Alipurduar: পাড়ায় শিক্ষালয়ে মুক্তাঙ্গনে শিক্ষার সাফল্য ধরে রাখতে তৈরি আলিপুরদুয়ারের গোবিন্দ হাইস্কুল
School Education: কোভিড বিধি মেনে ক্লাস এইট থেকে ক্লাস টুয়েলভ অবধি পঠনপাঠন শুরু হল স্কুলে। তবে এখনও অপেক্ষায় ছোটরা। অভিভাবকদের অনেকেই চাইছেন, প্রথম থেকে সপ্তম শ্রেণি অবধি স্কুল খুলে দেওয়া হোক দ্রুত।
অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: ‘আকাশ আমায় শিক্ষা দিল, উদার হতে ভাইরে।’
কবি সুনির্মল বসুর এই উক্তিটিকে সামনে রেখেই করোনা পরিস্থিতিতে শুরু হয় মুক্তাঙ্গনে শিক্ষা। সেই সাফল্য এবার সরকারিভাবে ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ প্রকল্পে উজাড় করে দিতে চায় আলিপুরদুয়ারের গোবিন্দ হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ। পাড়ায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পেয়ে উচ্ছ্বসিত পড়ুয়া, অভিভাবকরাও।
করোনা সংক্রমণ উদ্বেগকজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়েছিল বিদ্যালয়ে সশীরে পঠন-পাঠন। দীর্ঘদিন ঘরবন্দি ছাত্র-ছাত্রীরা হারিয়ে ফেলছিল তাদের মানসিক ও শারিরিক বিকাশ। সেই পরিস্থিতিতে আলিপুরদুয়ারের গোবিন্দ হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিয়েছিল ‘মুক্তাঙ্গনে শিক্ষা’।
আশেপাশের খোলা মাঠে প্রাথমিক থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে মুক্তাঙ্গনে শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা এবং শরীরচর্চার মাধ্যমে মানসিক বিকাশের ব্যবস্থা নিয়েছিলেন তাঁরা।
এই উদ্যোগ সাড়া ফেলে অভিভাবকদের মধ্যেও। আনন্দের সঙ্গে অংশগ্রহণ করতে শুরু করে বিভিন্ন এলাকার কচিকাঁচারাও।
এরই মধ্যে সরকারি নির্দেশে আগামী সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ প্রকল্প। এবার স্কুল কর্তৃপক্ষের ‘মুক্তাঙ্গনে শিক্ষা’ সাফল্যকে সরকারিভাবে ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’-এ উজাড় করে দিতে চান আলিপুরদুয়ারের গোবিন্দ হাইস্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
স্কুলের পঠনপাঠন শুরু হলে ভাল হয়, এটা মেনে নিয়েও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বক্তব্য, ঘরে বসে যে শিক্ষা, তার চেয়ে অনেকটাই ভাল মুক্ত আকাশে খেলাধুলার মাধ্যমে পড়াশুনা। তবে তাঁদের এটাও বিশ্বাস, পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হবে এবং স্কুলেই ফের পড়া শুরু হবে।
করোনা আবহেই গতকাল থেকে খুলেছে স্কুলের দরজা। স্কুলে ফিরেছে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা। করোনা আবহে জারি হয়েছে বেশ কিছু নিয়মবিধি। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সোম থেকে শনি ক্লাস হবে। পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছতে হবে ক্লাস শুরুর আধঘণ্টা আগে। ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী সবাইকে স্কুলে মাস্ক পরে থাকতে হবে।
অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পেলেও, নিচু ক্লাসের পড়ুয়াদের কাছে এখনও সেই সুযোগ নেই। সেই কারণেই তাদের জন্য ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’-এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।