(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Share Market: ১ সপ্তাহেই ৪৭০০ কোটি ডলার খোয়ালেন বিনিয়োগকারীরা, সেবির সতর্কবার্তায় বিরাট ধস বাজারে
Market Crash: এই পতনের আগে স্মলক্যাপ ও মিডক্যাপে বিরাট র্যালি লক্ষ্য করা গিয়েছিল। গত বছর এই দুটি সূচকই রিটার্নের দিক থেকে নিফটি কিংবা সেনসেক্সকে বহুগুণে পিছনে ফেলে দিয়েছিল।
SEBI Warning: এই সপ্তাহে শেয়ার বাজারে বিরাট ক্ষতি দেখা দিয়েছে। স্মলক্যাপ ও মিডক্যাপ সূচকে এই সপ্তাহে বিরাট পতন এসেছে। বিশাল সেল অফ এবং প্রফিট বুকিংয়ের চাপে মুখ থুবড়ে পড়েছে বাজার। কোটি কোটি টাকা হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
SEBI-র সতর্কবার্তা
এই পতনের আগে স্মলক্যাপ ও মিডক্যাপে বিরাট র্যালি লক্ষ্য করা গিয়েছিল। গত বছর এই দুটি সূচকই রিটার্নের দিক থেকে নিফটি কিংবা সেনসেক্সকে বহুগুণে পিছনে ফেলে দিয়েছিল। সেবির প্রধানের একটি বক্তব্যের ভিত্তিতেই বাজারে এই পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সেবি প্রধান মাধবী পুরী বুচ সতর্ক করেছিলেন এই মর্মে যে মিডক্যাপ ও স্মলক্যাপের যা ভ্যালুয়েশন তাতে বাবল রয়েছে।
কীভাবে তৈরি হয়েছিল র্যালি
শেষ এক বছরে দুর্দান্ত রিটার্ন এনে দিয়েছে স্মলক্যাপ স্টকগুলি। স্মলক্যাপ ১০০ সূচক দ্বিগুণ রিটার্ন এনে দিয়েছে এক বছরের মধ্যেই। মিডক্যাপ সূচকেও ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই সপ্তাহ পর্যন্ত যদি এই দুই সূচকের র্যালি অবিচ্ছিন্ন থাকত তাহলে শেষ মাসের তুলনায় সর্বোচ্চ উচ্চতা তৈরি করত। অনেক বাজার বিশেষজ্ঞ বাজারের এই অনাকাঙ্ক্ষিত র্যালি নিয়ে সতর্ক করেছিলেন আগেই।
১৫ মাসের মধ্যে সবথেকে খারাপ বাজার
সেবি প্রধানের সতর্কবার্তার পরেই বাজারে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। বিরাট সেল অফ দেখা যায়। সতর্কবার্তা জারির পরের দিনেই ৫ শতাংশ পড়ে যায় স্মলক্যাপ সূচক। মিডক্যাপ সূচক পড়ে ৪ শতাংশ। গত ১৫ মাসের মধ্যে এই সপ্তাহটাই স্মলক্যাপ ও মিডক্যাপের ক্ষেত্রে সবথেকে খারাপ সময় ছিল।
পতনের মূলে রয়েছে অন্য কারণও
মহাদেব অ্যাপ স্ক্যামও এই পতনের মূলে আরেকটি কারণ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত এক সন্দেহভাজন ব্যক্তির ডম্যাট অ্যাকাউন্ট থেকে ১০০০ কোটি মূল্যের শেয়ার বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। অনেকে মনে করছেন, মহাদেব বেটিং অ্যাপের দুর্নীতির টাকা স্মলক্যাপ ও মিডক্যাপ সূচকের মাধ্যমে খরচ করা হচ্ছিল।
বিরাট ক্ষতি হল বিনিয়োগকারীদের
এই সপ্তাহে বিরাট পতনের ফলে মিডক্যাপ ও স্মলক্যাপ সংস্থার বাজারগত মূলধন কমে গিয়েছে ৪৭ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৪৭০০ কোটি ডলার। যদি এই অবস্থা থেকে বাজার না ঘুরে দাঁড়ায় তাহলে এই ক্ষতির পরিমাণ হতে পারে ৭০০০ কোটি ডলার। অর্থাৎ বাজারে বিনিয়োগকারীরা প্রায় ৭০০০ কোটি ডলার খোয়াতে পারেন।
(মনে রাখবেন : এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, বাজারে বিনিয়োগ করা ঝুঁকি সাপেক্ষ। বিনিয়োগকারী হিসাবে অর্থ বিনিয়োগ করার আগে সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন। ABPLive.com কখনও কাউকে এখানে অর্থ বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেয় না। এখানে কেবল শিক্ষার উদ্দেশ্যে এই শেয়ার মার্কেট সম্পর্কিত খবর দেওয়া হয়। কোনও শেয়ার সম্পর্কে আমরা কল বা টিপ দিই না।)
আরও পড়ুন: Multibagger Stocks: ১৯ টাকা থেকে ২৪৬ টাকায়, এই পেনি স্টক বেড়েছে ১১৫০ শতাংশ