চালসা চা বাগানে দেখা মিলল ১১ ফুট লম্বা কিং কোবরার
Jalpaiguri News: সেটিকে দিবস রাই খুনিয়া স্কোয়াডের হাতে তুলে দেন। খুনিয়া স্কোয়াড সূত্রে জানা যায়, আপাতত তাদের কাছে সেই কিং কোবরাটি থাকলেও তাকে সুস্থভাবে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: চা বাগান থেকে বিশালাকার কিং কোবরা (King Cobra) উদ্ধার। মেটেলি ব্লকের চালসা চা বাগান (Tea Garden) থেকে ওই কিংকোবরা টিকে উদ্ধার করে চালসার সর্প প্রেমী দিবস রাই। এদিন বাগানের শ্রমিকরা বাগানের ৮০ নম্বর সেকশনে কাজ করার সময় কিং কোবরা (King Cobra) টিকে বাগানের নালায় দেখতে পায়। এরপরেই আতঙ্কিত হয়ে পরে শ্রমিকরা, ওই এলাকায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে এলাকায় যান বাগানের ওয়েলফেয়ার ম্যানেজার দীপেন্দ্র শ্রেষ্ঠা, তিনি বন দফতরকেকে খবর দেন, বন দফতরের ডাকে দিবস রাই বাগানে গিয়ে কিংকোবরা টিকে উদ্ধার করলে আতঙ্ক মুক্ত হন শ্রমিকরা।
বিশাল লম্বা কিং কোবরা
কিংকোবরা টি লম্বায় প্রায় ১১ ফুট বলে জানা গিয়েছে। সেটিকে দিবস রাই খুনিয়া স্কোয়াডের হাতে তুলে দেন। খুনিয়া স্কোয়াড সূত্রে জানা যায়, আপাতত তাদের কাছে সেই কিং কোবরাটি থাকলেও তাকে সুস্থভাবে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
সাপে কামড়ানো রোগীকে চিকিৎসা করাতে আনা হল সাপ
কিছুদিন আগে একটি খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। সাপে কামড়ানো রোগীকে চিকিৎসা করাতে তার সঙ্গে নিয়ে আসা হয়েছিল সাপ (Snake) । ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে (Tufanganj Hospital)। অসমের হালাকুরার বাসিন্দা এক মহিলাকে কামড়ায় সাপ। এরপরে তার বাড়ির লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এবং সঙ্গে করে সেই সাপটিকেও নিয়ে আসে। সাপ দেখে প্রথমে হকচকিয়ে যায় হাসপাতালের কর্মীরা (Hospital Worker)। এরপরে এক সর্বপ্রেমীকে খবর দেওয়া হলে তিনি এসে সাপটিকে অন্যত্র ছেড়ে দেন।
লিফলেট, ব্যানার ,সচেতনামূলক অনুষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও বাইশ সালেও বাংলার বুকে এহেন ঘটনা ঘটেই চলেছে। তারপরেও চলতি মাসের শুরুতেই দক্ষিণ ২৪ পরগণায় একটি এমন ঘটনা ঘটেছে। ঘুমের মধ্যে একরত্তির শরীরে সাপের ছোবলের ঘটনা ঘটে। কিন্তু তড়িঘড়ি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার বদলে, ওঝার দ্বারস্থ হয় ওই পরিবার। যার পরিণতি হয় মর্মান্তিক। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় পড়ে থেকে মৃত্যু হয় তাঁর। এখনও বাংলার প্রত্যন্ত এলাকাগুলি কুসংস্কারের আচ্ছন্ন। সচেতনতার অভাব রয়েছে সেখানে।এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ বলে মনে করা হচ্ছে। সাপের ছোবল সত্ত্বেও ওঝার কাছে ফেলে রাখা হয় শিশুকে।