BJP News : 'কিছু লোকের কাজ আছে সাউন্ড বক্স বাজানো', কাকে নিশানা সুকান্তর ? উপনির্বাচনে ভরাডুবির পর বিজেপিতে অন্তর্দ্বন্দ্ব ?
Tathagata Roy : আগেই সুকান্ত মজুমদারের জায়গায় শুভেন্দু অধিকারীকে রাজ্য় সভাপতি করার পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য় সভাপতি তথাগত রায়।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, দীপক ঘোষ ও অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা : ৬টি বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয়। আর, বিজেপির ভরাডুবির পর, বাংলায় বিজেপির পূর্ণ সময়ের রাজ্য সভাপতি না থাকার কথা বলে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন তথাগত রায়। আর আজ তার জবাব দিলেন সুকান্ত মজুমদার। প্রাক্তনকে পাল্টা নিশানা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
ফের বর্তমানের সঙ্গে প্রাক্তনের লড়াই। আগেই সুকান্ত মজুমদারের জায়গায় শুভেন্দু অধিকারীকে রাজ্য় সভাপতি করার পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য় সভাপতি তথাগত রায়। এবার তাঁকে পাল্টা নিশানা করলেন সুকান্ত।
সদ্য় ৬টি বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয়, আর, বিজেপির ভরাডুবির পর, বাংলায় বিজেপির পূর্ণ সময়ের রাজ্য সভাপতি না থাকার কথা বলে উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন তথাগত রায়। দিন দু'য়েক আগেই তিনি বলেছিলেন, "পশ্চিমবঙ্গের মতো কঠিন রাজ্যে পূর্ণ সময়ের সভাপতি নেই, এটা আমি কিছুতেই হজম করতে পারছি না। একটা পূর্ণ সময়ের সভাপতি নেই। ওমুকটার জন্য অপেক্ষা করছি, তমুকটার জন্য অপেক্ষা করছি। এগুলো কোনওটাই আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এই অবস্থায় কী করে দলের দিশা থাকতে পারে।"
সুকান্ত মজুমদার একদিকে যেমন রাজ্য় সভাপতি অন্য়দিকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীও। এই দুটো দায়িত্ব সামলানোর ফলে তিনি রাজ্য় বিজেপির দিকে পুরোপুরি নজর দিতে পারছেন না, এটাই স্পষ্ট ইঙ্গিত করেছিলেন তথাগত রায়। সোমবার তারই জবাব দিলেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, "রাজ্য সভাপতি করা আমার কাজ নয়। পার্টি আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে, আমি সেই কাজ করছি। রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের একটা পদ্ধতি আছে। সেই পদ্ধতি অনুসারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি হয়। কিছু লোকের কাজ নেই তাঁরা চেচান। পাড়ায় যখন শনিপুজো হয় দেখেছেন তো, সাউন্ড বক্স বাজে। লোকে জানে গান হচ্ছে, কী গান হচ্ছে শোনে না। ওরকম কিছু লোকের কাজ আছে ওরকম সাউন্ড বক্স বাজানো।"
আর এদিনই অগ্নিমিত্রা পাল থেকে অর্জুন সিংয়ের গলায় শোনা গেল ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য। প্রাক্তন সাংসদ ও বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ বলেন, "আমরা একটা জিনিস মনে করি, ২০২৬ সালে যদি জিততে হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় থাকলে ২০২৬ সালেও ভোট হবে না। মানুষ ভোট দিতে পারবে না। যতক্ষণ সঠিক নেতৃত্ব, বুথভিত্তিক কাজ না হবে , আমার মনে হচ্ছে এটা সম্ভব নয়।"
অন্যদিকে, বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, আমাদের কাছে যে-ই প্রেসিডেন্ট হোক, নন-কম্প্রোমাইজিংভাবে এই সরকারের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করবে আমরা শুধু সেটা চাই। এবার শীর্ষ নেতৃত্ব সেটা সিদ্ধান্ত নেবেন। এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করার ক্ষেত্রে আমরা অত্যন্ত সামান্য কার্যকর্তা।
আর এখানেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, 'নন-কম্প্রোমাইজিং রাজ্য সভাপতি চাই' বলে কি বলতে চাইলেন অগ্নিমিত্রা পাল ? অগ্নিমিত্রা কি এটা বোঝাতে চাইলেন যে রাজ্য় বিজেপির অন্দরে কেউ সমঝোতা করে চলছে ? চললে সেটা কে ?
এই ইস্যুতে বিজেপিকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, "শীতকাল আসে। শীতকালে সার্কাস আসে। শীতকাল এসে গেছে। শীতকালে বাংলায় সার্কাস একটা বড় আকর্ষণ। মজা, বিনোদন, সার্কাস, জোকার। আর এখন তো সার্কাসে বাঘ-সিংহ দেখা যায় না, বন্যপ্রাণ নতুন আইন অনুযায়ী। ফলে এখন কাকাতুয়া, টিয়া পাখি, জোকার...এই দিয়ে হয়। ফলে, বিজেপির তাঁরাই সব আছেন। সার্কাস দেখাচ্ছেন।"