Stock Market Update: রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা শেয়ার বাজারে, ফের নিম্নমুখী সেনসেক্স ও নিফটি
stock market update: বেড়েছে অশোধিত তেলের দাম। এর জেরে ধাক্কা খেয়েছে এশিয়ার ইক্যুইটি বাজার। ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা লগ্নিকারীদের মনে সংশয়ের মেঘ আরও ঘনিয়ে তোলে।
নয়াদিল্লি: শেয়ার বাজারে ফের ধস। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বজুড়েই দোলাচলে রয়েছেন লগ্নিকারীরা। আর এই পরিস্থিতিতে সংশয়ী মনোভাবের প্রভাবে ভারতের বেঞ্চমার্ক সূচক সেনসেক্স ও নিফটি ফের নিম্নমুখী হল। সকাল দশটা নাগাদ বম্বে স্টক এক্সচেঞ্চের (BSE) সূচক ৮২৮ পয়েন্ট পড়ে ৫৪ হাজার ২৪৭ অঙ্কে নেমে আসে। অন্যদিকে, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্চের (NSE) সূচক নিফটিও ২৪৩ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ২৫৪ অঙ্কে নেমে আসে।
আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে অশোধিত তেলের দাম। এর জেরে ধাক্কা খেয়েছে এশিয়ার ইক্যুইটি বাজার। ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা লগ্নিকারীদের মনে সংশয়ের মেঘ আরও ঘনিয়ে তোলে। এর অভিঘাত দেখা গিয়েছে শেয়ার বাজারে।
এশিয়ান পেন্টস, মারুতি, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, টাইটান, উইপ্রো, বাজাজ ট্যুইনস, কোটাক ব্যাঙ্ক, এইচইউএল, এমঅ্যান্ডএম, টেক এম, ইনফোসিস, এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের শেয়ার সবচেয়ে বেশি লোকসানে চলছে। এই শেয়ারগুলি চার শতাংশ পর্যন্ত নেমে গিয়েছে। বিএসই প্ল্যাটফর্মে আইটিসি, টাটা স্টিল, এনটিপিসি ও ডক্টর রেড্ডি-এই চারটির শেয়ার সবুজ সঙ্কেতের সঙ্গে লেনদেন হচ্ছে।
অন্যদিকে, নিফটিতে হিরো মোটোকর্প, আইসার মোটর্স, টাটা মোটর্সের শেয়ার ধাক্কা খেয়েছে। আর শুধুমাত্র টাটা স্টিল, হিন্দালকো, জেএসডব্লু স্টিলের সঙ্গে এনটিপি, ইউপিএল ও বিপিসিএলের মতো কিছু শেয়ারের দর চড়েছে।
নিফটি মেটাল ইনডেক্স ছাড়া সেক্টোরিয়াল শেয়ারের ক্ষেত্রে নিফটি ব্যাঙ্ক, ফিনান্সিয়ালস, অটো, রিয়েলটি, ফার্মা, এফএমজিসি ১ থেকে ২ শতাংশ কমে লেনদেন হচ্ছে।
বৃহত্তর বাজারে বিএসই মিডক্যাপ ও স্মলক্যাপ সূচক নেতিবাচক ক্ষেত্রেই রয়েছে। এক্ষেত্রে দর ১ শতাংশের মতো কমেছে।
গতকালের লেনদেনেও সূচক নিম্নমুখী থেকেই দিন শেষ করেছিল। গতকাল সেনসেক্স ৩৬৬ পয়েন্ট বা ০.৬৬ শতাংশ কমে ৫৫ হাজার ১০৩ অঙ্কে নেমে গিয়েছিল।অন্যদিকে, নিফটি ১০৮ পয়েন্ট বা ০.৬৫ শতাংশ কমে নেমে গিয়েছিল ১৬ হাজার ৪৯৮ অঙ্কে।
গতকাল টাকার দর ১৪ পয়সা কমে প্রতি ডলারে হয়েছিল ৭৫.৯৪ টাকা। অশোধিত তেলের দাম চড়চড়িয়ে বাড়তে থাকায় এবং রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে টাকার দাম এভাবে নিম্নমুখী হয়েছে।