Hanskhali Case : হাঁসখালিকাণ্ডের এক বছর, কালা দিবস পালন বিজেপির !
Nadia: ওই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূল নেতার ছেলে
হাঁসখালি : নদিয়ার হাঁসখালিতে (Hanskhali নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় কালা দিবস পালন বিজেপির। হাঁসখালিকাণ্ডের এক বছর, কালা দিবস পালন গেরুয়া শিবিরের। ওই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূল নেতার ছেলে মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গয়ালি। তদন্তভার পাওয়ার পরে আরও তিন জনকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
কী ঘটেছিল ?
গত বছর গোড়ার দিকে নদিয়ার হাঁসখালিতে জন্মদিনের পার্টিতে নাবালিকা প্রেমিকাকে মদ খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলের বিরুদ্ধে। পরের দিন মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার। অভিযোগ, নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বছর ১৪-র প্রেমিকাকে মদ খাইয়ে ধর্ষণ করে ওই যুবক। এরপর অপরিচিত মহিলাকে দিয়ে প্রেমিকাকে বাড়ি পাঠায় অভিযুক্ত। বাড়ি ফেরার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে নাবালিকা। পরের দিন ভোরে মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর।
পুলিশকে না জানিয়ে দেহ সত্কার করলেও, তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। ভয় দেখানোয় অভিযোগ জানাতে দেরি হয়েছে বলে দাবি করে মৃতের পরিবার।
হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে প্রথমে রাজ্যে সিট গঠন করে তদন্ত করলেও যবনিকা টানে কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় নাম জড়ায় রাজ্যের শাসকদলের। এরপরেই এই বহু বিতর্কিত মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-কেই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
এই ঘটনার পরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে ঝড় ওঠে বাংলা জুড়ে। নির্যাতিতা এবং প্রধান অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গোয়ালার মধ্যে সম্পর্ক আগে থেকেই ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি। যেহেতু ধর্ষণের পরে নির্যাতিতাকে দাহ করে ফেলা হয়, তাই কী করে কিছু প্রমাণ হয়, এই প্রশ্নও তোলা হয়। আর এরপরেই গেরুয়া শিবির ময়দানে নামে। মৃতার বাড়ি যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, বাড়ি ডেকে এনে অনুষ্ঠানের রাতে ধর্ষণ করা হয়, এমনই অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতার ছেলে এবং তাঁদের বন্ধুদের বিরুদ্ধে। এদিকে ধর্ষণের পর অসুস্থ হয়ে নির্যাতিতার মৃত্যু হয়।
এদিকে হাঁসখালিকাণ্ডে (Hanskhali Case) ধৃত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। সূত্রে জানা যায়, ছেলে ব্রজ কী করেছে তা সব জানতেন তৃণমূল নেতা (TMC)। ধৃতদের জেরা করে মেলে এই তথ্য, দাবি করে সিবিআই(CBI)। সূত্রের খবর, হুমকি দিতে এবং ভয় দেখাতে নির্যাতিতার বাড়িতে লোক পাঠান মূল অভিযুক্তের বাবা। রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তৃণমূল নেতা, এমনই খবর পাওয়া যায় সূত্রে।
আরও পড়ুন ; হাঁসখালি ধর্ষণ মামলায় নির্যাতিতার পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা সাহায্য