Abhishek Banerjee : ED দফতরে পৌঁছে গেলেন অভিষেক, কী কী প্রশ্ন নিয়ে তৈরি কেন্দ্রীয় এজেন্সি?
Abhishek in ED Office: জোটের সমন্বয় বৈঠকে নয়, সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা অভিষেকের। কী জিগ্যেস করা হতে পারে তাঁকে ?
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মৌখিক রক্ষাকবচ নিয়ে বুধবার ED-র মুখোমুখি হচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ( Abhishek Banerjee )। সকাল ১১টা ১২ মিনিটে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ১১.৩৩ নাগাদ তৃণমূলের ( TMC ) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পৌঁছলেন ইডি (ED )দফতরে ।
ED সূত্রে খবর, মূলত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ও তাপস মণ্ডলের বয়ানের ওপর ভিত্তি করেই প্রশ্নমালা সাজানো হয়েছে। ED সূত্রে দাবি, বয়ানে তাপস মণ্ডল জানিয়েছিলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তাবাহক ছিলেন কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। অভিষেকের বার্তা তিনি পৌঁছে দিতেন মানিক ভট্টাচার্যর কাছে। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সঙ্গে বর্তমানে অভিষেকের কী সম্পর্ক, তা নিয়ে জানতে চাওয়া হতে পারে। এর আগে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ED দাবি করে, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের CEO ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সূত্র ধরে তৃণমূল সাংসদকে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। ED-র দাবি, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের COO ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। অভিষেক তাঁর সাহেব বলে জেলে যাওয়ার আগে দাবিও করেন কালীঘাটের কাকু। ED সূত্রে খবর, অভিষেকের কাছে জানতে চাওয়া হতে পারে, সুজয়কৃষ্ণকে তিনি কীভাবে চিনতেন? লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে কী কাজ করতেন সুজয়কৃষ্ণ? ED সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে উঠতে পারে কুন্তল ঘোষের চিঠি প্রসঙ্গ। প্রয়োজন বুঝলে তা নিয়েও অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
ইডি অফিসে হাজিরার কারণে 'ইন্ডিয়া' জোটের সমন্বয় বৈঠকে যাচ্ছেন না অভিষেক বলে সূত্রের খবর । এ কথা তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে শরদ পাওয়ারকে।
গতকালই তৃণমূল জানিয়েছিল, অভিষেকের শিরদাঁড়া সোজা তাই তিনি সামনাসামনি পরিস্থিতির মোকাবিলা করবেন। সূত্রের খবর, তৃণমূলের তরফে শরদ পাওয়ারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ED-র কাছে হাজিরা দেওয়ার জন্য তিনি মুম্বইয়ে ইন্ডিয়া জোটের কো-অর্ডিনেশন কমিটির বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন না অভিষেক।
বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসার আগে সল্টলেকের CGO কমপ্লেক্সে আঁটোসাঁটো ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। বম্ব স্কোয়াড, স্নিফার ডগ নিয়ে চলে তল্লাশি। সকাল থেকেই পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ ছিল গোটা এলাকা। CGO কমপ্লেক্সের কর্মী ছাড়া কাউকেই ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এদিন। গেটের বাইরেও দাঁড়িয়েছিল সাদা পোশাকের পুলিশ। আশপাশের এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হয় সকাল থেকেই।
আরও পড়ুন :
'যে টেবিলে বসলে সম্মান থাকে না, সেই টেবিল ছেড়ে আমি চলে যাই' তুঙ্গে বাবুল-ইন্দ্রনীল তরজা