কিং কোবরার ছোবলে হার্টফেল হাতির, নালা থেকে উদ্ধার দেহ
সাপের ছোবলের কারণেই হার্টফেল করে হাতির মৃত্যু, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এমনটাই উঠে এসেছে
অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর ১২ আগষ্ট সারাবিশ্বে পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব হাতি দিবস। এবছরও বিশ্ব জুড়ে পালিত হয়েছে এই দিনটি। কিন্তু এর একদিন পরই আলিপুরদুয়ারে মৃত্যু হল একটি হাতির।
নিকাশি নালা থেকে উদ্ধার হল পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ দাতাল হাতির দেহ। বাইরের থেকে কোনও আঘাতের চিহ্ন না থাকায় মৃত্যুর কারণ জানতে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয় বলে জানায় বনদফতরের তরফে জানান হয়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলার দলসিংপারার গতিবাড়ি এলাকায় শুক্রবার সকালে স্থানীয় মানুষ দেখতে পায় মৃত হাতির দেহটি। সাপের ছোবলের কারণেই হার্টফেল করে হাতির মৃত্যু, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এমনটাই উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা (পশ্চিম) পারভিন কাসওয়ান। হাতির শুঁড়ের সামনের অংশে ছোবলের ধরন দেখে তা কিং কোবরা সাপ বলেই মনে করছেন বনদফতরের বিশেষজ্ঞরা।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের হ্যামিল্টনগঞ্জ রেঞ্জের জঙ্গল অন্তর্গত সীমানার নিকাশি নালায় মৃত হাতির দেহ পড়ে থাকতে দেখে খবর দেওয়া হয় বনদফতরকে। এরপর বনদফতরের রেঞ্জ আধিকারিকরা এসে শুরু করে তদন্ত। পুরুষ পূর্ণ বয়স্ক হাতির ছোটো দাঁত দুটি অক্ষতই রয়েছে। বনদফতর সূত্রে জানা যায়, মৃত হাতির দেহে বহিরাগত কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে সাধারণ মৃত্যু মনে হলেও ময়নাতদন্তের পর সঠিক কারণ জানা যায়।
এদিকে, ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়ে হাতির তাণ্ডব। বেলপাহাড়ির কপাটকাটা গ্রামে হাতির হানায় বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হল এক মহিলার। ৪-৫টা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিনপুরে হাতির হানায় ফসল নষ্টের অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা। জেলার বিভিন্ন জায়গায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দাঁতালরা।
স্থানীয়দের দাবি, সুবর্ণরেখা পেরিয়ে হাতির দল খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ঢুকছে। মাঝে মধ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে জাতীয় সড়কে।সব মিলিয়ে জেলায় ৪২টি হাতি ছিল। আজ ঝাড়খণ্ড থেকে ৩০টা হাতির দল গিধনি বিটের আমতলিয়ার বাঘাখোন্দর জঙ্গলে ঢোকে। অন্যদিকে, জলপাইগুড়ির মালবাজারে বাইসনের আক্রমণে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। এদিন সকালে মালবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নীচ কলোনি এলাকায় একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে বাইসন। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছেন বন দফতরের কর্মীরা।
উল্লেখ্য, এক শতাব্দী আগেও পৃথিবীতে ১২ মিলিয়নেরও বেশি হাতি ছিল। কিন্তু আজ এ সংখ্যাটি ৪ লাখেরও কম।