Bankura News: পানীয় জলের কলে নেই একফোঁটা জল, দাবদাহের মাঝেই বাঁকুড়ায় জলসঙ্কট
Bankura Water Crisis: সারি দিয়ে রাখা জলের বালতি, এদিকে পুরসভার পানীয় জলের কলে নেই একফোঁটা জল, প্রতি গরমেই বাঁকুড়ায় দেখা মেলে জলকষ্টের এই চেনা ছবির।
পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: প্রখর দাবদাহে শুকিয়ে গেছে দ্বারকেশ্বর নদ। সঙ্কট মোকাবিলায় মুকুটমণিপুরে কংসাবতী জলাধার থেকে ক্যানেলের সাহায্যে ছাড়া হল জল। বাঁকুড়া (Bankura) পুরসভার দাবি, দ্বারকেশ্বরের জলস্তর (Water Level) বৃদ্ধি পাওয়ায় মিটবে পানীয় জলের সমস্যা।
কী পরিস্থিতি?
সারি দিয়ে রাখা জলের বালতি, এদিকে পুরসভার পানীয় জলের কলে নেই একফোঁটা জল, প্রতি গরমেই বাঁকুড়ায় দেখা মেলে জলকষ্টের এই চেনা ছবির। এই জলকষ্টের সমস্যার সমাধানেই এবার তৎপর হল বাঁকুড়া পুরসভা। এপ্রিলের গোড়া থেকেই তীব্র গরম ও প্রবল রোদে তলানিতে দারকেশ্বরের নদের জলস্তর।
ধূ ধূ বালির স্তূপের গভীর থেকে জল তুলে সরবরাহ করতে গিয়ে রীতিমত ঘাম ছুটে যায় পুর কর্মীদের। এই পরিস্থিতিতে শহরের ওই অংশে জল সরবরাহ নিয়মিত রাখা রীতিমত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় পুর কর্তৃপক্ষের কাছে। পুরসভা সূত্রে খবর, প্রচন্ড গরমে শুকিয়ে খটখটে বাঁকুড়া, নেমে গেছে দ্বারকেশ্বরের জলস্তর। প্রচন্ড গরমে ঘরে ঘরে শুরু হয় পানীয় জলের জন্য হাহাকার।
আরও পড়ুন, ‘এবার জনতার কাছে যাওয়ার সময় হয়েছে’, ভোটের ময়দানে নামছেন প্রশান্ত কিশোর?
এই পরিস্থিতিতে শহরের ওই অংশে জল সরবরাহ নিয়মিত রাখা রীতিমত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় পুর কর্তৃপক্ষের কাছে। মুকুটমনিপুর জলাধার থেকে জল ছেড়ে তা দ্বারকেশ্বর নদে ফেলার জন্য চিঠি দেওয়া হয় কংসাবতী সেচ দফতরে। সেই মোতাবেক গতকাল জল ছাড়ে মুকুটমনিপুর জলাধার। সেচ দফতরের রাইট ব্যাঙ্ক মেইন ক্যানেলের মাধ্যমে সেই জল চলে আসে বাঁকুড়া শহরের অদূরে থাকা সিধা গ্রামে। সেখান থেকে জল একটি উপনদীর মাধ্যমে এনে ফেলা হয় দারকেশ্বর নদের গর্ভে। গতকাল সন্ধ্যেয় সেই জল দারকেশ্বরের গর্ভ দিয়ে বইতে শুরু করে। ফের পাম্পগুলির গোড়ায় জল জমে। এর ফলে আপাতত বাঁকুড়া শহরে জল সঙ্কট হওয়ার আর আশঙ্কা নেই বলেই মনে করছে পুর কর্তৃপক্ষ।
বাঁকুড়ার বাসিন্দা প্রদীপ মাল বলেন, "শুনেছি কংসাবতী থেকে জল এসেছে। ফলে কিছুটা সমস্যার সমাধান হয়েছে।" অন্যদিকে, বাঁকুড়ার বিজেপি জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেন, "কংসাবতী থেকে জল নেওয়া মানে তৃণমূল সরকারের ব্যর্থতা। ২০১৬-১৭ পাইপলাইনের মাধ্যমে দুর্গাপুর ডিভিসি থেকে জল আনা শুরু হয়। তারপরেও কেন কংসাবতী থেকে জল আনতে হল?" বাঁকুড়া পুরসভার উপ পুরপ্রধান হীরালাল চট্টরাজ বলেন, "গরমে নদীর জল শুকিয়ে গেছে। দ্বারকেশ্বরের জলস্তর নেমে গেছিল। তাই কংসাবতী থেকে জল এনেছি। আগাম সতর্কতায় এটা করেছি। এখান থেকে পাম্পিং স্টেশনের মাধ্যমে জল সব জায়গায় সরবরাহ করা হবে।"