Bankura News: 'পদ না পেলে বা সরিয়ে দেওয়া হলে গুম হয়ে বসে যাচ্ছেন', অভ্যন্তরীণ বিষয় তুলে কী বার্তা অরূপের ?
TMC: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুকে সামনে রেখে বুধবার কোতলপুর নেতাজি মোড়ে সভা করে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল
তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া : লোকসভা ভোটের আগে দলীয় সংগঠন চাঙা করার লক্ষ্যে ময়দানে নেমেছে প্রতিটি রাজনৈতিক দল। রাজ্যের শাসকদল একাধিক জায়গায় সভা-সমাবেশ করে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সংগঠনের বিভিন্ন ইস্যুতে নজর দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রকাশ্য সভায় এবার দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কথা সামনে আনলেন বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী। তাঁর বক্তব্য, 'দলের কিছু নেতা অভিমান করে বসে আছেন। পদ না পেলে বা পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেই তাঁরা গুম হয়ে বসে যাচ্ছেন ৷ এইভাবেই তো আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। বুধবার বাঁকুড়ার কোতলপুরে তৃণমূলের একটি প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমন কথায় বলেন তিনি। এনিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি। তাদের কটাক্ষ, তৃণমূলের পদ শুধু কাটমানির জন্য, আর তা নিয়ে এদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তা এদের কথাতেই পরিষ্কার।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুকে সামনে রেখে বুধবার কোতলপুর নেতাজি মোড়ে সভা করে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল। সেই সভায় হাজির ছিলেন রাজ্য তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার, সমীর চক্রবর্তী, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বাঁকুড়া ও বিষ্ণপুর সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব। এদিনের সভায় বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা তালডাংরার বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কথা সামনে আনেন।
তিনি বলেন, যাঁরা দুর্দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করলেন, আজ তাঁদের মনে এত অভিমান কেন ? কেন অভিমান করব, কেন পিছিয়ে যাচ্ছি আমরা আসুন আমরা সবাই মিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে দিল্লিকে দেখিয়ে দিই, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কারও স্থান নেই। আমরা পদ নিয়ে কাড়াকাড়ি করব না । দল যাকে দায়িত্ব দেবে তাঁকে সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে বা পদ না পেলে গুম হয়ে যাব, অভিমান কীসের জন্য ? অভিমান করে বসে থাকব এ জিনিস চলতে পারে না। আমরা দলের সৈনিক, আমার পরিচয় আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল করি। অভিমানীদের দলের সাংগঠনিক কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান করেন তিনি।
যদিও অরূপ চক্রবর্তীর এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র দেবপ্রিয় বিশ্বাস বলেন, এদের পদ হল কাটমানি। পদ না থাকলে কাটমানি থাকবে না। আর এই নিয়ে তো আদি নব্যের লড়াই শুরু হয়েছে। সেটা প্রকাশ্য দেখা যাচ্ছে।