RBI Monetary Policy: রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল আরবিআই
এদিন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি ঘোষণা করতে গিয়ে গভর্নর জানিয়েছেন, গত জুনে মানিটারি পলিসি কমিটির প্রত্যাশা অনুযায়ীই অর্থনৈতিক কার্যকলাপ এগোচ্ছে।
মুম্বই: রেপো রেট অপরিবর্তির রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। শুক্রবার আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ঘোষণা করেছেন যে, রেপো রেট ৪ শতাংশই থাকছে। তিনি জানিয়েছেন, রিভার্স রেপো রেট থাকছে ৩.৩৫ শতাংশ।
এদিন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি ঘোষণা করতে গিয়ে গভর্নর জানিয়েছেন, গত জুনে মানিটারি পলিসি কমিটির প্রত্যাশা অনুযায়ীই অর্থনৈতিক কার্যকলাপ এগোচ্ছে। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি।
২০২১-২২ অর্থবর্ষে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার (জিডিপি)-র পূর্বাভাস ৯.৫ শতাংশই রেখেছে আরবিআই।
২০২১-২২ অর্থবর্ষে গ্রাহক মুদ্রাস্ফীতির হার ৫.৭ শতাংশ থাকবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে এই হার ৫.৯ শতাংশ, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে এই হার ৫.৩ ও চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ৫.৮ শতাংশ থাকার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। প্রথম ত্রৈমাসিকে সিপিআই মুদ্রাস্ফীতির হারের পূর্বাভাস ছিল ৫.১ শতাংশ।
আরবিআই এমএসএফ রেটেও কোনও বদল ঘটায়নি। রেট অপরিবর্তিত থাকায় আপাতত ইএমআইয়ে কোনও বদল হবে না।
আরবিআই গভর্নর বলেছেন, মানিটারি পলিসি কমিটি বিভিন্ন রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য আর্থিক বৃদ্ধির হার ত্বরান্বিত করা এবং অর্থব্যবস্থায় সংকটের অবসান ঘটানো। তিনি আরও বলেছেন, কোভিড অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি। টিকাকরণের সঙ্গে সঙ্গে আর্থিক কার্যকলাপ বাড়বে। অর্থব্যবস্থায় চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্যের জন্য অনেক কিছুই করার প্রয়োজন।
২০২০-র ২২ মে থেকে রেপো রেট ৪ শতাংশ রয়েছে। ২০০১-এর এপ্রিলের পর যা সবচেয়ে কম। মানিটারি পলিসি কমিটি-র তিনদিনের পর্যালোচনার পর রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার ঘোষণা করা হল। এই হার যে অপরিবর্তিত থাকছে, তা প্রত্যাশিত ছিল অর্থনীতিবিদদের কাছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক মনে করছে যে, মানিটারি পলিসি সাপোর্ট তড়িঘড়ি প্রত্যাহার করা হলে তা অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর পথে ব্যাঘাত তৈরি করতে পারে। অর্থনীতিবিদদের তাই অনুমান, চলতি অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে এ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক পরিস্থিতি আসতে পারে।
শক্তিকান্ত দাস বলেছেন, এখন গত জুনের তুলনায় ভালো পরিস্থিতি রয়েছে। সম্ভাব্য করোনার তৃতীয় ঢেউ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। ভ্যাকসিন উৎপাদন ও টিকাকরণের হার বাড়ছে। কিন্তু তৃতীয় ঢেউয়ের যে আশঙ্কা রয়েছে, সেক্ষত্রে সতর্কতামূলক ব্যবস্থাতে কোনও শিথিলতা দেখানোর সুযোগ নেই। তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সতর্ক থাকতে হবে।