Bankura: টেন্ডার দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শ্যামাপ্রসাদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছে শাসক-বিরোধী ২ শিবিরই
Bankura: দুই শিবিরের দাবি, বিষ্ণুপুরের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তাদের দলের কেউ নন। এই চাপানউতোরের মধ্যে প্রাক্তন মন্ত্রীর আরও সম্পত্তির হদিশ পেলেন তদন্তকারীরা।
তুহিন অধিকারী ও পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: যতই দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হচ্ছে ততই, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছে তৃণমূল-বিজেপি। দুই শিবিরের দাবি, বিষ্ণুপুরের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তাদের দলের কেউ নন। এই চাপানউতোরের মধ্যে প্রাক্তন মন্ত্রীর আরও সম্পত্তির হদিশ পেলেন তদন্তকারীরা।
এ যেন গুপ্তধনের হদিশ!!! ব্যাঙ্কের লকারে থরে থরে সাজানো সোনা! নিজের নামে, বেনামে কোটি কোটি টাকার জমি! পোস্ট অফিসে, ব্যাঙ্কে একাধিক অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা জমা! বিষ্ণপুর টেন্ডার দুর্নীতির তদন্ত শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বিপুল পরিমাণ স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তির হদিশ কি হিমশৈলের চূড়া মাত্র? তদন্তকারীদের ধারণা তেমনই।
জেল হেফাজতে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ঘনিষ্ট রাম শঙ্কর মহান্তি। ৪ দিনের জেল হেফাজতে প্রাক্তন বস্ত্রমন্ত্রীর ঘনিষ্ট রাম শঙ্কর মহান্তি। জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালত। রাম শঙ্করের লকার থেকে উদ্ধার প্রায় ৩ কেজি সোনা। উদ্ধার হওয়া সোনার মূল্য প্রায় ১ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা। আদালতে জানালেন সরকারি আইনজীবী।
প্রতিদিনই প্রাক্তন মন্ত্রীর বিপুল সম্পদের সন্ধান মিলছে। বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, বিষ্ণুপুর শহর লাগোয়া জায়গায় এই জমিতে যে পেট্রোল পাম্প তৈরি হচ্ছে, তার মালিক শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। এখানেই শেষ নয়। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, বিষ্ণুপুরের ৩০ বছরের চেয়ারম্যানের এপর্যন্ত ২২টি জমির দলিল মিলেছে। যার বাজার দর প্রায় ৫ কোটি টাকা। পুলিশ সূত্রে দাবি, যেসব এলাকায় দ্রুত জমির দাম বাড়তে থাকে সেখানেই জমি কিনতেন প্রাক্তন মন্ত্রী। জমিজমার পাশাপাশি, শ্যামাপ্রসাদের সোনাদানা ও ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সের পরিমাণও চমকে দেওয়ার মতো।
প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠের লকার থেকে মিলেছে ৩ কেজি সোনা। ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিস মিলিয়ে ১৪টি অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। কোটি কোটি টাকার টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগে ক্রমশ জড়িয়ে পড়ায়, প্রাক্তন মন্ত্রীর থেকে দূরত্ব বাড়াতে মরিয়া তৃণমূল ও বিজেপি। বাঁকুড়া বিজেপি বিধায়ক ও সাধারণ সম্পাদক নীলাদ্রিশেখর দানা বলেন, ‘এত তৃণমূলের কেঁচো খুড়তে গিয়ে সাপ বেরোচ্ছে, শ্যাম মুখার্জি কার আমলে এত টাকা রোজগার করেছেন, কাউকে ছেড়ে দেব না।’
বাঁকুড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান শ্যামল সাঁতরা বলেন, ‘বিজেপির নেতারা অবাক হচ্ছেন আমরা কেন এই কাজ করতে পারি না, শ্যামবাবুকে দেখে শিখুক, আপনাদের সম্পত্তি বাগিয়ে রাখুন।’ আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।