(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Viral: মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছিল পরিবার, রাগে বাবা-মা-বোনকে খুন করল বছর ষোলোর কিশোর
Viral News: এই ঘটনার পর কিশোরকে গ্রেফতার করে তার জবানবন্দি নেয় পুলিশ। সেখানে এই খুনের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে যে, প্রথমে নিজের বাবাতে গুলি করে খুন করেছিলেন সেই কিশোর।
সাও পাওলো: মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছিলেন বাবা, মা। যার খেসারত দিতে হত তাঁদের। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই নিজের বাবা, মা ও বোনকে খুন করলেন এক কিশোর। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাজিলের (Brazil) সাও পাওলোতে (Sao Paoulo)। ব্রাজিল পুলিশের তরফে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এদিকে এই খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। সাও পাওলোর নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে যে, অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনার পর কিশোরকে গ্রেফতার করে তার জবানবন্দি নেয় পুলিশ। সেখানে এই খুনের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে যে, প্রথমে নিজের বাবাতে গুলি করে খুন করেছিলেন সেই কিশোর। এরপর বাড়ির দোতালায় গিয়ে নিজের বোনকেও গুলি করে খুন করে সেই কিশার। বাড়িতে তখন মা ছিল না। কিন্তু তার মা ফেরার পর তাঁকেও গুলি করে অভিযুক্ত। কিন্তু কেন এত হিংসা মনে জন্মালো এক ১৬ বছরের কিশোরের, সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সবার, এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত আছেন কি না, বা কেউ ইন্ধন জুগিয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে পুলিশ জানতে পেরেছে যে তিনদিন মৃত মা, ববা, বোনের দেহ আগলে রেখেছিল সেই কিশোর। ঘটনাটি শুক্রবার হলেও সোমবার নিজেই সে পুলিশে ফোন করে ও জানায় যে এই খুনগুলো সে নিজে করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পারে যে সেই কিশোরকে দত্তক নেওয়া হয়েছিল। কিছু বিষয় নিয়ে তাঁর বাবা, মা-র সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এরপরই কিশোরের ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। ফোনের আসক্তির জন্য় হতাশা গ্রাস করেছিল সেই কিশোরকে। জানা গিয়েছে মৃত ব্যক্তির বয়স ৫৭ বছর ও মহিলার বয়স ৫০ বছর। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক কোনও মানসিক অস্থিরতার মধ্যে রয়েছেন কি না, বা তার মানসক পরিস্থিতি কেমন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মোবাইল ফোনের নেশা কতটা ভয়ঙ্কর, এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে অনেক শিশু বিশেষজ্ঞ ও মনোবিদরা বলে থাকেন যে বাচ্চাদের হাতে বেশি করে মোবাইল ফোন যেন না দেওয়া হয়। সিনেমা, ভিডিও গেম খেলার জন্য মোবাইল ফোনে ডুবে থাকে এই প্রজন্মের কিশোররা। যার ফলে নানারকম মানসিক রোগের শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের।