Reliance Jio: ১০ বছরে ৫০ কোটি গ্রাহক, Jio-র IPO আনতে চলেছে রিলায়েন্স- বার্ষিক সাধারণ সভায় কী জানালেন মুকেশ আম্বানি ?
Jio IPO: এদিন বার্ষিক সাধারণ সভায় মুকেশ আম্বানি জানান যে ‘জিও ১০ বছর পূর্ণ করার আগেই ৫০ কোটি গ্রাহক সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এখন থেকে মাত্রর এক সপ্তাহ পরে জিও জাতির সেবায় তার ১০ বছর পূর্ণ করবে।

মুম্বই: রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের টেলিকম শাখা রিলায়েন্স জিও আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালের প্রথমার্ধেই বাজারে তাদের আইপিও নিয়ে আসবে। শুক্রবার সংস্থার চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুকেশ আম্বানি সংস্থার ৪৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এই ঘোষণা করেন। তিনি এদিন বলেন, ‘আজ এটা ঘোষণা করতে পেরে আমি গর্বিত যে জিও তার আইপিও আনার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা করছে। প্রয়োজনীয় সমস্ত অনুমোদন সাপেক্ষে এই গ্রুপটি ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যেই জিওকে বাজারে তালিকাভুক্ত করার লক্ষ্য রেখেছে।’
এদিন বার্ষিক সাধারণ সভায় মুকেশ আম্বানি জানান যে ‘জিও ১০ বছর পূর্ণ করার আগেই ৫০ কোটি গ্রাহক সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এখন থেকে মাত্রর এক সপ্তাহ পরে জিও জাতির সেবায় তার ১০ বছর পূর্ণ করবে। পিছনে ফিরে তাকালে এই বছরগুলি ভারতের ডিজিটাল ইতিহাসের সবথেকে গৌরবময় অধ্যায় ছিল’। তিনি সংস্থার সমস্ত শেয়ারহোল্ডারদের জানান যে জিও পরিবার ৫০ কোটি গ্রাহক অতিক্রম করেছে যা অটল আস্থা ও সমর্থনের প্রতীক। জিওর সাহসী ডিপ-টেক উদ্যোগগুলি ভারতের প্রযুক্তিগত বিপ্লবের সূত্রপাত করেছে আর দেশের প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল ইন্ডিয়া মিশনের অন্যতম মেরুদণ্ড হয়ে উঠেছে। এমনটাই জানিয়েছেন রিলায়েন্সের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি।
তিনি তাঁর সাফল্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘জিও ভারতের যে কোনও স্থান থেকে যে কোনও স্থানে বিনামূল্যে ভয়েস কলের সুবিধে প্রদান করেছে। টেলিকম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি সাধারণ ভারতীয়দের মোবাইলে ভিডিয়ো দেখা এবং ডিজিটাল পেমেন্ট করার অভ্যাস তৈরি করেছে এবং জিও ভারতের ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার যেমন আধার, ইউপিআই, জনধন ডিরেক্ট ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং একটি আত্মবিশ্বাসী নতুন প্রজন্মের ক্ষমতায়ন করেছে।’
এই সাফল্যের ফলে প্রতি বছর জিওর আর্থিক কর্মক্ষমতা নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাচ্ছে। আম্বানি বলেন, ‘জিওর রাজস্ব ছিল ১,২৮,২১৮ কোটি টাকা (১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) যা ২০২৫ অর্থবর্ষে ১৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং EBITDA ছিল ৬৪,১৭০ কোটি টাকা (৭.৫ বিলিয়ন ডলার)। এই পরিসংখ্যানগুলি জিও ইতিমধ্যেই যে বিশাল মূল্য তৈরি করেছে এবং আরও বেশি মূল্য তৈরি করার জন্য নির্ধারিত, তার সাক্ষ্য দেয়।’
AI নিয়েও রয়েছে বড় পরিকল্পনা
৪৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ‘কামধেনু’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন যে এই প্রযুক্তি উৎপাদনশীলতা, দক্ষতা আর মানব সম্ভাবনাকে অকল্পনীয় উচ্চতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আম্বানি বলেন ক্লিন এনার্জি, জিনোমিক্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মিলন বিশ্বকে অতি প্রাচুর্য এবং অতি সাশ্রয়ী মূল্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি এটিকে ভারতের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে উপলব্ধ সুযোগ বলে অভিহিত করেছেন, কোনও দূরের স্বপ্ন বলে নয়।






















