Birbhum News: বীরভূম তৃণমূলে হাওয়া 'বদল', একের পর এক অনুব্রত-ঘনিষ্ঠর পদত্যাগ
Anubrata Mondal TMC: কাজল শেখ জেলা পরিষদের সভাধিপতি হওয়ার পর, আরও এক অনুব্রত-ঘনিষ্ঠের পদত্যাগ ঘিরে বীরভূমের জেলা-রাজনীতিতে তৈরি হল জল্পনা।
বীরভূম (Birbhum) তৃণমূলে (TMC) হাওয়া 'বদল', একের পর এক অনুব্রত (Anubrata Mondal)-ঘনিষ্ঠর পদত্যাগ। ইস্তফা দিলেন খয়রাশোলের তৃণমূল ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী। দলীয় কোন্দলের জেরেই ইস্তফা বলে কার্যত স্বীকার করেছেন কাঞ্চন। কেষ্ট-রাজ শেষ হয়ে বীরভূমে এখন কাজল-রাজ চলছে, কটাক্ষ বিজেপির। ব্লক সভাপতি পদে বদল স্বাভাবিক ঘটনা, প্রতিক্রিয়া জেলা তৃ্ণমূল নেতৃত্বের।
কাজল শেখ জেলা পরিষদের সভাধিপতি হওয়ার পর, আরও এক অনুব্রত-ঘনিষ্ঠের পদত্যাগ ঘিরে বীরভূমের জেলা-রাজনীতিতে তৈরি হল জল্পনা। ইস্তফা দিলেন খয়রাশোলের ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী।
শনিবার খয়রাশোলে জেলা সভাধিপতি কাজল শেখের সম্বর্ধনা সভায় গরহাজির ছিলেন কাঞ্চন অধিকারী। দলীয় কোন্দলের জেরেই ইস্তফা বলে কার্যত স্বীকারই করে নিয়েছেন তৃণমূলের পদত্যাগী ব্লক সভাপতি। বিজেপির কটাক্ষ, কেষ্ট-রাজ শেষ হয়ে এখন বীরভূমে কাজল-রাজ চলছে। তাই কেষ্ট-ঘনিষ্ঠের পদত্যাগ। ব্লক সভাপতি পদে বদল স্বাভাবিক ঘটনা, প্রতিক্রিয়া জেলা তৃ্ণমূল নেতৃত্বের।
অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিকাশ রায়চৌধুরীর বদলে আগেই জেলা সভাধিপতি করা হয়েছে কাজল শেখকে। এবার কি বীরভূম জেলা পরিষদে কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ কর্মাধ্যক্ষদের সরানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেল? নাম ঘোষণার পরও, কর্মাধ্যক্ষের পদে থাকতে চান না বলে দুই নেতার চিঠি দেওয়ার পরই শুরু হল জল্পনা। যদিও এ নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।
আরও পড়ুন, রাবণের লঙ্কাপুরী-পুষ্পক রথ নির্মাতা বিশ্বকর্মা, কৃষ্ণের দ্বারকাও তৈরি দেবশিল্পীর হাতেই
এদিকে, গরু পাচার মামলায় দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। এই পরিস্থিতিতে কেষ্ট-বিরোধী কাজল শেখের হাতে গিয়েছে বীরভূম জেলা পরিষদের ব্যাটন। কর্মাধ্যক্ষ পদেও এবার কাজল-ঘনিষ্ঠদের দাপট।
স্থায়ী সমিতি থেকে বাদ পড়লেন অনুব্রত-অনুগামী বলে পরিচিত দু’বারের জেলা সভাধিপতি ও সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, নারায়ণ হালদার ও আদিবাসী নেতা রবি মুর্মু। এমনকী, কর্মাধ্যক্ষ পদে নাম ঘোষণা পরেও, গতকাল পদত্যাগ করেন রবি মুর্মু ও নারায়ণ হালদার। জেলা পরিষদ আসনে প্রথমবার দাঁড়িয়েই ভোটে জিতে একেবারে সভাধিপতির চেয়ারে বসেছেন কাজল শেখ। তাঁর এই উত্থানকে অনুব্রত-জমানার পতন হিসেবেই দেখছে বিজেপি। একজন তো সারা জীবন থাকতে পারে না, তাই এই পরিবর্তন। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া কার্যত বিরোধীদের জল্পনাকেই মান্যতা দিয়েছে।