Belur Math : পরশু থেকে পরিবর্তন হচ্ছে বেলুড় মঠ খোলা থাকার সময়, জানুুন বিস্তারিত
আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে বেলুড় মঠে ভক্তদের দর্শনের সময়ের পরিবর্তন করা হল।
ভাস্কর ঘোষ, হাওড়া : আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে বেলুড় মঠে ভক্তদের দর্শনের সময়ের পরিবর্তন করা হল। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর ১৮ অগাস্ট খোলে বেলুড় মঠের দরজা। তখন বেলুড় মঠ খোলার সময়, ছিল সকাল ৮ টা থেকে ১১ টা। আবার বিকেলে মন্দির খোলা থাকছিল বিকেল চারটে থেকে পৌনে ছ'টা। ১ সেপ্টেম্বর থেকে সেই সময়ে বদল আসছে। মন্দির খোলা থাকবে সকাল ৮ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত। আবার বিকেলে মন্দির খোলা ও বন্ধ থাকার সময় যথাক্রমে বিকেল চারটে ও বিকেল সাড়ে ৫ টা।
জারি থাকছে কড়া কোভিড বিধি। কিছু শর্ত মেনেই ঢুকতে পারবেন দর্শনার্থীরা। দুটি ডোজের শংসাপত্র বা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরটিপিসিআর রিপোর্ট নিয়ে যেতে হবে। পরিচয়পত্রের সঙ্গে টিকাকরণ শংসাপত্র বা আরটিপিসিআর রিপোর্ট নিয়ে গেলে ঢুকতে পারবেন দর্শনার্থীরা। এছাড়া সেইসঙ্গে করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিধি যেমন, মাস্ক পরা, থার্মাল স্ক্রিনিং, স্যানিটাইজার ব্যবহার, শারীরিক দূরত্ব বিধি মেনে চলতে হবে দর্শনার্থীদের।
১৮ অগাস্টের আগে ২৪ জুলাই গুরুপূর্ণিমায় একদিনের জন্য খুলেছিল বেলুড় মঠ। সেদিন করোনা বিধি মেনে মঠে ঢুকতে পেরেছিলেন দর্শনার্থীরা। বিধির কড়াকড়ির মধ্যে বৈদিক মন্ত্র, স্তোত্র পাঠ থেকে ভজন...খামতি ছিল না কোনও কিছুর। সারদা মা, রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দের বাণীও পাঠ করা হয়। তবে তা অবশ্য মঠে বসে শুনতে পারেননি ভক্তরা। সবটাই নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচার করে মঠ কর্তৃপক্ষ। তবে এই পুণ্যতিথিতে মঠে আসার অনুমতি পেয়ে খুশি হয়েছিলেন দর্শনার্থীরা। গুরুপূর্ণিমায় মঠ খুললেও গুরুদর্শন অবশ্য হয়নি। প্রেসিডেন্ট মহারাজ ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মহারাজকে দর্শন করতে পারেননি ভক্তরা। ওই দিন সকাল ও বিকেল মিলিয়ে ৫ ঘণ্টা খোলা ছিল মঠ।
গত বছর ২৫ মার্চ করোনা আবহে লকডাউন ঘোষণার পর দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ হয়ে যায় মঠের দরজা। এরপর দেশজুড়ে আনলক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর ১৫ জুন থেকে ফের বেলুড় মঠের দরজা খোলে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য। এরপর মঠের প্রায় ৮০ জন সন্ন্যাসী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ফের একবার সাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। পরে চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি সব রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফের খোলা হয় মঠের দরজা। তবে দর্শনার্থীদের জন্য চালু হয় বেশ কিছু বিধিনিষেধ। সব মন্দিরে প্রবেশাধিকার থাকলেও মন্দিরে বসা কিংবা মঠ চত্বরে সময় কাটানো, আরতি দর্শন, ভোগ খাওয়া বন্ধ রাখা হয়েছিল। এরপর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর গত এপ্রিল মাসে বন্ধ হয়েছিল বেলুড় মঠের দরজা।