AlipurduarNews: কানে হেডফোন লাগিয়ে রেল লাইন পার হতে গিয়ে মৃত্যু কিশোরের
স্থানীয় সূত্রে খূর, আলিপুরদুয়ার জেলার কামাক্ষাগুড়ির তেতুলতলার বাসিন্দা নবম শ্রেণির ছাত্র সূর্য বিশ্বাস। তাঁর বয়স ছিল ১৫ বছর। পরিবার সূত্রে খবর, কামাক্ষাগুড়ি হাই স্কুলের ছাত্র সূর্য।
অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: অসচেতনতার মাসুল গুনতে হল কিশোরকে (Minor Death)। কানে হেডফোন লাগিয়ে রেললাইন পার হতে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক নবম শ্রেণির ছাত্রর। বুধবার কামাক্ষাগুড়ি রেলস্টেশন (Kamakshaguri Rail Station) সংলগ্ন ইয়ার্ডে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে তার।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার কামাক্ষাগুড়ির তেতুলতলার বাসিন্দা নবম শ্রেণির ছাত্র সূর্য বিশ্বাস। তাঁর বয়স ছিল ১৫ বছর। পরিবার সূত্রে খবর, কামাক্ষাগুড়ি হাই স্কুলের ছাত্র সূর্য। বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ প্রাইভেট টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিল সূর্য। কানে মোবাইলের হেডফোন লাগিয়ে রেললাইন পার হতে গিয়েই বিপত্তি বাঁধে।
অন্যমনস্ক থাকায় ট্রেন খেয়াল করেনি ওই কিশোর। ১ নং প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালগাড়ি পেরিয়ে, ঠিকমতো দুপাশ না দেখেই আপ লাইনের উপর উঠে পড়ে। তখনই ওই লাইনে সেকেন্দ্রাবাদ-আগরতলা এক্সপ্রেসের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে সে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আলিপুরদুয়ার জংশন জিআরপির পুলিশ আধিকারিকরা। রেল পুলিশ পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে রাজ্য। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ পটনা-গুয়াহাটি বিকানের ১৫৩৬৬ এক্সপ্রেসটি লাইনচ্যূত হয়। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। কিন্তু দুর্ঘটনার তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, ইঞ্জিনের পর থেকে ১২টি কামরা লাইনচ্যূত হয়ে যায়। একটি কামরার উপর উঠে যায় আর একটি কামরা। একাধিক কামরা লাইনচ্যূত হয়ে যায়। এমনকি একটি কামরা জলেও গিয়ে পড়ে। ফলে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম (Divisional Railway Manager/DRM) দিলীপ কুমার সিংহ জানিয়েছেন, কোভিডের কারণে ট্রেনে যাত্রীসংখ্যা কম ছিল। ফলে হতাহতের সংখ্যা মারাত্মক জায়গায় পৌঁছবে না বলে আশাবাদী তিনি।