Anubrata Mondal Case : অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ, ২৪ অগস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজত
Anubrata Mondal Update : ৪ দিনের সিবিআই হেফাজত অনুব্রতর। ২৪ অগস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজত অনুব্রতর।
প্রকাশ সিনহা, আবীর দত্ত, আসানসোল : অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ । সিবিআই হেফাজত ফের অনুব্রত মণ্ডল ( Anubrata Mondal ) । ৪ দিনের সিবিআই (CBI ) হেফাজত অনুব্রতর। ২৪ অগস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজত অনুব্রতর।
৪ দিনের হেফাজত চায় সিবিআই
আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। তদন্তে অসহযোগিতার কথা বলে ফের ৪ দিনের হেফাজত চায় সিবিআই। আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করে, সীমান্তে আটক করা গরুর বেআইনি নিলামের টাকা যেত অনুব্রতর কাছে। পাচারে সাহায্য করার জন্যও টাকা নিতেন অনুব্রত।
অনুব্রত কীভাবে অসহযোগিতা করছেন? প্রশ্ন আদালতের
সিবিআইয়ের আইনজীবীকে বিচারক প্রশ্ন করেন, অনুব্রত কীভাবে অসহযোগিতা করছেন? সিবিআইয়ের দাবি, গ্রেফতারের আগে বারবার নোটিস পাঠালেও তিনি আসেননি। গ্রেফতারের পরেও জেরায় মুখ খুলছেন না অনুব্রত। পাশাপাশি, অনুব্রত-কন্যা সুকন্যাও তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলে আদালতে দাবি করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।
অনুব্রতর প্রচুর বেনামি সম্পত্তি : CBI
অন্যদিকে, সিবিআই সূত্রে দাবি, ঘনিষ্ঠদের নামে অনুব্রতর প্রচুর বেনামি সম্পত্তি রয়েছে। এছাড়াও, অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে প্রায় ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ছাড়াও রয়েছে ফার্ম হাউস, জমি, রাইস মিল। সেক্ষেত্রে অনুব্রতর আয়ের উত্স কী, তা জানতে চাইছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।
শনিবার আদালতে অনুব্রতর নানাবিধ অসুস্থতার কথা বলে জামিনের আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী। বিচারক প্রশ্ন করেন, যখনই ডাকা হচ্ছে অনুব্রত অসুস্থ হচ্ছেন, এটা কি কাকতালীয় নয়? একাধিকবার কলকাতায় গেলেও তিনি সিবিআই অফিসে যাননি কেন, সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারক। অনুব্রতর আইনজীবী দাবি করেন, বেশ কয়েকবছর ধরে অনুব্রত অসুস্থ, তাঁর চিকিৎসা চলছে।
এদিন আদালতে পেশের আগে সকালে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য নিজাম প্যালেস থেকে আলিপুরের কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রতকে। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি দাবি করেন, ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট নিয়ে যাই দাবি করুক, তাঁর কোনও বেনামি সম্পত্তি নেই। পাশাপাশি, তদন্তে সিবিআইকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন বলেও দাবি করেন অনুব্রত।
গত ১১ অগাস্ট গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআই সূত্রে খবর, ফৌজদারি দণ্ডবিধির 41A ধারায় গরুপাচার মামলায় সরাসরি অভিযুক্ত করা হয় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে। তার আগের দিন সিবিআই-এর হাজিরা এড়ানোর পরদিন আদালতের নির্দেশনামা ও মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে বোলপুরের নীচুপট্টিতে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআই অফিসাররা। অনুব্রতর বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাড়িতে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন সিবিআই আধিকারিকরা। বাড়ির সকলের মোবাইল ফোন নিয়ে নেওয়া হয়। তল্লাশির পাশাপাশি, দোতলার ঘরে অনুব্রতকে বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই অফিসাররা। এরপর গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল জেলা সভাপতিকে।