Bankura News: অঙ্কের ক্লাস নিচ্ছেন ভৌতবিজ্ঞান-ইংরেজির শিক্ষিকারা! শূন্যস্থান পূরণ কবে?
School Teacher Contro: : ২০১১ সালে অবসর নেন স্কুলের একমাত্র অঙ্ক শিক্ষিকা। ২০১৭ সালে জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষিকা অবসর নেন। কিন্তু কোনও পদেই নতুন শিক্ষিকা আসেননি।
পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: ১২ বছরেও মিলল না অঙ্কটা। জটিল কোনও অঙ্ক নয়, একজন শিক্ষিকার শূন্যস্থান পূরণের অঙ্ক। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ক্ষেত্রে কখনও অঙ্কের ক্লাস নেন ভৌতবিজ্ঞানের শিক্ষিকা, কখনও ইংরেজির শিক্ষিকা। নবম-দশমের ক্ষেত্রে অঙ্ক মানেই অফ পিরিয়ড। এমনই আশ্চর্য ছবি বাঁকুড়ার (Bankura) শালডিহা গার্লস হাইস্কুলের।
মিলল না অঙ্কটা: ২০১১ সালে অবসর নেন স্কুলের একমাত্র অঙ্ক শিক্ষিকা। ২০১৭ সালে জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষিকা অবসর নেন। কিন্তু কোনও পদেই নতুন শিক্ষিকা আসেননি। ২০১১ সালের পর থেকে স্কুলের পঞ্চম থেকে অষ্টম পর্যন্ত অঙ্কের ক্লাস কোনওক্রমে অন্যান্য বিষয়ের শিক্ষিকা ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মীকে দিয়ে সামাল দেওয়া হলেও বন্ধ হয়ে যায় নবম ও দশম শ্রেণির অঙ্ক ক্লাস। তাদের ক্ষেত্রে গোটাটাই টিউশন নির্ভর। আর যাদের সেই সামর্থ্য নেই তাঁদের পুরোটাই অন্ধকারে। এই পরিস্থিতিতে নিরুপায় শিক্ষিকারাও। ইন্দপুরের শালডিহা গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষিকা দেবলীনা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, “ডিআইকে জানিয়েছি। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।’’
১৯৬৪ সালে তৈরি এই স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা একটা সময় সাতশো ছুঁয়েছিল। ছিল হস্টেলও। তারপর এক সময় হস্টেল বন্ধ হয়ে যায়। এখন পড়ুয়ার সংখ্য়া কমতে কমতে আড়াইশো। অভিভাবকদের আশঙ্কা, হোস্টেলের মতো একদিন স্কুলও বন্ধ হবে না তো? বিষয়টি জানাজানি হতেই সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা স্কুল পরিদর্শক। জরুরি ভিত্তিতে অন্য স্কুল থেকে শিক্ষক পাঠিয়ে আপাতত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস বাঁকুড়া জেলা স্কুল পরিদর্শক পীযূষকান্তি বেরার। সামনের বছর মাধ্যমিক। অঙ্ক, জীবন বিজ্ঞানের মতো বিষয়ে কী করে বৈতরণী পার করবে? ভেবেই কুল পাচ্ছে না পড়ুয়ারা।
এদিকে শনিবার শেষ হল এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। কিন্তু, বজ্র আঁটুনির মধ্যেও থেকে গিয়েছে ফস্কা গেরো।এবারও অভিযোগ উঠেছে, প্রশ্নপত্রের ছবি বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার। মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনে ইংরেজি পরীক্ষা শুরুর পর, প্রশ্নপত্রের ৩টি পাতার ছবি ট্যুইট করে, সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, প্রশ্নপত্র সোশাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিজেপি রাজ্য় সভাপতির পোস্ট ঘিরে শুরু হয় জল্পনা।
ওই দিনই ঘটনার নেপথ্য পরিকল্পিত অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুলে বিবৃতি দেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিনও একই অভিযোগ করেন তিনি। অঙ্ক পরীক্ষায় ১৫ নম্বর প্রশ্নে গ্রাফ করতে দেওয়া হলেও ওইদিন কোনও পরীক্ষাকেন্দ্রেই পৌছয়নি গ্রাফ পেপার। প্রশ্নের মুখে পড়ে পর্ষদ। পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পরীক্ষার খাতাতেই ছক কেটে দিতে হবে উত্তর। উত্তর মিললেই দেওয়া হবে পুরো নম্বর। এদিন পর্ষদের আশ্বাস এই ঘটনায় কারও রেজাল্ট প্রভাবিত হবে না। এবছর পরীক্ষার হলে ৯ টি মোবাইল ফোন ধরা পড়েছে। আলিপুরদুয়ারের ৩ টি ও হুগলির ১টি স্কুলে সামনে এসেছে পরীক্ষার পর ভাঙচুরের ঘটনা। এবছর ৪১ হাজার পরীক্ষক খাতা দেখবেন। মে মাসের শেষ সপ্তাহে বের করা হবে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে জবকার্ড দুর্নীতির অভিযোগ,কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর