Singur News: প্রেমের ফাঁদের ফেলে নারী পাচার, নাবালিকাকে উদ্ধার করে চক্রের পর্দাফাঁস পুলিশের
Women Trafficking Case: তারকেশ্বরের পাচার হয়ে যাওয়া নাবালিকাকে বিহারে উদ্ধার করতে গিয়ে নারী পাচার চক্রের পর্দাফাঁস করল হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ। এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে তিনজন।
সোমনাথ মিত্র, কামারকুণ্ডু: এ যেন বাংলা ওয়েব সিরিজ " আবার প্রলয়"-এর প্লট। সেখানকার মতোই প্রেমের ফাঁদে ফেলে নারী পাচার। তারপর তাদের অসামাজিক কাজে লিপ্ত করার অভিযোগ উঠেছে।
বিহারে পাচার হয়ে যাওয়া তারকেশ্বরের এক নাবালিকাকে উদ্ধার করে গিয়ে এমনই একটি নারী পাচার চক্রের (women trafficking racket) পর্দাফাঁস করল হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ (Hooghly Rural police)। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ওই নারী পাচার চক্রের এক মূল পাণ্ডা সহ দুই এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার সিঙ্গুরের কামারকুণ্ডুতে সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন হুগলি জেলা গ্রামীণের পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন। এই ঘটনায় ধৃতরা হল মিজানুর মণ্ডল, শ্রীরাম রায় ও নন্দ কিশোর কুমার। মিজানুর মণ্ডলের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার অশোক নগর, শ্রীরাম রায়ের বাড়ি কলকাতার তারাতলা এবং নন্দ কিশোর কুমারের বাড়ি বিহারের চম্পারণে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ জুলাই তারকেশ্বর থানায় একজন নাবালিকাকে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে তারকেশ্বর থানা ওই নাবালিকাকে বিহার থেকে উদ্ধার করে গত ১৯ জুলাই। তারপর ওই নাবলিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, সমাজ মাধ্যমে তার সঙ্গে পরিচয় হয় রাহুল নামে এক যুবকের। সেই যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ওই নাবালিকা। তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারকেশ্বর থেকে বিহারে নিয়ে যায় রাহুল। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নেমে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জানা যায় রাহুলের আসল নাম মিনাজুর মন্ডল।
এরপরই এই ঘটনার তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই ঘটনার সঙ্গে নারী পাচার চক্রের যোগ পায় পুলিশ। তদন্তের গতি বাড়িয়ে অবশেষে নারী পাচার চক্রের একের পর এক সূত্র খুঁজে পায় পুলিশ।শুধু মাত্র প্রেমের ফাঁদ নয় কাজের টোপ দিয়েও মহিলা এবং নাবালিকাদের এরাজ্য ছাড়াও ভিন রাজ্যের যৌন পল্লীতে পাচার করা হত।
তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পারে মূলত সমাজ মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদ ও কাজের টোপ দিত মিজানুর মণ্ডল ওরফে রাহুল ও শ্রীরাম রায় নামে দুই যুবক। এরপর নন্দকিশোর কুমারের হাতে তুলে দেওয়া হত নাবালিকা ও মহিলাদের। ঘটনাটির তদন্তে নেমে প্রথমে বেশ বেগ পেতে হয় পুলিশকে। কারণ একাধিক জায়গার লোকেশন বারবার পরিবর্তন করতে থাকে অভিযুক্তরা। অবশেষে গত ২৫ অক্টোবর মিজানুর মণ্ডল ওরফে রাহুল ও শ্রীরাম রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপরের দিন ২৬ অক্টোবর নন্দকিশোর কুমারকে বাংলাদেশ বর্ডার লাগোয়া নদীয়া জেলা থেকে এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার ধৃত তিনজনকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে চেয়ে চন্দন নগর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: