২০০০টাকার নোট দেশে বৈধে থাকবে। আমরা কেবল দেশবাসী বিষয়টা যাতে গুরুত্ব সহকারে নেয় সেই কারণে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছি। আপনাদের হাতে এখনও চার মাস সময় রয়েছে।''
এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি শক্তিকান্ত দাস। RBI গভর্নর জানান, নোটবন্দির সময় নিষিদ্ধ টাকার খালি জায়গা পূরণ করার জন্য়ই প্রাথমিকভাবে ২০০০ টাকার নোট আনা হয়েছিল। আগামীকাল থেকে ব্যাঙ্কগুলিকে ২০০০ টাকার নোট বিনিময়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাতে কারেন্সি নোটের পর্যাপ্ত স্টক পাওয়া যায় সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে। আমাদের কাছে প্রয়োজনীয় নোটের চেয়ে বেশি ইতিমধ্যেই মুদ্রিত রয়েছে।