Rampurhat: নলহাটির বিজেপি কর্মী খুনে আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি মিলল না সিবিআইয়ের
Rampurhat: গত ১৪ ই মে নলহাটিতে বিজেপি কর্মী খুন হয়। সেই খুনের তদন্তে জন্য জেল হেপাজতে থাকা অভিযুক্ত দুই আসামী মইনুউদ্দিন সেখ এবং ইমরান সেখকে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য আবেদন করে।
গোপাল চট্টোপাধ্যায়, রামপুরহাট: নলহাটি বিজেপি কর্মী খুনের জেল হেপাজতে থাকা অভিযুক্ত দুই আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আজও অনুমতি দিল না রামপুরহাট মহকুমা আদালত। পদ্ধতিতে ত্রুটি থাকায় আদালতের কাছে সিবিআই সময় চাইলে, আদালত সিবিআইকে তিন দিন সময় দেয়। সেই অনুযায়ী ১৮ মে সকালে সিবিআইয়ের একটি দল রামপুরহাট মহকুমা আদালত আসে। গত ১৪ ই মে নলহাটিতে বিজেপি কর্মী খুন হয়। সেই খুনের তদন্তে জন্য জেল হেপাজতে থাকা অভিযুক্ত দুই আসামী মইনুউদ্দিন সেখ এবং ইমরান সেখকে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য আবেদন করে। পদ্ধতিতে ত্রুটি থাকায় এদিন আদালতের বিচারক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই এর আবেদন মঞ্জুর করলেন না।
অন্যদিকে কিছুদিন আগে রামপুরহাটে বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছিল এক কিশোরের। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিল আরও দুই কিশোর। ঘটনাটি বীরভূমের রামপুরহাট (Rampurhat) পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মরাজতলা পাড়ায় হয়েছিল। মৃত কিশোরের নাম চয়ন দাস। স্থানীয় সূত্রে খবর, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মরাজতলা পাড়ায় বহুতল নির্মাণ করার জন্য একটি কংক্রিটের বাড়ি ভেঙে কাজ চলছিল। ঘটনার দিন সন্ধেয় চয়ন তার বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তায় খেলা করছিল। সেসময় পুরনো বাড়ির দেওয়াল তাদের উপর পড়ে যায় । প্রতিবেশীরা আহত কিশোরদের উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা চয়ন দাসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় আহত দুই কিশোরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
এদিকে কিছুদিন আগে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলার তদন্তে, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছিল CBI টিম। বীরভূমের ইলামবাজারেও পৌঁছয় সিবিআই। গোপালনগর গ্রামে বিজেপি কর্মী গৌরব সরকার খুনের ঘটনায় ফের তৃণমূলের দলীয় অফিসে যান গোয়েন্দারা। তৃণমূল নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। এই ঘটনায় ইলামবাজারের পঞ্চায়েত সমিতির তৎকালীন সভাপতি রবি মূর্মুকে দুর্গাপুরের সিবিআই অফিসে তলব করা হয়।
আরও পড়ুন: বীরভূম থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার, ‘সন্ত্রাস’-এর তদন্তে আজও জেলায় জেলায় সিবিআই
ইলামবাজারে বিজেপি কর্মীকে খুনের ঘটনার তদন্তে তৃণমূল পার্টি অফিসে যায় সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতাকে। পাশাপাশি, সরিষায় বিজেপি কর্মীর খুনের তদন্তে যায় সিবিআই। অন্যদিকে, অভিজিৎ সরকার খুনের মামলায় সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন নারকেলডাঙ্গার তৎকালীন ওসি।