Royal Enfield Scram 411: রয়্যাল এনফিল্ডের নতুন বাইক, হিমালয়ান-স্ক্র্যাম যুদ্ধে এগিয়ে কে ?
Royal Enfield Scram 411 : যুব প্রজন্মের ক্রেতাদের টার্গেট করেই এই বাইক আনা হয়েছে। হিমালয়ানের মতো পুরোপুরি অফরোডার না হলেও সাধারণ রাস্তার পাশাপাশি অল্প বিস্তর অফরোডিং করতে পারবে এই বাইক।
Royal Enfield Scram 411 vs Himalayan: অনেকদিন ধরেই চলছিল এই পরিকল্পনা। পুরোপুরি অফারোডার কেন্দ্রিক হওয়ায় সাধারণ রাস্তায় রয়্যাল এনফিল্ড হিমালয়ানের কথা ভাবতে পারছিল না যুব প্রজন্ম। সেই জায়গায় বিকল্প খুঁজছিল অ্যাডভেঞ্চার বাইকাররা। তাদের সেই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই রয়্যাল এনফিল্ড নিয়ে এল Scram 411 । জেনে নিন, কোথায় পার্থক্য দুই বাইকে ?
Royal Enfield Scram 411: মূলত, স্ক্র্যাম্বলার হলেও যুব প্রজন্মের ক্রেতাদের লক্ষ্য করেই এই বাইক আনা হয়েছে। হিমালয়ানের মতো পুরোপুরি অফরোডার না হলেও সাধারণ রাস্তার পাশাপাশি অল্প-বিস্তর অফরোডিং করতে পারবে এই টু-হুইলার। বাইকে স্পোর্টি লুক দেওয়ার চেষ্টা করেছে রয়্যাল এনফিল্ড। রাতে যাতে উজ্জ্বল দেখায় তাই স্ক্র্যাম 411 গ্রাফাইট ইয়েলো, গ্রাফাইট রেড ও গ্রাফাইট ব্লু রঙে এনেছে কোম্পানি।
Royal Enfield Scram 411: বাইক দেখতে কেমন ?
বাইকে পাবেন গ্রে ট্যাঙ্ক ছাড়াও ট্যাঙ্ক ব্যাজ ও ম্যাচিং টায়ার রিম টেপ৷ স্কাইলাইন ব্লু ও ব্লেজিং ব্ল্যাক ট্যাঙ্ক রয়েছে এই বাইকে। যাতে রয়্যাল এনফিল্ড স্ট্রাইপ ও মাড গার্ডের সাথেও কালার মিলে যায়। টপ-এন্ড ভ্যারিয়েন্ট, দুটি রঙে - হোয়াইট ফ্লেম ও সিলভার স্পিরিট - গ্রাফিক্স সহ ডুয়াল ট্যাঙ্ক কালারে এনেছে কোম্পানি। হিমালয়ানের থেকে বেশি প্রিমিয়াম দেখাচ্ছে এই বাইক। স্ক্র্যামে দেওয়া হয়েছে 19 ইঞ্চির টায়ার। পিছনে দেওয়া হয়েছে 17-ইঞ্চির স্পোক হুইল।
Royal Enfield Scram 411 vs Himalayan: হেডল্যাম্পগুলি হিমালয়ানের থেকে নিচে বসানো হয়েছে।যেখানে কোনও উইন্ডস্ক্রিন নেই৷ বাইকটি আরও আরমাদায়ক করতে একটি নতুন সিঙ্গল সিট দিয়েছে কোম্পানি। স্ক্র্যাম 411-এর উচ্চতা কম হওয়ায় হ্যান্ডেলবারে পৌঁছনো সহজ। তাই শহরে এই বাইক চালানো নতুন রাইডারদের ক্ষেত্রেও সহজ।
Royal Enfield Scram 411: বাইকের ফিচার ও স্পেকস
রয়্যাল এনফিল্ড হিমালয়ানের এই নতুন স্ক্র্যাম্বলারে একটি ডিজিটাল-অ্যানালগ ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার রয়েছে। পাবেন ট্রিপার ন্যাভিগেশন পড। স্ক্র্যাম 411-এর সব ভ্যারিয়েন্টে MiY অপশন পাবেন। হিমালয়ানের তুলনায় এখানে আপনি সুইচযোগ্য ABS পাবেন না । তবে স্ক্র্যাম 411-এর সাথে হিমালয়ানের অনেক কিছু শেয়ার করা হয়েছে। এর সাসপেনশন ও ইঞ্জিন সহ অনেক কিছুই ব্যবহার করা হয়েছে স্ক্র্যামে।
ইঞ্জিনটি 411cc, ফুয়েল-ইনজেক্টেড, 4-স্ট্রোক, SOHC, এয়ার-কুলড সিঙ্গল-সিলিন্ডার ইঞ্জিন হিসাবে এখনও চলে যাচ্ছে। যা 6500rpm এ 24.3bhp ও 4000-4500 rpm-এ 32Nm সর্বোচ্চ টর্ক জেনারেট করে। 200mm-এর হিমালয়ানের মতো গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স নেই বাইকে। 2,03,085 টাকায় স্ক্র্যাম 411 পাওয়া যাচ্ছে। খালি চোখে হিমালয়ানের চেয়ে ভাল ডিল বলেই মনে হবে এই বাইক।