Bhuban Badyakar Felicitated: ভবানী ভবনে ‘কাঁচা বাদাম’ খ্যাত ভুবন বাদ্যকর, রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে সম্বর্ধনা পেলেন
Bhuban Badyakar Felicitated: রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদের ‘কাঁচা বাদাম’ গেয়েও শোনান ভুবন।
কলকাতা: তালিম বলতে যা বোঝায়, কোনও দিন তা নেওয়া হয়নি তাঁর। অভাবের সংসার চালাতে বাদাম বিক্রি করে বেড়াতেন। কিন্তু গানের প্রতি ভালবাসা ছিল বরাবর। তাই বাদাম বিক্রিকেও কার্যত শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। আর তাতেই সাধারণ থেকে রাতারাতি অসাধারণ হয়ে উঠেছেন শিল্পী ভুবন বাদ্যকর (Bhuban Badyakar)। তাঁর ‘কাঁচা বাদাম’ গানটি পৌঁছে গিয়েছে মায়ানগরীতেও। এ হেন শিল্পীকে এ বার সম্বর্ধনা দিল রাজ্য পুলিশ (West Bengal Police)।
নেটমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংসর্গে আসার সুযোগ হয়েছে ভুবনের। বৃহস্পতিবার রাজ্য পুলিশের তরফে তাঁকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। ভবানী ভবনে তাবড় আধিকারিকদের উপস্থিতিতে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় পুষ্পস্তবক এবং শাল। সেখানে রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদের ‘কাঁচা বাদাম’ গেয়েও শোনান ভুবন।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, নন্দন, ময়দান থেকে রবীন্দ্র সরোবর এমনকি ইকোপার্কেও বাদাম বিক্রিকে নিয়ে গিয়েছিলেন ভুবন। কিন্তু গানই আর পাঁচ জন বিক্রেতার থেকে ভুবনকে আলাদা করে দেয়। গানের সুরে বাদাম বিক্রির তাঁর ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে নেটমাধ্যমে। তাঁর অকৃত্রিম সুর, গলা এবং মাঠে-ময়দানে বাদাম-সহযোগের আড্ডা, বাঁধা পড়ে যায় এক সুতোয়। আম জনতা তো বটেই, বিশিষ্ট জনেরাও ভুবনের অনুরাগী হয়ে ওঠেন রাতারাতি।
কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র খোলাখুলি নিজেকে ভুবনের অনুরাগী বলে জানিয়েছেন। ভুবনের ডালা থেকে বাদাম খেতে খেতে দলের হয়ে পুরভোটে প্রচারেও দেখা গিয়েছে মদনকে। এমনকি ‘কাঁচা বাদাম’-এর সুরে গলা মিলিয়েছেন নিজেও। ভুবনকে দোকান করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন মদন।
তবে শুধু বাংলা বা কলকাতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই ভুবন বাদ্যকরের গান। ইনস্টাগ্রাম থেকে ফেসবুক, টুইটার এমনকি ইউটিউব, তাঁর গাওয়া গান ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। বলিউড তারকা থেকে বিদেশি নাগরিক, অনেকেই ‘কাঁচা বাদাম’ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। তার মধ্যেই রাজ্য পুলিশের তরফে তাঁকে সম্বর্ধনা দেওয়া হল।