Kolkata: পাঞ্জাব থেকে কাজের খোঁজে এসে জেলবন্দি, SSKM-এ মৃত্যু মাদক-মামলায় অভিযুক্তের
Kolkata News: কী এমন করেছিলেন তিনি যে চাকরির খোঁজে এসে জেলে যেতে হল তাঁকে? পরিবারের দাবি, ২০২০ সালে প্রথম লকডাউনের পর, চাকরির খোঁজে পশ্চিমবঙ্গে আসেন বলবিন্দর।
সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: SSKM হাসপাতালে মৃত্যু হল জেলবন্দি এক অভিযুক্তের। পাঞ্জাব (Punjab) থেকে পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন তিনি কাজের (job) খোঁজে। কিন্তু তাঁকে মাদক-মামলায় (drug case) ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। জেল-সুপারের দাবি, কারারক্ষীদের (prison guard) মারেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। আর তারপরই হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে এরাজ্যের কয়েকটি শিখ পরিবার।
কাজের খোঁজে ভিন রাজ্য থেকে এসে 'মৃত্যু'
লকডাউনে চাকরি হারিয়ে, সুদূর পাঞ্জাব থেকে এ রাজ্যে এসেছিলেন চাকরির খোঁজে। কিন্তু, জীবনের খোঁজে এসে হারাতে হল জীবন। মৃত্যু হল জেল হেফাজতে থাকা, পঞ্জাবের বাসিন্দা, বলবিন্দর সিংহ নামে এক ব্যক্তির।
কিন্তু কী এমন করেছিলেন তিনি যে চাকরির খোঁজে এসে জেলে যেতে হল তাঁকে? পরিবারের দাবি, ২০২০ সালে প্রথম লকডাউনের পর, চাকরির খোঁজে পশ্চিমবঙ্গে আসেন বলবিন্দর। অভিযোগ, সেই সময়, তাঁকে মাদক-আইনে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়। হাওড়া থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর ঠাঁই হয় মেদিনীপুর জেলে। বলবিন্দরকে বাঁচাতে মামলা লড়ছিল পরিবার।
এরইমাঝে, অভিযোগ, গত ২৮ জুলাই, মেদিনীপুর জেলে, মারাত্মকভাবে মারা হয় বলবিন্দরকে। অভিযোগ, মারধর করেন কারারক্ষীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায়, প্রথমে বলবিন্দরকে নিয়ে যাওয়া হয় মেদিনীপুর হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায়, তাঁকে আনা হয় এসএসকেএম-এ। ভর্তি ছিলেন ICU তে। সোমবার সেখানেই মৃত্যু হয় বলবিন্দরের।
পাঞ্জাবের বাসিন্দা, এই ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে মারধরের ঘটনায় আগেই মেদিনীপুর জেলের সুপারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল হাওড়া বিশেষ আদালত। গত ২৬ অগাস্ট রিপোর্ট জমা দেন জেল-সুপার। রিপোর্টে তিনি লেখেন, কারারক্ষীরা বেআইনিভাবে বলবিন্দরের সেলে ঢুকেছিলেন। সেখানে তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করেন। ঘটনায় সাসপেন্ড করা হয় ৪ কারারক্ষীকে। অভিযোগ, এই ৪ কারারক্ষীর মারেই মৃত্যু হয় বলবিন্দরের।
আরও পড়ুন: Santanu Sen: 'প্রশাসনের নিরপেক্ষ তদন্ত প্রশংসনীয়', গুলিকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া শান্তনু সেনের
কাজের খোঁজে, বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা, স্ত্রী ও সন্তানকে রেখে এসেছিলেন। বাড়ির একমাত্র উপার্জনকারী, বলবিন্দরকে হারিয়ে শোকে পাথর পরিবার। বর্তমানে বলবিন্দরের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে এই শহরের কয়েকটি শিখ পরিবার। বৃদ্ধ বাবা পথ চেয়ে বসে আছে ছেলের। স্বামীর নিথর দেহই পাঞ্জাবে ফেরত নিয়ে যেতে চান বলবিন্দর-পত্নী।
অন্যদিকে, গত সোমবারও ভিন রাজ্যের এক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এই রাজ্যে। বিহার থেকে চিকিৎসা করাতে এসে এন্টালিতে তরুণী খুন হন। শিয়ালদা স্টেশনের সামনে রেলের পরিত্যক্ত কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার হল গলা কাটা দেহ। ৩ পরিচিতের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু। অভিযুক্তরা অধরা।