Anubrata Mondal: গ্রেফতার, একের পর বিতর্ক! জেলায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্য়ে কি কমছে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রহণযোগ্যতা?
Anubrata Moldal News: বীরভূমে কি দিনে দিনে অনুব্রত মণ্ডলের পায়ের তলা থেকে রাজনৈতিক জমি সরে যাচ্ছে?

পার্থপ্রতিম ঘোষ ও ভাস্কর মুখোপাধ্য়ায়, কলকাতা: গ্রেফতার থেকে একের পর বিতর্ক। এসবের জেরে কি জেলায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্য়ে কমছে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রহণযোগ্য়তা? প্রশ্নটা উঠছে, কারণ আজ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ সাঁইথিয়ার বনগ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতারা দেখা করলেন, অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধী গোষ্ঠীর লোক বলে পরিচিত কাজল শেখের সঙ্গে! অন্য়দিকে, আজ সাতসকালে পুলিশের কাছে হাজিরা দিয়েছেন, পুলিশকে হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়ানো, সাসপেন্ডেড টিএমসিপি নেতা, বিক্রমজিৎ সাউ।
বীরভূমে কি দিনে দিনে অনুব্রত মণ্ডলের পায়ের তলা থেকে রাজনৈতিক জমি সরে যাচ্ছে? উল্টোদিকে কাজল শেখের রাশ ক্রমশ চওড়া হচ্ছে? পুলিশকে কদর্যভাষায় হুমকি দিয়ে ইতিমধ্য়েই বিতর্কে জড়িয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তৃণমূলের অন্দরেও অনুব্রত বিরোধিতার সুর চড়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বীরভূমে অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের একাংশও কাজল শেখের দিকে সরতে শুরু করেছেন। বীরভূমের বনগ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা ও উপপ্রধান তুষারকান্তি মণ্ডল বলছেন, 'কেষ্টদার অনুগামী ছিলাম। আমরা বিগত ১ মাস থেকে পঞ্চায়েতের সাংগঠনিক বা প্রশাসনিক কর্ম নিয়ে কেষ্টদার কাছে বারবার গেছি। বারবার গিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বা আমরা অপদস্থ হয়েছি। আমরা সমস্ত পঞ্চায়েতের সদস্য-সদস্যা, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও সদস্যা প্রতিটা বুথের সভাপতি এবং অ্য়াক্টিভ কর্মী মিলে আমরা ঠিক করেছি যে আগামী দিন আমরা কাজল দার নেতৃত্বে বনগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে লড়বে।'
বীরভূম জেলা পরিষদের তৃণমূল নেতা ও সভাধিপতি, কাজল শেখ বলছেন, 'গ্রাম পঞ্চায়েতে যদি কোনও দিক দিয়ে কোনও ঘাটতি বা কোনও খামতি থেকে থাকে উন্নয়নের দিক দিয়ে, সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেগুলো লিখিত আকারে বীরভূম জেলা পরিষদে দেওয়ার কথা বলেছি।' অনুব্রত-কাজল ঘিরে বীরভূমে তৃণমূলের দ্বৈরথ চরমে। আর বিধানসভা ভোটের আগে এই সুযোগে জমি শক্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলের।
সাঁইথিয়ার তৃণমূল ব্লক সভাপতি, সাবির আলি খান বলছেন, 'জায়গা পাচ্ছে না বলে নোংরামো করছে। পঞ্চায়েত ভোটে করেনি। লোকসভাতে হারিয়েছে তার প্রমাণ আছে। অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে পাঠিয়েছি। জেলার কোর কমিটিকে দিয়েছি। সমস্ত তথ্য সবাইকে দিয়েছি। তারপর সেই লোকগুলো কী করে তাঁদের একটা প্রশাসনিক লিডার মদত দেয়।' বীরভূম সাংগঠনিক জেলার বিজেপি জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলছেন, 'রাজনৈতিক ব্য়বসায়ী এরা। এরা যখন যেমন, তখন তেমন। এখন দেখছেন কেষ্টর জায়গায় কাজলের কাছে আসল। ২ দিন পর দেখবেন বিজেপির সঙ্গে এসে হিন্দুত্বের জোয়ারে গা ভাসিয়ে দিল।'
অনুব্রত মণ্ডলকে এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। দুবারই পুলিশের তলব এড়িয়েছেন তিনি। এই আবহেই পুলিশকে হুমকি দেওয়ার পর সাসপেন্ডেড তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিক্রমজিৎ সাউ বুধবার হাজিরা দেন সিউড়ি থানায়। সকাল ১০টায় হাজিরার কথা থাকলেও, ৪ ঘণ্টা আগে সকাল ৬টায় সিউড়ি থানায় হাজির হন তিনি।






















