Kolkata News : খুনের পর মৃতার অ্যাকাউন্ট থেকে বিরাট অঙ্কের টাকা তুলেছিল ফাল্গুনী, অর্ডার করেছিল গয়নাও!
পুলিশের দাবি, সুমিতার অ্যাকাউন্টে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা ছিল। কিছুদিন আগে তিনি ফাল্গুনীকেই তাঁর কার্ডের পাসওয়ার্ড বদল করতে বলেন।

সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : কলকাতায় ট্রলিব্যাগ থেকে দেহ উদ্ধারকাণ্ডে বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। খুনের পরও মাথা ঠান্ডা রেখে মৃতার টাকা - পয়সা আত্মসাৎ করার ফন্দি এঁটেছিল অভিযুক্তরা। ব্যাঙ্ক থেকে তুলে নিয়েছিল বিরাট অঙ্কের টাকা। তদন্তকারীদের সন্দেহ, পারিবারিক বিবাদের জেরে এই খুন হয়ে থাকতে পারে। তবে এর পিছনে টাকা আত্মসাৎ করার ছকও ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে।
সুমিতা ঘোষের পৈতৃক সম্পত্তি প্রচুর?
আরতি ও ফাল্গুনী সম্পর্কে মা-মেয়ে। নিহত সুমিতা ঘোষ আরতির মেয়ে ফাল্গুনীর পিসি শাশুড়ি। অসমের জোড়হাটে পিসি শাশুড়ি সুমিতা ঘোষের পৈতৃক সম্পত্তি আছে, তা ভালভাবেই জানত ফাল্গুনী। জানত, পিসিশাশুড়ির আছে সোনাদানা,টাকাও। সেগুলি আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা ছিল মা-মেয়ের। পিসিশাশুড়ি সুমিতার স্বামী তাঁর সঙ্গে থাকতেন না। অন্য আত্মীয়দের সঙ্গেও তাঁর সদ্ভাব ছিল না বলেই খবর। পিসি শাশুড়ি সম্পর্কে সব কিছুই জানত ফাল্গুনী। সেই সুযোগটাই সম্ভবত কাজে লাগাতে চেয়েছিল তিনি।
কীভাবে পাসওয়ার্ড জানতেন ফাল্গুনী ?
শিয়ালদায় বোনের বাড়ি থেকে গত ১১ ফেব্রুয়ারি মধ্যমগ্রামে ফাল্গুনীদের ভাড়া বাড়িতে এসেছিলেন সুমিতা। পুলিশ জানতে পেরেছে, সুমিতা ঘোষকে খুনের পরের দিন অর্থাৎ সোমবার ওই মহিলার অ্যাকাউন্ট থেকে ২৫ হাজার টাকা তুলেছিল বউমা ফাল্গুনী। এরপর বউবাজারে এসে ৫০ হাজার টাকার সোনার গয়নার অর্ডার দেয়। কিন্তু পিসি শাশুড়ির অ্যাকাউন্ট থেকে কীভাবে টাকা তুলল ফাল্গুনী? পুলিশের দাবি, সুমিতার অ্যাকাউন্টে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা ছিল। কিছুদিন আগে তিনি ফাল্গুনীকেই তাঁর কার্ডের পাসওয়ার্ড বদল করতে বলেন। তাই পাসওয়ার্ড জানত বউমা। তদন্তে সব তথ্যই যাচাই করে দেখছে পুলিশ।
ঝগড়ার সময় রাগের বশে খুন?
মধ্যমগ্রাম থানায় একটি সাইবার অপরাধের অভিযোগও করেছিল ফাল্গুনী। সুমিতার পাসওয়ার্ড বদলের সঙ্গে এর কোনও যোগ রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ঝগড়ার সময় রাগের বশে খুন? নাকি পরিকল্পনামাফিক টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করতেই পিসি শাশুড়িকে খুনের ছক কষেছিল মা-মেয়ে। খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন :
আবারও কেঁপে উঠল মাটি ! মঙ্গলের পর বুধেও ভয়াবহ কম্পন এই দেশে





















