Bengal Budget 2024: কেন্দ্রের ১০০ দিনের কাজের পাল্টা এবার রাজ্যের ৫০দিনের কাজ
West Bengal Budget 2024: কেন্দ্রের ১০০ দিনের কাজের পাল্টা এবার রাজ্যবাসীদের জন্য ৫০দিনের কাজের প্রকল্প চালু করবে রাজ্য সরকার। রাজ্য বাজেটে (WB Budget 2024) এই ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী ।
West Bengal Budget 2024: কেন্দ্রের ১০০ দিনের কাজের পাল্টা এবার রাজ্যবাসীদের জন্য ৫০দিনের কাজের প্রকল্প চালু করবে রাজ্য সরকার। রাজ্য বাজেটে (WB Budget 2024) এই ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী। নতুন এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে 'কর্মশ্রী'(Karmasree)। আগামী মে মাস থেকে কার্যকর হবে নতুন এই প্রকল্প।
কী বললেন অর্থমন্ত্রী
এদিন রাজ্যবাসীর জন্য নতুন প্রকল্প ঘোষণা করার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ করেছেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। যেখানে তিনি বলেন,''রাজ্য সরকার তার সীমিত আর্থিক বাজেটের মধ্যে রাজ্যবাসীর জন্য কাজ করে চলেছে। অথচ ১০০ দিনের প্রকল্পে রাজ্যের পাওনা দিচ্ছে না কেন্দ্র।''
ভোটের (Election) আগে আজ বিধানসভায় (West Bengal Assembly) পেশ করা হয় রাজ্য বাজেট (West Bengal Budget 2024)। এদিন বিধানসভায় বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আজকের পেশ হওয়া বাজেট প্রস্তাব থেকেই আগামী এক বছরের উন্নয়নের অভিমুখ ঠিক করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। গ্রামবাংলার ভোটের আগে কী চমক রয়েছে বাজেটে? কোন খাতে কত বরাদ্দ? আম জনতার কি কোনও সুরাহা হবে? বাড়ি-গাড়ির রেজিস্ট্রেশনে মিলবে কোনও বাড়তি সুবিধা? এ প্রশ্নের মাঝেই বড় ঘোষণা তৃণমূল সরকারের (TMC GOVT)।
এদিন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়ে দেন, 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পে ভাতা ৫০০ থেকে বেড়ে ১০০০। জনজাতি মহিলাদের জন্য ভাতা হাজার থেকে বেড়ে ১২০০।' ভোটের মুখে রাজ্য বাজেটে প্রায় দ্বিগুণ বাড়ল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা।
আর কী কী ঘোষণা?
- আরও ৪% ডিএ, কেন্দ্রের সঙ্গে ফারাক এখনও ৩২ শতাংশ
- চলতি বছরের মে মাস থেকে কার্যকর হবে নতুন হারে মহার্ঘ ভাতা
- সিভিক ভলান্টিয়ার, ভিলেজ, গ্রিন পুলিশের ভাতা বাড়ল হাজার টাকা
- বছরে ৫০ দিনের কাজ, সরকার নতুন প্রকল্প 'কর্মশ্রী'
- চলতি বছরের মে মাস থেকে কার্যকর হবে নতুন প্রকল্প 'কর্মশ্রী'
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তরজা
গত বছর নয়াগ্রামের সভা থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, 'বিজেপির সরকার তৈরি করুন, ৫০০-১০০০'এর গল্প নেই। ২ হাজার করে দেব। ২ হাজার করে দেব।' একই সুর শোনা গিয়েছিল রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গলায়। তিনি বলেছিলেন, 'মাত্র ৫০০ টাকা দিচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। ওতে কি সংসার চলে। আরে বিজেপি আসবে। ২ হাজার টাকা করে দেবে।'
পাল্টা দিয়েছিল তৃণমূলও। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'মোদিজী বলেছিল, আচ্ছে দিন আয়েঙ্গে। ১৫ লক্ষ টাকা পাবেন। পেয়েছেন? আর সুকান্ত মজুমদার আর শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে এখন প্রতিযোগিতা হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে। কে বেশি ঢপ মারবে। প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর পদের মর্যাদা রেখে বড় ঢপ মারছে। আর বিরোধী দলনেতা তার পদের মর্যাদা রেখে ছোট ঢপ মারছে।'
ওয়াকিবহাল মহলের অবশ্য মত, আপাতত সব দলই চেষ্টা করছে ঘরের লক্ষ্মীদের মন জয় করতে। শেষপর্যন্ত কী হবে, তা অবশ্য বোঝা যাবে পরবর্তী ভোট মেশিনেই।